আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
179 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (22 points)
edited by
দয়া করে তারাতারি উত্তর দিবেন

১।আসসালামু আলাইকুম, কেউ যদি ভন্ড সাধুদের মতো ধ্যান এর ভান করে ছবি তুলে বা মজা করে এক হাত উপরে তুলে ছবি তুলে, তবে শিরক বা কুফর হতে পারে কি? তাহলে করনিও কি? আর অন্যরা যদি এটা দেখে হাসাহাসি করে তবে তাদের ও গুনাহ হতে পারে কি? পুরটাই মজার ছলে! এখানে সাধু বলতে হিন্দু হতে পারে কিনা আমি বুঝতে পারছিনা,!

২।ছোটবেলায় মজা করে বান্ধবিদের সাথে হাত দেখে বলতাম  তোর এটা হবে ওইটা হবে, আবার খবরের পেপার এ আমার রাশি ও দেখতাম, মিলাতাম । নাবালেগ অবস্থায় এরুপ করেছি, বালেগ অবস্থায় করেছি কিনা খেয়াল নেই, করে থাকলেও এ সবই অজ্ঞতাবশত।।এখন আমার কি করা উচিত? আমার দ্বারা কি শিরক হয়ে গেল। আমি কিভাবে মাফ পাব?

৩। ছোট বেলায় আমরা মেয়েরা হিন্দুদের বিয়ের অনুকরনে  বিয়ে বিয়ে খেলতাম, এতে কি শিরক হয়েছে? নাবালেগ অবস্থায় খেলেছি, বালেগ অবস্থায় খেলেছি কিনা খেয়াল নেই।

৪।হয়ত না জেনে, ভুলবশত শিরক, কুফরি বা ইমান চলে জাওয়ার মতো অনেক কাজ বা কথা বলেছি। এখন আমি অনুতপ্ত, আমি ইমানের সাথে মরতে চাই। কি করলে আমি মাফ পাব? আমাকে নিয়মটা বলে দিন।।নাকি এসব ওয়াসওয়াসা!! এসব চিন্তার কারনে খুব ই পেরেশানিতে আছি।

1 Answer

0 votes
by (60,240 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

নাবালেগ অবস্থায় কোনো গোনাহ বা শিরক করে ফেললে তা আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

 

অপর এক হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ

আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মাতের ভুল , বিস্মৃতি ও বলপূর্বক যা করিয়ে নেয়া হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন। [সুনানে ইবনে মাজাহ, ২০৪৩]

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلاَثَةٍ عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَشِبَّ وَعَنِ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يَعْقِلَ " .

আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তির উপর থেকে দন্ডবিধি রহিত করে দেওয়া হয়েছে, ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, শিশু যতক্ষন না সাবালক হয়, বেহুশ ব্যক্তি যতক্ষণ না তার হুশ ফিরে এসেছে। - ইবনু মাজাহ ২০৪১, ২০৪২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪২৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

 

ঈমান নবায়ন করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/52689/

ভুলে শিরক করে ফেললে ঐ ব্যক্তির হুকুম কি- https://ifatwa.info/12751/

না জেনে কুফরী করলে ঐ ব্যক্তির হুকুম কি - https://ifatwa.info/3012/

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে শিরক বা কুফরী হবে না ইনশাআল্লাহ।

২-৪. নাবালেগ অবস্থায় হয়ে এসব হয়ে থাকলে আল্লাহ তায়ালা তা মাফ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। তবে তারপরও সতর্কতা মূলক নিজে নিজে ঈমান আবার নবায়ন করে নিবেন। তাহলে আর পেরেশানী থাকবে না।

ঈমান নবায়ন করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/52689/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...