আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
মসজিদ কমিটি জানে ওই লোক সুদি ব্যাংকে চাকরি করে, তাও মসজিদের ২য় তালা করতে ওই লোক থেকে টাকা নিচ্ছে
এটা কি জায়েজ হবে???

এমনকি জুমার নামজের সময় নাম ধরে ঘোষণা করা হচ্ছে।

এতে অনেকেই এটাকে জায়েজ মনে করতেছে
কেউ আবার না-জায়েজ বলতেছে

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান মতে হারাম টাকা মসজিদে দান করা জায়েজ নেই।
যদি কাহারো পুরা বা অধিকাংশ কামাই হারাম হয়,তাহলে তার দান মসজিদে গ্রহন করা জায়েজ নেই।
যদি কাহারো কামাই হালাল হারাম মিশ্রিত হয়,এক্ষেত্রে যদি হালাল বেশি হয়,তাহলে তার সম্পদ মসজিদ নির্মানের নেওয়া জায়েজ আছে।
অন্যথায় জায়েজ নেই।

শরীয়তের বিধান মতে হারাম সম্পদ দ্বারা নির্মিত মসজিদে নামাজ পড়া মাকরুহ।
এথেকে পরিত্রানের উপায় হলো,যত টুকু হারাম সম্পদ মসজিদ নির্মানে ব্যবহার হয়েছে,সেটি খরচ কারীর নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৩/৩৪০ ইমদাদুল ফাতওয়া ২/৬৭২)
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَقْبَلُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ صَدَقَةً مِنْ غُلُولٍ وَلَا صَلَاةً بِغَيْرِ طُهُورٍ " .

আবুল মালীহ্ (রহঃ) হতে তার পিতা সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ আত্মসাৎকৃত মালের দান এবং পবিত্রতা ছাড়া সলাত কবুল করেন না।

(আবু দাউদ ৫৯.নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতাম অনুঃ উযু ফারয, হাঃ ১৩৯ এবং অধ্যায়ঃ যাকাত, অনুঃ হারাম পন্থায় উপার্জিত মালের সাদাকা, হাঃ ২৫২৩), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ আল্লাহ পবিত্রতা ব্যতীত সালাত কবুল করেন না, হাঃ ২৭১) হাফিয ইবনু হাজার ‘ফাতহুল বারী’ (৩/৩২৬) গ্রন্থে বলেন, এর সানাদ সহীহ।

أما لو أنفق في ذٰلک مالاً خبیثًا ومالاً سببہ الخبیث والطیب، فیکرہ؛ لأن اللّٰہ تعالیٰ لا یقبل إلا الطیب، فیکرہ تلویث بیتہ بما لا یقبلہ۔ (رد المحتار، کتاب الصلاۃ / مطلب: کلمۃ ’’لا بأس‘‘ دلیل علی أن المستحب غیرہ ۱؍۶۵۸ کراچی، ۲؍۶۳۱ زکریا، کذا في حاشیۃ الطحطاوي علی الدر المختار، کتاب الصلاۃ / باب ما یفسد الصلاۃ وما یکرہ فیہا ۱؍۲۷۸ دار المعرفۃ بیروت)
সারমর্মঃ
যদি কেহ হারাম সম্পদ দান করে,তাহলে তাহা মাকরুহ হবে।কেননা মহান আল্লাহ তায়ালা হালাল ও পবিত্র মাল ছাড়া গ্রহণ করেন না।
সুতরাং যে দান আল্লাহ কবুল করেননা,সেটা মসজিদে যুক্ত করা মাকরুহ।
,
لأن سبیل الکسب الخبیث التصدق إذا تعذر الرد علی صاحبہ۔ (شامي، کتاب الحظر والإباحۃ / باب الاستبراء، فصل في البیع ۶؍۳۸۵ کراچی، ۹؍۵۵۳ زکریا، الفتاویٰ الہندیۃ ۵؍۳۴۹)
সারমর্মঃ কেননা এর পদ্ধতি হলো যদি মূল মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া অসম্ভব হয়,তাহলে সদকাহ করে দেওয়া। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির যদি আর কোনো ইমকাম সোর্স না থাকে,বা থাকলেও তার ব্যাংকের বেতনই সেই ইনকাম থেকে বেশি হয়,মোট কথা তার যদি পুরা বা অধিকাংশ কামাই হারাম হয়,তাহলে তার দান মসজিদে গ্রহন করা জায়েজ নেই।

এক্ষেত্রে তার দান গ্রহন করা হলে সমপরিমাণ টাকা তার নিকট ফেরত দিতে হবে,ফেরত দেয়া অসম্ভব হলে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনদেরকে দান করে দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...