بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে,
عن أبي بكرة
قال : عصمني الله بشيء سمعته من رسول الله صلى الله عليه و سلم لما هلك كسرى قال
من استخلفوا ؟ قالوا ابنته فقال النبي صلى الله عليه و سلم لن يفلح قوم ولو أمرهم
امرأة (سنن الترمذى-كتاب الفتن، باب من
باب ما جاء في لانهي عن سب الرياح، رقم الحديث-2262
হযরত আবু বাকরা রাঃ থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন-যখন কিসরা পদানত হল তখন তাকে বলতে শুনেছি-কে তার পরবর্তী খলীফা?
বলা হল-তার মেয়ে। তখন রাসূল সাঃ ইরশাদ
করেন-সে জাতি সফলকাম হয় না, যাদের
প্রধান হল নারী। {সুনানে
তিরমিযী, হাদীস
নং-২২৬২, সহীহ
বুখারী, হাদীস
নং-৬৬৮৬, সুনানে
নাসায়ী কুবরা, হাদীস
নং-৫৯৩৭, সুনানে
বায়হাকী কুবরা, হাদীস
নং-৪৯০৭}
عن أبي هريرة
قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم وإذا كان أمراؤكم شراركم وأغنياؤكم
بخلاءكم وأموركم إلى نسائكم فبطن الأرض خير لكم من ظهرها (سنن الترمذى-كتاب الفتن
عن رسول الله صلى الله عليه و سلم، باب من باب ما جاء في لانهي عن سب الرياح، رقم
الحديث-2266
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে
বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যখন তোমাদের নেতারা তোমাদের মাঝের বদলোক হয়। আর তোমাদের
ধনীরা হয় কৃপণ, আর
তোমাদের কর্মকর্তা হয় মহিলা। তাহলে জমিনের পেট তার পিঠের তুলনায় তোমাদের জন্য উত্তম।
[অর্থাৎ মৃত্যু তোমাদের জন্য উত্তম জমিনের উপরে বেঁচে থাকার চেয়ে।] {সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২২৬৬}
يَا نِسَاءَ
النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا
تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا
مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ
الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য
নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে
কথা বলনা, যাতে
যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল।
এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}
উক্ত আয়াত সমূহে পরিস্কার
ভাষায় মেয়েদের অন্যের সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে, অপ্রয়োজনে কথা বলতে, আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। যা পরিস্কার
ভাষায় জানাচ্ছে যে, বিশেষ
প্রয়োজন ছাড়া ছেলেদের সাথে কথা বলা জায়েজ নয়।
দ্বীনী বা জরুরি কোন বিষয় থাকলে পর্দার
আড়ালে থেকে কম কথায় শেষ করে নিবে। অযথা কথা বলা হারাম।
وَإِذَا
سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ
أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ
অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে।
এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}https://www.ifatwa.info/2944
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে
বর্ণিত
عن أبي
هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم:............... وإذا كان أمراؤكم شراركم وأغنياؤكم بخلاءكم،
وأموركم إلى نسائكم فبطن الأرض خير لكم من ظهرها.
রাসূলুল্লাহ বলেন,যখন তোমাদের মধ্যে নিকৃষ্ট মানুষ তোমাদের আমীর হবে।এবং
তোমাদের মধ্যে ধণী ব্যক্তি কৃপনে পরিণত হবে,এবং তেমাদের নেতা মহিলা হবে,তখন তোমার জন্য যমিনের উপরের চেয়ে যমিনের নিচই শুভনীয়(সুনানু(তিরমিযি-২২৬৬)
الرِّجَالُ
قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاء بِمَا فَضَّلَ اللّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ
وَبِمَا أَنفَقُواْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ
لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللّهُ وَاللاَّتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ
فَعِظُوهُنَّ وَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ فَإِنْ
أَطَعْنَكُمْ فَلاَ تَبْغُواْ عَلَيْهِنَّ سَبِيلاً إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيًّا
كَبِيرًا
পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল
এ জন্য যে, আল্লাহ
একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে,
তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার
স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও
তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও,
তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি
তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে
আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।(সূরা
নিসা-৩৪)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/ বোন!
