আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ। দরূদে ইব্রাহিমে আমরা আল্লাহর নিকট দুয়া করি, আল্লাহ যেন মুহাম্মদ (সা) ও তাঁর বংশধরের উপর সেইভাবে রহমত, বরকত দেন যেভাবে ইব্রাহিম (আ) ও তাঁর বংশধরকে দিয়েছেন। এখানে কিছু প্রশ্ন আসে।
১) মুহাম্মদ(সা) তো বনী ইসমাইল গোত্রের। বনী ইসমাইলকে কি ইব্রাহিম(আ) এর বংশধর ধরা হয় না? যদি ধরা হয়, তাহলে তো মুহাম্মদ(সা) ইব্রাহিম(আ) এর বংশধর হয়ে যায়। তাহলে কেন আলাদা করে আবার বলি যে ইব্রাহিম(আ) এর বংশধরের মতো মুহাম্মদ (সা) ও তাঁর বংশধরের উপর রহমত করতে?
২) ইহুদীদের মতে, হাজেরা(আ) এর সাথে ইব্রাহিম (আ) এর বিয়ে হয় নি। তিনি কেবল দাসী ছিলেন। এটা কি সত্য? কুরআন হাদীসের কোথাও কি এর স্বপক্ষে/বিপক্ষে কোন রেফারেন্স আছে?
৩) দাসীর পুত্র কি ওয়ারিশ সূত্রে সম্পত্তির অংশ পায়?
অন্য কিছু প্রশ্ন-

৪) আহলে বাইত কারা? কুরআনের একটা আয়াতে বলা আছে, দাওয়াতের বিনিময়ে রসূল কেবল আমাদের থেকে আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা চান। এটা দ্বারা কি বুঝিয়েছেন? এরকম কোনো সহীহ হাদিস বা কুরআনের আয়াত কি আছে, যেখানে বলা আছে আহলে বাইতকে আঁকড়ে ধরতে?
৫) হযরত আলী (রা) এবং ফাতিমা (রা) ছিলেন মুহাম্মদ (সা) এর আপন মানুষ। এরকম কাছের মানুষ হয়েও হাদিস গ্রন্থে এদের বর্ণিত হাদিস খুব কম পাওয়া যায়। এর বিশেষ কোনো কারণ আছে কি?
৬) ফিতনার সময়ে কুরআন এবং রসূলের সুন্নাহ আঁকড়ে ধরা বিষয়ক কোনো সহীহ হাদিস আছে উস্তাদ?
৭) আমরা জানি, বেশিরভাগ নবীরাসূল বনী ইসরাইল থেকে এসেছেন। এর কি বিশেষ কোনো কারণ আছে? ইব্রাহীম (আ) কি এরকম কোনো দুয়া করেছিলেন?  কুরআনে কি এর কোনো রেফারেন্স আছে?
৮) শুনেছি, প্রত্যেক নবী রাসূলের বিশেষ একটা করে দুয়া থাকে,  যেগুলো আল্লাহ বিশেষ ভাবে কবুল করেন। কার কি দুয়া ছিলো,  এই ব্যপারে কোথা থেকে জানতে পারি? নবী রাসূলদের সব দুয়া কি কবুল হতো না?
আফওয়ান উস্তাদ। অনেকগুলো প্রশ্ন করে ফেলেছি। এইগুলো খুব পীড়া দিচ্ছে।  অনেকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে চান। কিন্তু ভুল জায়গা থেকে ভুল উত্তর পেয়ে নিজেদের বিশ্বাস এলোমেলো করে ফেলছেন।
তাই সঠিক উত্তর জানতে এখানে প্রশ্ন করা।

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "

 তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....

মুহতারাম/মুহতারামাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।

উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।

তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
 ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)

সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দিক, আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...