ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আকিকা করা সুন্নত(সুন্নতে যায়েদা)।আকিকা করলে সওয়াব হবে,তবে ছেড়ে দিলে কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে
العقيقة عن الغلام وعن الجارية وهي ذبح شاة في سابع الولادة وضيافة الناس وحلق شعره مباحة لا سنة ولا واجبة كذا في الوجيز للكردري.
ছেলে সন্তান এবং মেয়ে সন্তান উভয়ের পক্ষ্য থেকে সপ্তম দিনে আকিকা করা হবে এবং যিয়াফত করানো হবে ও চুল মুন্ডানো হবে।এটা মুবাহ তথা সুন্নতে যায়েদা।সুন্নতে মু'আক্বাদা বা ওয়াজিব নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৬২)
ইসলামি শরিয়তের যেসব মাসআলা দিন-তারিখ, মাস-বছরের সঙ্গে সম্পৃক্ত; সেগুলো চাঁদের হিসাবে গণনা করতে হয়। সুতরাং শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার ৭ম দিনে আকিকা করতে হলে চাঁদের হিসাব অনুযায়ী করতে হবে। আর চাঁদের হিসাবে দিন-তারিখ সূর্যাস্তের পর থেকেই শুরু হয়।
সুতরাং কোনো সন্তান যদি সোমবার সূর্যাস্তের পর জন্ম নেয় তবে তার অর্থ হলো সে মঙ্গলবারে জন্ম নিল।
وذهب جمهور الفقهاء إلى أن يوم الولادة يحسب من السبعة ولا تحسب الليلة إن ولد ليلا بل يحسب اليوم الذى يليها (الموسوعة الفقهية الكويتية-30/278)
জুমহুর ফুকাহায়ে কেরামের মতে জন্মদিন গণনার ক্ষেত্রে রাতকে গণ্য করা হবে না।বরং রাতের পরের দিনকে জন্মদিন মনে করা হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সন্তানের জন্ম হয়েছে ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিটে। ঐ রাত ধর্তব্য হবে না বরং পরিবর্তী দিনকে জন্ম তারিখ হিসেবে বিবেচিত হবে।সুতরাং সুন্নাহ মোতাবেক সন্তানের আকিকার দিন ২৬ অক্টোবর থেকে সম্তম দিনে আকিকা সুন্নত।
সন্তানের নাভীর পড়া বা না পড়ার সাথে আকিকার কোনো সম্পর্ক নাই।
নাভী না পড়লে মাথার চুল ফেলা বা আকিকা কোনোটাই করা যাবে না।