মহিলাদের জন্য রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব
সহ যাবতীয় নেতৃত্ব পালন করা জায়েয হবে না। কেননা আল্লাহ কুরআনে বলেন,
পুরুষরাই নারীদের নেতৃত্ব দিবে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ
قَالَ : لَنْ
يُفْلِحَ قَوْمٌ وَلَّوْا أَمْرَهُمْ امْرَأَةً
সে জাতী কখনো কামিয়াব হতে
পারে না,যারা নারীকে নেতা
হিসেবে গ্রহণ করে নেয়। (সহীহ বুখারী-৪৪২৫)
শারহুস্ সুন্নাহ্ গ্রন্থে
এসেছে যে,
নারীর জন্য ইমাম,
কাযী হওয়া বৈধ নয়। কেননা ইমাম ও বিচারপতির
জন্য মুসলিমদের সকল বিষয় দেখাশোনা করার জন্য বের হওয়ার প্রয়োজন। আর মহিলা সর্বদা পর্দাতে
থাকবে। সুতরাং তাদের জন্য এটা বৈধ নয়। আরো কারণ হলো, মহিলারা অল্প জ্ঞানের অধিকারী। আর বিচার ফায়সালা করা রাষ্ট্রের
একটি পূর্ণাঙ্গ কাজ। এটা মহিলাদের জন্য ঠিক নয় তবে জ্ঞানবান পুরুষের জন্য তা বৈধ। (ফাতহুল বারী ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৪২৫; তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড,
হাঃ ২২৬২)
ইমাম শওকানী রাহিমাহুল্লাহ
উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন-
"فيه
دليل على أن المرأة ليست من أهل الولايات ، ولا يحل لقوم توليتها ، لأنه يجب عليهم
اجتناب ما يوقعهم في عدم الفلاح"
"হাদিসের
দলিল রয়েছে মর্মে যে নারীরা শাসক হওয়ার জন্য উপযুক্ত নয় কোন কর্মের জন্য তাদেরকে
শাসক হিসেবে নিযুক্ত করা বৈধ নয় কেননা এটা তাদের বিফল হওয়াকে অবধারিত করে।"
(নাইলুল আওতার: ৮/৩০৫)
**আল্লামা মাওয়ার্দী রাহিমাহুল্লাহ বলেন"
"কোন
নারীর জন্য শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া বৈধ নয়। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
'সে জাতি কক্ষনো সফলকাম হবে না,
যারা তাদের শাসনভার কোন স্ত্রীলোকের হাতে
অর্পণ করে।'
এর আরো কারণ হলো শাসনকার্য
পরিচালনা অন্যের মতামত চাইতে হয় এবং দৃঢ় প্রত্যয়ী হতে হয় আর এই ব্যাপারে নারীরা
দুর্বল। শাসকের শাসনকার্য পরিচালনার জন্য প্রকাশ্যে গমনাগমন করতে হয় যা তাদের জন্য
নিষিদ্ধ।" (আল আহকামুস সুলতানিয়্যাহ: ৪৬)
**ফিকহ বিশ্বকোষে রয়েছে" এই ব্যাপারে সমস্ত ফকীহ একমত
যে, প্রধান
শাসক হওয়ার জন্য শর্ত হলো পুরুষ হওয়া। কাজেই নারীর নেতৃত্ব শুদ্ধ হবে না। কেননা রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- 'সে জাতি কক্ষনো সফলকাম হবে না,
যারা তাদের শাসনভার কোন স্ত্রীলোকের হাতে
অর্পণ করে।'
(নেতৃত্ব নারীকে
দেওয়া হয়নি বরং পুরুষকে দেওয়া হয়েছে) যাতে তারা পুরুষদের সাথে মিশতে পারে,
শাসনকার্য পরিচালনার জন্য নিজেকে নিয়োজিত
