আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
1,443 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (36 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।আমি জানি যে নারীরা পরপুরুষের সামনে চলার জন্য জোরে আওয়াজ করা হাঁটা পর্দার খেলাফ।পবিত্র কোরআনে এ সম্পর্কিত আয়াত ও আছে।এখন আমার প্রশ্নটি হল হাই হিল জুতা পরে রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় রাস্তায় যে আওয়াজ হয় তার জন্য কী পর্দার খেলাফ হবে?আর তার জন্য কী কখন হাই হিল জুতা না পরে ফ্ল্যাট জুতা পরতে হবে?
by (0 points)
+1
আসসাামুআলাইকুম।আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন সেটার উত্তর বিস্তারিতভাবে দিতে গেলে সেটা সম্ভব হলেও অনেক  সময়সাপেক্ষ।তাই আপনার প্রতি আমার বিশেষভাবে অনুরোধ থাকলো নিচের লিংক থেকে ভিডিওটি দেখার। আশাকরি ভিডিওটি দেখলে আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর খুবই ভালভাবে পেয়ে যাবেন। ভিডিও লিংক:https://youtu.be/cO3oNpd_yW8

1 Answer

+2 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রথমেই আমরা কিছু হাদীস লক্ষ্য করিঃ

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا
‘নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার  সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরাণী ২৯৭৪)
,
আবু মুসা আল-আশআরী রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
قال رسول الله ﷺ :أيما امرأة استعطرت فمرت على قوم ليجدوا من ريحها فهي زانية

রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন, “যে নারী সুগন্ধি মেখে (পুরুষ) জনসমষ্টির পাশ দিয়ে গমন করে যাতে করে তার সুগন্ধি তাদের নাকে লাগে সে নারী ব্যভিচারী।” (মুসনাদে আহমাদ: ৪/৪১৮)
,
আমর ইবন শুয়াইব তার বাবা থেকে, আর তার বাবা তার দাদা হতে বর্ণনা করেছেন, ﷺ বলেছেন,
لَيْسَ مِنَّا مَنْ [ص:تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا، لَا تَشَبَّهُوا بِاليَهُودِ وَلَا بِالنَّصَارَى
“যে অন্য সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য বা মিল রেখে চলে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়, তোমরা ইয়াহূদী ও নাসারাদের সাথে সাদৃশ্য রেখো না।” (চাল-চলন, বেশ-ভূষায় তাদের অনুকরণ করো না)। (তিরমিযী: ২৬৯৫)
,
শরীয়তের বিধান হলো উঁচু হিল পরিধান করা তো জায়েজ আছে,তাবে না পড়াই উত্তম।
কেননা এটি এখন ফাহেশাহ বদকার মহিলাদের পছন্দনীয় বস্তুর মধ্য হতে।
এই তাদের সাদৃশ্যতা থেকে বেঁচে থাকাই উত্তম। 
(মুহাক্কক মুদাল্লাল জাদীদ মাসায়েল
১/৫৮০)

(۱) ما فی ’’ السنن لأبی داود ‘‘ : لقولہ علیہ السلام : ’’ من تشبہ بقوم فہو منہم ‘‘ ۔
(ص : ۵۵۹)
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন, যে যেই জাতীর সাথে সাদৃশ্যতা রাখবে,সে সেই জাতীরই অন্তর্ভুক্ত হবে।    

ما فی ’’ أحکام تجمیل النساء ‘‘ : لبس الکعب العالي محرم لأنہ من التبرج الذي ینہی اللہ عنہ ۔ (ص : ۲۳۳)
সারমর্মঃ  উঁচু হিল পরিধান করা  হারাম।

ما فی ’’فتاوی المرأۃ المسلمۃ ‘‘: لبس الکعب العالي لایجوز لأنہ یعرض المرأۃ للسقوط، والإنسان مأمور شرعاً بتجنب المخاطر ۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔ کما أنہ یظہر قامۃ المرأۃ وعجیزتہا بأکثر مما ہي علیہ ، وفي ہذا تدلیس وإبداء لبعض الزینۃ التي نہیت عن إبدائہا المرأۃ المؤمنۃ ۔ (ص : ۵۳۱؍۵۳۲)
সারমর্মঃ এটা মানুষকে পড়ে যাওয়ার উপক্রম করে দেয়,আর মানুষকে সব রকমের ক্ষতির মধ্যে পড়া থেকে নিষেধ করা হয়েছে।   

ما فی ’’ أحکام تجمیل النساء ‘‘: وأما النعال المرتفعۃ فلا تجوز إذا خرجت عن العادۃ، وأدت إلی التبرج وظہور المرأۃ ولفت النظر إلیہا فکل شيء یکو ن بہ تبرج المرأۃ وظہورہا وتمیزہا من بین النساء علی وجہ فیہ التجمل فإنہ محرم ولا یجوز لہا ۔
(ص : ۲۳۳ ، المطلب الثالث فی لباس القدمین)
সারমর্মঃ উঁচু হিল পরিধান করা জায়েজ নেই।     

★দারুল উলুম  দেওবন্দ এর 176023 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যেঃ
উঁচু হিল এটা শুধু ফ্যাশনের জন্য,এটার মধ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ফায়েদা নেই।
এই জন্য সব ছুরতেই এসব হিল পরিধান করা থেকে বেঁচে থাকা উচিত।
,
,

হাই-হিলের কারণে নারীরা সামনের দিকে অনেকখানি ঝুঁকে থাকে। এর কারণে তাকে হেলেদুলে প্রলোভন জাগানো ভঙ্গিতে চলাফেরা করতে হয়। তাতে কোরআনে যেসব নারীদের ব্যাপারে সতর্কবাণী এসেছে, এদের বেলায়ও তা পূর্ণভাবে মিলে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের বক্তব্য অনুসারেও হাই-হিল নারীর পিঠের ক্ষতি সাধন করে। তাছাড়া হাই-হিল থেকে একপ্রকার টক-টক আওয়াজ উচ্চকিত হয় যা পুরুষকে আকৃষ্ট করে। সুতরাং এমন ক্ষতিকর ও মন্দকাজের প্রতি আহ্বানকারী পোশাক কিছুতেই নারীর জন্যে শালীন হবে না এবং তাই ইসলামও সমর্থন করবে না। (ফতোয়া লাজনাতুদ দায়িমাহ, ৯/৪৬) 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সতর্কতা মূলক উঁচু হিল পরিধান না করাই উচিত।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...