আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
101 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (30 points)
edited by
আমার বোন তার মেয়েকে ঝাঁড়ফুকের জন্য একজন মাওলানার কাছে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। আমি বাঁধা দিচ্ছি। বলছি তোমার অজান্তে তারা কিছু কুফরি বাক্য বলবে, আল্লাহর নামের সাথে ফেরেশতার নাম নিতে পারে। যেটার ভুক্তভোগী আমি একজন মসজিদের ইমাম দ্বারা, তিনি হাজিরা মিলিয়েছেন আমার অজান্তে। এটা স্পষ্টত শিরকি কর্মকান্ড। অথচ কথা ছিলো কুরআনের আয়াত পড়ে আমাকে চিকিৎসা করবেন।

ঐ থেকে আমার হুজুর, মাওলানাদের প্রতি সন্দেহ বেড়ে গেছে ঝাঁড়পুকের ব্যাপারে। তাই সন্দেহ, অনুমান করে বোনকে বাঁধা দিই। আমি বলেছি তুমি দুনিয়া ও হারাবে আখিরাত ও।

কিন্তু এখন আমার বোন কোনো কথা শুনছেনা। সে যাবেই যাবে।

১/সে যদি যায় আমি যদি তাকে ও তার মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়, তাকে অন্য কাজে সাহায্য করি আমার কি গুনাহ হবে?

তাকে বাঁধা দিতে আমি কি করতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ
মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।(সূরা হুজুরাত-১২)

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِيَّاكُمْ وَالظَّنَّ، فَإِنَّ الظَّنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيثِ، وَلاَ تَحَسَّسُوا، وَلاَ تَجَسَّسُوا، وَلاَ تَنَاجَشُوا، وَلاَ تَحَاسَدُوا، وَلاَ تَبَاغَضُوا، وَلاَ تَدَابَرُوا، وَكُونُوا عِبَادَ اللَّهِ إِخْوَانًا "
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা অনুমান থেকে বেঁচে থেকেো। কারণ অনুমান বড় মিথ্যা ব্যাপার। আর কারো দোষ অনুসন্ধান করো না, গোয়েন্দাগিরী করো না, একে অন্যকে ধোঁকা দিও না, আর পরস্পর হিংসা করো না, একে অন্যের প্রতি বিদ্বেষভাব পোষণ করো না এবং পরস্পর বিরুদ্ধাচরন করো না। বরং সবাই আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে থেকো।(সহীহ বোখারী-৫৬৪০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এভাবে নিশ্চিত না জেনে আলেম উলামাদের সম্পর্কে মনোভাব রাখা আপনার উচিৎ হচ্ছে না। হ্যা, কেউ কখনো শয়তানের ধোকায় পরে দ্বীন থেকে দূরে সরে যেতে পারে। তবে কারো সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু না জেনে তার সম্পর্কে কোনোপ্রকার মন্তব্য করা যাবে না। শরয়ী নিয়ম কানুন মেনে তাবিজ দেওয়া ও পরিধান করার রুখসত রয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/226

সুতরাং যেই বোন হুজুরের কাছ থেকে তাবিজ নিচ্ছেন, ঐ তাবিজে শিরিক রয়েছে, সেটা নিশ্চিত না জেনে তাকে বাধা দেওয়াও যাবে না এবং তার সেই বোনকে সাহায্য সহযোগিতা করাও নাজায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...