করতে পারে। উপরন্তু এটা এক পদ যেখানে গুরুতর ও ভারী দায়িত্ব রয়েছে যা কেবল পুরুষদের
জন্যই মানানসই।" (আল মাওসূআতুল ফিকহিয়্যাহ: ২১/২৭০)
**সৌদি আরবের প্রাক্তন গ্রান্ড মুফতি শাইখ বিন বায রাহিমাহুল্লাহ
বলেন" "নারী নেতৃত্ব জায়েজ নেই। এই ব্যাপারে কুরআন,
সুন্নাহ ও ইজমার দলিল রয়েছে। কুরআনের
দলীল হলো, মহান
আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা কুরআনে বলেন
'পুরুষেরা নারীদের
উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ
একের উপর অন্যের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে,
তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে।'
(সূরা নিসা:৩৪)
পরিবারে পুরুষের শাসন ক্ষমতার ব্যাপারে আয়াতের বিধানটি
সাধারণ। কাজেই অন্যান্য নেতৃত্বের ব্যাপারে ও
আয়াতটি অধিকতর বেশি যৌক্তিকভাবে প্রযোজ্য হবে। বিষয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে
আয়াতে কারণ বর্ণনা করা হয়েছে। আর সেটা হলো পুরুষের মতামত ও বুদ্ধিমত্তার শ্রেষ্ঠত্ব;
যা বিচার ফয়সালা ও নেতৃত্বের জন্য বড়
সহায়ক।
সুন্নাহ থেকে দলিল হলো- পারসিকরা সম্রাটের মেয়েকে
তাদের নেত্রী হিসেবে গ্রহণ করে, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-
( لن يفلح قومٌ ولَّوا أمرَهم امرأة ) ، رواه
البخاري .
'সে জাতি কক্ষনো
সফলকাম হবে না, যারা
তাদের শাসনভার কোন স্ত্রীলোকের হাতে অর্পণ করে।' (সহীহ বুখারী)
নিঃসন্দেহে অত্র হাদীসটি ব্যাপকভাবে
অথবা কোন শহরে অথবা কোন অঞ্চলের নারী নেতৃত্ব হারাম হওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট দলিল।
সাধারণ হুকুমের দাবী এমনটাই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সফলতা নাকচ করে
দিয়েছেন, যারা
নারীকে নেতৃত্ব দেয়। আর সফলতা হল বিজয়, কল্যাণ লাভ বুঝায়।
বুদ্ধিবৃত্তিক দাবিও এটাই
যে, সাধারণ
নেতৃত্ব তাদের না দেওয়া। কেননা নেতৃত্বের জন্য মনোনীত ব্যক্তিকে জ্ঞানগত কামালিয়াত,
দৃঢ়তা, বিচক্ষণতা, ইচ্ছাশক্তির দৃঢ়তা, উত্তম পরিচালনা প্রভৃতি গুণ থাকা বাঞ্ছনীয়।
আর এসব বৈশিষ্ট্য নারী প্রকৃতির
সাথে বেমানান। কেননা তারা সৃষ্টিগতভাবে জ্ঞানগত কমতি,
চিন্তাশক্তিতে দুর্বল। উপরন্তু তারা ভীষণভাবে
আবেগপ্রবণ। কাজেই মুসলিম কল্যাণ, সম্মান লাভ প্রভৃতি বিবেচনায় এই পদ তাদের জন্য মানানসই নয়।"
(আল মুজতামা' সাময়িকী,
সংখ্যা: ৮৯০)
**ইমাম ইবনে হাযাম রহ. (মৃঃ ৪৫৬ হিঃ) مراتب الاجماع
নামে একটি কিতাব লিখেছেন;
যে সব মাসআলার উপর উম্মাহ’র ইজমা (ঐক্যমত)
রয়েছে- তিনি সেগুলোকে সেখানে সন্নিবেশিত করে দিয়েছেন। তিনি সেই কিতাবে লিখিছেন- و اتفقوا ان الامامة لا تجوز لامراة –‘সকল ওলামায়ে কেরাম এব্যপারে একমত যে,
