এক্ষেত্রে গীবত হবে কি না? নামাজ বাতিল হবে কি না?

Question

১।ফুটবল খেলার সময় এক বন্ধুর সাথে আমার ধাক্কা ধাক্কি হয়।এখন যদি আমি তার অবর্তমানে অন্য বন্ধুদের কাছে বলি যে সে অনেক ফাউল করে খেলে, ইচ্ছা করে ধাক্কা দেয়।, এতে কি গীবত হবে?

২।নামাজের মধ্যে তাশাহুদের জায়গায় ভুলে দুই সেজদার মাঝের দোয়া পড়ে ফেললে কি নামাজ বাতিল হয়ে যাবে? পুরো দোয়া পড়ি নাই শুধু আল্লাহুম্মাগফিরলি পড়ার পর বুঝতে পেরে তাশাহুদ পড়েছি।এক্ষেত্রে নামাজ বাতিল হবে কি না?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

মু'মিন একটি মুহুর্তও অযথা কাটাবে না।বরং সর্বদাই আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকবে।নামায পড়বে,কুরআন তিলাওয়াত করবে,নয়তো যিকির করবে।যদি ইবাদত করতে করতে মন ক্লান্ত হয়ে যায়,তখন মনকে উৎফুল্ল করতে বৈধ বিনোধনের ব্যবস্থা শরীয়তে রয়েছে।বৈধ বিনোধন সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/673

الأول: التظلم. يجوز للمظلوم أن يتظلم إلى السلطان والقاضي وغيرهما ممن له ولاية أو له قدرة على إنصافه من ظالمه، فيذكر أن فلانا ظلمني وفعل بي كذا وأخذ لي كذا ونحو ذلك. 

(এক) জালিমের জুলুম থেকে বাঁচতে বিচারকের নিকট জালিমের বিরুদ্ধে নালিশ/গিবত করা বৈধ।যেমন মজলুম ব্যক্তি বিচারকের নিকট গিয়ে বলল,অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম-নির্যাতন করেছে।এবং আমার সাথে সে এমন এমন ব্যবহার করেছে।আমার অমুক অমুক জিনিষ সে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1715

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

ইচ্ছাকৃত ধাক্কাধাক্কি করলে, তার কথা অন্যের কাছে বললে সেটা গীবত হবে না।

(১)

প্রথম বৈঠকে পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।আর দ্বিতীয় বৈঠকে পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।