যাকাত মূলত গরীবকেই প্রদাণ করা হয়ে থাকে।যার নেসাব পরিমাণ (তথা ৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ বা ৫২.৫ ভড়ি রুপা এর মূল্য পরিমাণ)মাল নেই।চায় সেটা 'মালে নামী'(বাড়ন্ত মাল) হোক বা মালে গায়রে নামী(অবাড়ন্ত মাল)হোক।
মালে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়তে থাকে,সেগুলো সর্বমোট চার প্রকার,(১)সোনা(২)রুপা(৩)ব্যবসার মাল(৪)গবাদি পশু
এগোলো কে যেহেতু শরীয়ত বাড়ন্ত মাল বলে আখ্যা দিয়েছে,সুতরাং এগুলো বাড়ন্ত মাল।বাস্তবে সবগুলো বাড়ুক বা নাই বাড়ুক।
মালে গায়রে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়ে না।উপরোক্ত মাল ব্যতীত সবগুলোই অবাড়ন্ত।যেমন-স্থাবর সম্পত্তি এবং নিজ প্রয়োজনে ক্ররিদকৃত গাড়ী আসবাবপত্র ইত্যাদি।
যেহেতু ঐ মহিলার নেসাব পরিমাণ মাল রয়েছে তাই সে যাকাতের মাল গ্রহণ করতে পারবে না।এবং তার উপর অবশ্যই যাকাত আসবে।তাকে যাকাত দিতে হবে।
ঐ মহিলা যদি তার এই টাকা দ্বারা স্থাবর কোনো সম্পত্তি ক্রয় করে নেয়,তাহলে আর তার উপর যাকাত আসবে না।
তার ছেলে-মেয়ে যদি বালেগ থাকে,এবং তাদের নেসাব পরিমাণ মাল না থাকে তাহলে তারা যাকাত গ্রহণ করতে পারবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