আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
১.বৃষ্টির সময় রাস্তায় বের হলে , কাপড়ে যে কাদা লাগে তা কি পাক অর্থাৎ ঐ কাপড়ে নামাজ পড়া যাবে ?

২. নিজ এলাকার বাইরে গিয়ে অন্য মসজিদে ( যেখানে খাবার ব্যবস্থা আছে ) এতেকাফ করা যাবে ? কারণ বাসা থেকে খাবার নিয়ে যাওয়ার মতো কেউ নেই |

৩. কেউ যদি শুধু মাত্র হালাল রুজি অন্বেষণের নিয়তে দুনিয়াবি পড়া - লেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ৪/৫ বছর অর্থ, সময় , মানসিক শ্রম ব্যয় করে ; তাহলে তার এই কাজ ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে ?

∆ উস্তাদ , প্রশ্নের উত্তর দলিল ব্যতীত সংক্ষেপে দিলে হবে |

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন

وثيابك فطهر

কাপড় পবিত্র রাখো,,,
(সুরা আল মুদ্দাচ্ছির ০৪)

https://www.ifatwa.info/2677 নং ফাতাওয়ায় বর্ণনা করা হয়েছে যে,

ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,

(قوله: وطين شارع)طين الشوارع عفو وإن ملأ الثوب للضرورة ولو مختلطا بالعذرات وتجوز الصلاة معه.................أقول: والعفو مقيد بما إذا لم يظهر فيه أثر النجاسة كما نقله في الفتح عن التجنيس

প্রয়োজনের ধরুণ রাস্তার মাঠি ক্ষমাযোগ্য। যদিও কাপড় মাঠি দ্বারা লেপ্টে যাউক না কেন এবং যদিও সেই মাঠি নাজাসত দ্বারা মিশ্রিত হউক না কেন।এদ্ধারা নামায বিশুদ্ধ হবে।তবে যদি  নাজাসতের চিন্থ দৃশ্যমান থাকে,(এক দিরহামের বেশী হলে)তাহলে নামায বিশুদ্ধ হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৪২৪) 

শরীয়তের বিধান মতে সাধারণ অবস্থায় রাস্তার কাদা পাক। তা কাপড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হবে না। তবে যদি কাদায় নাপাকি দেখা যায় কিংবা নাপাকির গন্ধ অথবা রং প্রকাশ পায় তবে তা নাপাক। এটি কাপড়ে লাগলে ঐ জায়গা ধুয়ে নিতে হবে। 

আলআশবাহ ওয়ান নাযাইর ১/১৯৯; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৪/২৩; ফাতহুল কাদীর ১/১৮৬; আততাজনীস ১/২৫৯।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
সাধারণ অবস্থায় রাস্তার কাদা পাক। তা কাপড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হবে না। তবে যদি কাদায় নাপাকি দেখা যায় কিংবা নাপাকির গন্ধ অথবা রং প্রকাশ পায় তবে তা নাপাক।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার কাপড়ে কাদা লাগার পর তাতে নাপাকির গন্ধ অথবা রং না পেলে সেই কাপড়ে নামাজ পড়া যাবে।

(০২)
এক্ষেত্রে নিজ এলাকার মসজিদে যদি অন্য কেউ ইতিকাফে বসে থাকে,তাহলে এটি জায়েজ হবে।

আর যদি নিজ এলাকার মসজিদে কেউ ইতিকাফে না বসে,সেক্ষেত্রে এটি জায়েজ হবেনা।

(০২)
সে হালাল রুজি অন্বেষণের নিয়ত কেনো করছে?  অবশ্যই দ্বীন মানার জন্য,হারাম থেকে বাঁচার জন্য,তার মানে এখানেও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের বিষয় থাকছে।

তাই আশা করা যায়, এক্ষেত্রেও সে ছওয়াব পাবে,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...