ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহর ফরয হুকুমকে ঠিক ঠিক ভাবে অনুসরণ করতে এবং নিষিদ্ধ বিষয় থেকে বাঁচতে যত বিষয় সম্পর্কে যতটুকু ইলমের প্রয়োজন ততটুকু ইলম শিক্ষা ফরয।যেমন,নামায আল্লাহর ফরয বিধান,নামায পড়ার জন্য পবিত্রতা অর্জন শর্ত।তাই পবিত্রতার ইলম অর্জন ফরয।ঠিকতেমনি কেরাত ফরয, তাই কেরাত শিক্ষা ফরয।ঈমান আনয়নের জন্য শিরক মুক্ত হয়ে মনেপ্রাণেএকমাত্র আল্লাহকে বিশ্বাস করা ও তার বিধি-বিধান কে মান্য ফরয।তাই এ সম্পর্কীয় ইলম অর্জন ফরয।এবং রোযা আল্লাহর ফরয বিধান।রোযা রাখতে হলে তার করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় সম্পর্কে যথেষ্ পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয।অর্থাৎ যতটুকু ইলম হলে রোযাকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়,ততটুকু পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয।ইত্যাদি ইত্যাদি। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3782
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আলিয়া মাদ্রাসা এবং কওমি মাদ্রাসা, দু'টিতেই ফরযে আইন ও ফরযে কেফায়া সমপরিমাণ ইলম শিক্ষার সিলেবাস রয়েছে। তবে অধিকাংশ মাদরাসার বিবেচনায় কওমী মাদরাসা সমূহেই পরিপূর্ণ গুরুত্বের সাথে শিক্ষা দেওয়া হয়, যদিও দুনিয়াবী বিবেচনায় সেই সার্টিফিকেট ততটা শক্তিশালী না।
যে পড়ার কোন ভ্যালু / মূল্য নাই সেটি পড়ে কি হবে? যেহেতু এদ্বারা দ্বীনি শিক্ষাকে অস্বীকার করা হচ্ছে না বরং সার্টিফিকেট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তাই ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। যদিও দ্বীন শিখতে গিয়ে সার্টিফিকেটের দিকে থাকানো কখনো উচিত নয়।