কোনো নারীর জন্য ‘রাষ্ট্র প্রধান’ হওয়া
জায়েয নয়’। [মারাতিবুল ইজমা, ইবনে হাযাম- ১২৬ পৃষ্ঠা]
**শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহঃ (মৃঃ ৭২৮ হিঃ)-এর
ন্যয় বিজ্ঞ আলেম আল্লামা ইবনে হাযাম রহ.-এর উল্লেখিত কিতাবের উপর نقد مراتب الجماع নামক একটি সমালোচনামূলক কিতাব
রচনা করেছেন এবং তাতে এমন কিছু মাসআলার উল্লেখ করেছেন,
যেগুলোকে আল্লামা ইবনে হাযাম ‘ইজমা’ বলে
উল্লেখ করেছেন, কিন্তু
ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ’র গবেষনা ও তাহক্বীক্ব মতে ওগুলো ইজমা নয়। বরং ওগুলোর ব্যপারে
কারো না কারো মতভিন্নতা রয়েছে। সেই কিতাবেও ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ. নারী নেতৃত্বের
পশ্নে আল্লামা ইবনে হাযামের কোনো বিরোধীতা করেন নি। [দেখুন: নাক্বদু মারাতিবিল ইজমা,
ইবনে তাইমিয়্যাহ- ১২৬ পৃষ্ঠা ]
এসকল হযরতগন ছাড়াও যে সকল
উলামা, ফুকাহা
এবং ইসলামী রাজনীতি বিশেষজ্ঞমন্ডলী ‘ইসলামী রাজনৈতিক’ ব্যবস্থার উপর গ্রন্থ লিপিবদ্ধ
করেছেন, তাঁদের
প্রত্যেকেই এই মাসআলাটিকে একটি সর্বসম্মত মাসআলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
**ইমাম কুরতুবী রহঃ এই ব্যপারে ইজমা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন
যে,“নারী
নেতৃত্ব বৈধ নয়।” [আহকামুল কুরআনে]
**আল্লামা শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী (রহঃ) তার হুজ্জাতুল
বালিগাহ তে বলেছেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়। নেতৃত্ব হওয়ার জন্য তাকে অবশ্যই পুরুষ হতে হবে।”
**ইমাম ইবনে কাসীর রহঃ বলেন,“নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পুরুষ হওয়া ফরয।”
**হানাফী আলেম, মোল্লা আলী কারী (রহঃ) ফায়যুল বারীতে লিখেছেন যে,
“নারী নেতৃত্ব জায়েযনয়।”
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি
ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নারীকে
প্রধান বানিয়ে তার অধীনে কাজ করা জায়েজ নয়। তবে সহযোগী হিসেবে উপরে উল্লেখিত শর্ত মেনে পর্দার সাথে কাজ করতে
কোন অসুবিধা নেই।{ফাতাওয়া
মুফতী মাহমুদ-১১/৩৭৪-৩৭৫}
সুতরাং কোন আলেম সুস্থ বিবেকের সাথে স্বেচ্ছায় যদি নারী নেতৃত্বকে
জায়েয বলে থাকেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার নিকট তাদের ইলমী খেয়ানতের কারণে জবাবদিহীতার
সম্মুখীন হতে হতে হবে। তাদের হিসেব তারা দিবে। তবে তাদের থেকে যদি কুরআন ও সুন্নাহের
আলোকে সঠিক ভাবে দ্বীনি কোন বিষয় জানতে পারেন তাহলে তা গ্রহণ করতে কোন বাধা - নিষেধ
নেই। ভালো বিষয় গ্রহণ করা ও মন্দ বিষয় পরিহার করা।