আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
235 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (41 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম , কোনো এক ভাই যদি আমাকে বলে , " ভাই আপনি বিয়ে করে নিন , আপনার রিযিকের সংকট আল্লাহ দূর করে দিবেন , কেননা কুরআনে আল্লাহ তা বলেছেন"

আমি যদি বলি , " কুরআনে যা বলেছে সত্যে , তবে বিয়ে করলে আল্লাহ যে রিযিকের ঘাটতি দূর করবেনই তা নয় , বরং হতে পারে এর ফলে আল্লাহ তা'আলা আমার গুনাহ মাফ করে দিতে পারেন , অথবা এর ফল আখেরাতে দিতে পারেন "
আসলে আমি যা বুঝি তা হলো , ফাজায়েল সংক্রান্ত যত আমল আছে তা করলেই যে তাৎক্ষনিক সেই ফজিলত আল্লাহ এখনই আমাকে দুনিয়াতে দিবেন তা নয় , বরং আল্লাহর কাছে আরও অনেক উত্তম বিকল্প আছে । প্রশ্ন হলো , এ ধরনের আক্বিদা বা ধারনা কি সঠিক ? নাকি যেই ফজিলতের আমল করবো , দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করবো বা আশা রাখবো যে সেই ফজিলতই আমাকে আল্লাহ দিবেন যার ওয়াদা তিনি করেছেন?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


সুরা নুর এর ৩২ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন 
 وَ اَنۡکِحُوا الۡاَیَامٰی مِنۡکُمۡ وَ الصّٰلِحِیۡنَ مِنۡ عِبَادِکُمۡ وَ اِمَآئِکُمۡ ؕ اِنۡ یَّکُوۡنُوۡا فُقَرَآءَ یُغۡنِہِمُ اللّٰہُ مِنۡ فَضۡلِہٖ ؕ وَ اللّٰہُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۳۲﴾
তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন তাদের বিবাহ সম্পন্ন কর আর তোমাদের সৎ দাস-দাসীদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয় তাহলে আল্লাহ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে অভাবমুক্ত করে দেবেন, আল্লাহ প্রচুর দানকারী, সর্ববিষয়ে জ্ঞাত। 
,
এতে বুঝা গেলো যে শুধু দারিদ্র্য ও অর্থের অভাব বিবাহে বাধার কারণ হওয়া উচিত নয়। হতে পারে বিবাহের পর আল্লাহ তাআলা নিজ কৃপায় তার দরিদ্রতাকে ধনবত্তায় পরিবর্তন করে দেবেন। 
,

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثَةٌ حَقٌّ عَلَى اللَّهِ عَوْنُهُمُ الْمُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُكَاتَبُ الَّذِي يُرِيدُ الأَدَاءَ وَالنَّاكِحُ الَّذِي يُرِيدُ الْعَفَافَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা তিন প্রকারের মানুষকে সাহায্য করা নিজের কর্তব্য হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। আল্লাহ্ তা'আলার পথে জিহাদকারী, মুকাতাব গোলাম- যে চুক্তির অর্থ পরিশোধের ইচ্ছা করে এবং বিবাহে আগ্রহী লোক- যে বিয়ের মাধ্যমে পবিত্র জীবন যাপন করতে চায়।
হাসান,তিরমিজি ১৬৫৫, ইবনু মা-জাহ (২৫১৮)
,
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান বলেছেন।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই ভাবে বিশ্বাস রাখতে হবে যে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই এটি দিবেন।
(এই বিশ্বাসের ক্ষেত্রে মনের ভিতর দূর্বলতার ভাব আনা যাবেনা।)
,
হ্যাঁ যদি আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে না দেন,তাহলে আখেরাতে এর উত্তম কিছু দিবেন,অথবা কোনো বিপদ আপদ দূর করে দিবেন,ইনশাআল্লাহ। 
 , 
যেমন দোয়ার ক্ষেত্রে একটি হাদীস এসেছেঃ

وَعَنْ أَبِىْ سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ قَالَ: مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَدْعُو بِدَعْوَةٍ لَيْسَ فِيهَا إِثْمٌ وَلَا قَطِيعَةُ رَحِمٍ إِلَّا أَعْطَاهُ اللّٰهُ بِهَا إِحْدٰى ثَلَاثٍ: إِمَّا أَنْ يُعَجِّلَ لَه دَعْوَتَه وَإِمَّا أَنْ يَدَّخِرَهَا لَه فِى الْاٰخِرَةِ وَإِمَّا أَنْ يَصْرِفَ عَنْهُ مِنَ السُّوْءِ مِثْلَهَا قَالُوْا: إِذَنْ نُكْثِرُ قَالَ: اَللهُ أَكْثَرُ

আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিম দু‘আ করার সময় কোন গুনাহের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নের দু‘আ না করলে অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলা তাকে এ তিনটির একটি দান করেন। (১) হয়তো তাকে তার কাঙ্ক্ষিত সুপারিশ দুনিয়ায় দান করেন, (২) অথবা তা তার পরকালের জন্য জমা রাখেন এবং (৩) অথবা তার মতো কোন অকল্যাণ বা বিপদাপদকে তার থেকে দূরে করে দেন। সাহাবীগণ বললেন, তবে তো আমরা অনেক বেশি লাভ করব। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহ এর চেয়েও বেশি দেন।
(মুছান্নাফে ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯১৭০, সহীহ আদাবুল মুফরাদ ৫৫০/৭১০, সহীহ আত্ তারগীব ১৬৩৩, আহমাদ ১১১৩৩, শু‘আবূল ঈমান ১০৯০,মিশকাতুল মাসাবিহ ২২৫৯)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...