আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (6 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আমি আমেরিকাতে থাকি বেশ কয়েক বছর ধরে। এখানে গাড়ি থাকলে ইন্সুরেন্স করতেই হবে। না করার উপায় নাই। গাড়ি না থাকলেও নানা রকম সমস্যা হয় বলে মানুষ গাড়ি কিনতে বাধ্য হয়। এখন এই ইন্সুরেন্স ফি অনেক বেশি। ছয় মাসে ২০০০$ মত। আমি যদি বলি যে আমি এই জায়গায়( ধরেন গুলশান)গাড়ি না চালিয়ে অন্য জায়গায়( মহাখালী) গাড়ি চালাচ্ছি তাহলে ফি অনেক কমে আসবে। মাসে ৮০/৯০$ মতো। আমি এই কাজটা করতে পারি। এতে আমাকে গাড়ি প্রতি একটা খরচ দেয়া হবে গাড়ির মালিকের পক্ষ থেকে।এখন ইন্সুরেন্স কোম্পানী যে কাজটা করে সেটাও অনৈতিক। এখন এভাবে তথ্য পাল্টে কাজ করে দেয়াটা কি জায়েজ হবে? যেহেতু এটা অন্যদের জন্য অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যায় এবং ইন্সুরেন্স করা না ছাড়াও উপায় নাই।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,

عن ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ قال،قال رسول اللّٰه 

ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣَﻦْ ﻏَﺶَّ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻣِﻨِّﻲ )

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ধোকা দিবে সে আমার উম্মতভূক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম-১০২)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/539


ইমাম আবু ইউসুফ রাহ বলেন,

لا يجوز للمسلم فی دار الحرب الا مايجوز له فی دار الاسلام.

’’۔(علامه کاسانی، بدائع الصنائع، 7 : 132)

একজন মুসলমানের জন্য দারুল হারবে থাকাবস্থায় ততটুক বিধানই কার্যকর হবে যতটুকু দারুল ইসলামে থাকাবস্থায় কার্যকর হয়ে থাকে।



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

ইন্সুরেন্স কম্পানি চায় অমুসলিমই হোক না কেন, তাদেরকে ধোকা দেওয়া জায়েয হবে না। আপনার উপর ওয়াজিব আপনি অন্য এমন কোনো পন্থা অবলম্বন করবেন, যেখানে ধোকা দেয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা আসবে না। তবে যদি ইন্সুরেন্স কম্পানি এবং সরকারি জুলুম মূলুক নিয়মননীতি থেকে বাঁচার আর কোনো মাধ্যম না থাকে, এবং মুসলিম এলাকায় হিজরত করারও কোনো সুযোগ না থাকে,এবং আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো না থাকে, তাহলে পরবর্তীতে ইন্সুরেন্স বাবৎ কোনো প্রকার সুবিধা গ্রহণ না করার শর্তে ফিস কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।


স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের  প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়া হয়।

এরকম কিছু ফিকহী মূলনীতি 'উসূলে ফিকহ' এর কিতাবাদিতে সবিস্তারে বর্ণিত আছে,তন্মধ্যে একটি মূলনীতি হল-

 ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ

(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)

এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 146 views
...