ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ قال،قال رسول اللّٰه
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣَﻦْ ﻏَﺶَّ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻣِﻨِّﻲ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ধোকা দিবে সে আমার উম্মতভূক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম-১০২)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/539
ইমাম আবু ইউসুফ রাহ বলেন,
لا يجوز للمسلم فی دار الحرب الا مايجوز له فی دار الاسلام.
’’۔(علامه کاسانی، بدائع الصنائع، 7 : 132)
একজন মুসলমানের জন্য দারুল হারবে থাকাবস্থায় ততটুক বিধানই কার্যকর হবে যতটুকু দারুল ইসলামে থাকাবস্থায় কার্যকর হয়ে থাকে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ইন্সুরেন্স কম্পানি চায় অমুসলিমই হোক না কেন, তাদেরকে ধোকা দেওয়া জায়েয হবে না। আপনার উপর ওয়াজিব আপনি অন্য এমন কোনো পন্থা অবলম্বন করবেন, যেখানে ধোকা দেয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা আসবে না। তবে যদি ইন্সুরেন্স কম্পানি এবং সরকারি জুলুম মূলুক নিয়মননীতি থেকে বাঁচার আর কোনো মাধ্যম না থাকে, এবং মুসলিম এলাকায় হিজরত করারও কোনো সুযোগ না থাকে,এবং আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো না থাকে, তাহলে পরবর্তীতে ইন্সুরেন্স বাবৎ কোনো প্রকার সুবিধা গ্রহণ না করার শর্তে ফিস কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়া হয়।
এরকম কিছু ফিকহী মূলনীতি 'উসূলে ফিকহ' এর কিতাবাদিতে সবিস্তারে বর্ণিত আছে,তন্মধ্যে একটি মূলনীতি হল-
ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।