ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
"আল্লাহ আপনি কেয়ামত পিছিয়ে দিন।"
অতীতে এরকম কোনো দু'আ কারো কাছ থেকে কখনো শুনা যায় নি। বরং মু'মিন তো সর্বদা জান্নাতের আগ্রহী থাকবে।আর জান্নাত তো মৃত্যুর পরই এসে থাকে। মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তির কিয়ামত শুরু হয়ে যায়।
(২)
হে আল্লাহ! দাজ্জালকে অনেক দেড়ীতে পাঠান,
এরকম দু'আও কখনো শুনা যায়নি, বরং দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাচার দু'আ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' শিক্ষা দিয়েছেন। যেমন হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে,
আবূ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত।
وَعَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ حَفِظَ عشر آيَات من أول سُورَة الْكَهْف عصم من فتْنَة الدَّجَّال» . رَوَاهُ مُسلم
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সূরা আল কাহাফ-এর প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে তাকে দাজ্জালের অনিষ্ট হতে নিরাপদ রাখা হবে। (মিশকাত-২১২৬)
(৩)
"হে আল্লাহ! মুসলিম দের কাছে আবার পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেন অটোম্যানদের মতন।"
এরকম দু'আ করা যেতে পারে।
(৪)
"হে আল্লাহ! ইহুদিদের কে ফিলিস্তিন থেকে আবার ২/৩ হাজার বছরের জন্য বিতারিত করুন।"
এরকম দু'আ করা যেতে পারে। যদিও এই দু'আ দ্বারা কিয়ামত পরবর্তীতে আসবে, সেই দু'আ করা হচ্ছে, তবে এখানে সরাসরি কিয়ামতকে পিছানোর দু'আ হচ্ছে না। কিয়ামতকে সরাসরি পিছানোর দু'আ অতীতে শ্রবণ করা যায়নি। কিয়ামত অতি নিকটবর্তী,এ সম্পর্কে আল্লাহ নিজেই বলেন,
اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانشَقَّ الْقَمَرُ
কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে।(সূরা কামার-০১)