বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَاللَّاتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِن نِّسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِّنكُمْ ۖ فَإِن شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّىٰ يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلًا
আর তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচারিণী তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চার জন পুরুষকে সাক্ষী হিসেবে তলব কর। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ, যে পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে তুলে না নেয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোন পথ নির্দেশ না করেন।(সূরা নূর-১৫)
অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে,
لَّوْلَا جَاءُوا عَلَيْهِ بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاءَ ۚ فَإِذْ لَمْ يَأْتُوا بِالشُّهَدَاءِ فَأُولَـٰئِكَ عِندَ اللَّهِ هُمُ الْكَاذِبُونَ
তারা কেন এ ব্যাপারে চার জন সাক্ষী উপস্থিত করেনি; অতঃপর যখন তারা সাক্ষী উপস্থিত করেনি, তখন তারাই আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদী।(সূরা নূর-১৩)
আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে,
"عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنْ وَجَدْتُ مَعَ امْرَأَتِي رَجُلًا، أَؤُمْهِلُهُ حَتَّى آتِيَ بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاءَ؟ قَالَ: «نَعَمْ»."(صحیح مسلم، کتاب اللعان، رقم الحدیث:1498، ج:2، ص:1135، ط:داراحیاء التراث العربی)
সা’দ ইবনু উবাদাহ্ (রাযিঃ) বলেছেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি যদি আমার স্ত্রীর সঙ্গে কাউকে দেখতে পাই তাহলে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করা পর্যন্ত আমি কি তাকে সুযোগ দেব? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। (সহীহ মুসলিম-৩৬৫৪,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৬২০, ইসলামিক সেন্টার ৩৬২০)
আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত।
"عن عائشة قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ادرءوا الحدود عن المسلمين ما استطعتم، فإن كان له مخرج فخلوا سبيله، فإن الإمام أن يخطئ في العفو خير من أن يخطئ في العقوبة»."
(سنن الترمذی، ابواب الحدود، باب ما جاء في درء الحدود،
رقم الحدیث:1424، ج:3، ص:85، ط:دارالغرب الاسلامی)
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা যথা সম্ভব মুসলিমদের থেকে হদ প্রতিহত করার চেষ্টা করবে। সম্ভব হলে, কোন উপায় থাকলে তাকে তার পথে ছেড়ে দিও। কারণ, ইমাম বা কর্তৃপক্ষের শাস্তি প্রদান করে ভুল করা অপেক্ষা ক্ষমা করে ভুল করা শ্রেয়। (মিশকাত ৩৫৭০, ইরওয়া ২৩৫৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪২৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(في الدر المختار ورد المحتار)
"(ويثبت بشهادة أربعة) رجال (في مجلس واحد) فلو جاءوا متفرقين حدوا (ب) لفظ (الزنا لا) مجرد لفظ (الوطء والجماع) وظاهر الدرر أن ما يفيد معنى الزنا يقوم مقامه...(فيسألهم الإمام عنه ما هو) أي عن ذاته وهو الإيلاج عيني (وكيف هو وأين هو ومتى زنى وبمن زنى) لجواز كونه مكرها أو بدار الحرب أو في صباه أو بأمة ابنه، فيستقصي القاضي احتيالا للدرء (فإن بينوه وقالوا رأيناه وطئها في فرجها كالميل في المكحلة) هو زيادة بيان احتيالا للدرء (وعدلوا سرا وعلنا) إذا لم يعلم بحالهم. (کتاب الحدود، ج:4، ص:07، ط:ایج ایم سعید)
মর্মার্থ যিনা ব্যভিচারের সাক্ষী প্রদানের ক্ষেত্রে বিস্তারিত দেখে সাক্ষী দিতে হবে। দোয়াতের মধ্যে কলম প্রবেশের মত যিনা ব্যভিচার দেখে তবেই সাক্ষী দিতে হবে। নতুবা ঐ সাক্ষী গ্রহণযোগ্য হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যারা দেবর আর ভাবীর নামে যিনার অভিযোগ করেছে, তারা কিভাবে দেখেছে,তা আল্লাহর নামে কসম করে সাক্ষ্য দিবে।তাদের সংখ্যা চার হতে হবে,এবং একই মজলিসে সবাইকে সাক্ষ্য দিতে হবে।নতুবা তাদের এ সাক্ষ্য শরীয়তে গ্রহণযোগ্য হবে না।এবং শরয়ী দন্ডবিধিও এক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। বরং চার সাক্ষী না থাকলে উল্টো অভিযোগকারীদের আদালত নির্ধারিত শাস্তি প্রদাণ করবে।