আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in পবিত্রতা (Purity) by (30 points)
edited by
১/একটি নাপাক কাপড় পাউডার দিয়ে ধুয়ে শুকানোর পর  কাপড়ের একটি জায়গায় কিছু  শুকনো পাউডার দেখতে পেলাম, হাত দিয়ে কিছুক্ষণ ঘষার পর চলে গেলো।  কাপড়টি পাক না নাপাক ধরবো?

২/আসার বাবা সিগারেট খায়, আমার হাতে সিগারেট আনায় আমি যদি অন্য বাজারের সাথে বা শুধু এমনি সিগারেট এনে দি আমার কি গুনাহ হবে? যদি গুনাহ হয়, আমি না আনতে চাইলে কিভাবে তাকে মানা করতে পারি।

উনি আমার দ্বীন পালনের বিভিন্ন বিষয়ে তিরস্কার ও করে। দরবেশ বলে আমাকে পিছনে।

৩/অনেক সময় বাচ্চা কাথায় প্রস্রাব করলে তাকিয়ে বুঝিনা, হাত দিয়ে কাথা ধরলে বুঝি। কিন্তু হাত ভিজে না। বা কোনো সময় হাত ঘামানো ঘামানো অবস্থা হয়, তাও সেকেন্ডর মধ্যে শুকিয়ে যায়। এক জায়গায় দেখলাম হাত এই পরিমাণ ভিজতে হবে যেনো হাত থেকে এক ফোটা পানি পড়ে, (কাপড়ের হুকুমের মতই) এটা কি ঠিক?

ঘামানো অবস্থার হুকুম কি? এটা নিয়ে সন্দেহ
by (30 points)
আসসালামুআলাইকুম, হুজুর ১নং প্রশ্নে কাপড়টি ধোয়ার সাথে সাথে কি কাপড়ের সাথে লেগে থাকা পাউডার গুলো ও ধোয়া বা পাক হয়ে যায় না কি?

৩ নং প্রশ্নটি আপনি ভুল পড়েছেন হয়তো। তাই পুনরায় পড়ার অনুরোধ থাকলো।
জাযাকাল্লাহ খইরান।

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
উক্ত কাপড় পানি দিয়ে তিনবার ধোয়া লাগবে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে নিতে হবে। 
তাহলে সেটি পাক হবে।

(০২)
গুনাহের কাজে মাতা পিতার আদেশ মানা জায়েজ নেই।

হাদীস শরীফে এসেছে,রাসূলুল্লাহ সাঃবলেন-

لا طاعة في معصية إنما الطاعة في المعروف

গোনাহের কাজে কারো বশ্যতা স্বীকার করা যাবে না।(শরীয়ত যাদের বিধিনিষেধ মেনে চলার আদেশ দিয়েছে তাদের) আদেশ শুধুমাত্র বৈধ ও নেকীর কাজে মানা যাবে।(সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০)

অন্য এক হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,

لَا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ

আল্লাহর অবাধ্যতায় কারো বিধিনিষেধ কে মান্য করা যাবে না।(মুসনাদে আহমাদ-১০৯৮)

চার মাযহাবের গ্রহণযোগ্য ফেকহী গ্রন্থ 'আল-মা'সুআতুল ফেকহীয়্যায়(২৮/৩২৭)' বর্ণিত রয়েছে,

"طاعة المخلوقين - ممّن تجب طاعتهم – كالوالدين ، والزّوج ، وولاة الأمر : فإنّ وجوب طاعتهم مقيّد بأن لا يكون في معصية ، إذ لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق" انتهى

শরীয়ত কর্তৃক যাদের বিধিনিষেধের অনুসরণ করা ওয়াজিব।যেমনঃ মাতাপিতা,স্বামী,এবং রাষ্ট্রীয় প্রধান বা তাদের আদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ।তাদের বিধিনিষেধ আমলে নেয়া তখনই ওয়াজিব যখন তা শরীয়ত বিরোধী হবে না।কেননা 'সৃষ্টিকর্তার নাফরমানীতে কোনো সৃষ্টজীবের অনুসরণ করা যায় না'(মর্মে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে)

ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহঃ লিখেন,

ويلزم الإنسان طاعة والديه في غير المعصية وإن كانا فاسقين ، وهو ظاهر إطلاق أحمد ، وهذا فيما فيه منفعة لهما ولا ضرر ، فإن شق عليه ولم يضره : وجب ، وإلا فلا

গোনাহের কাজ ব্যতীত মুবাহ তথা বৈধ কাজে
মাতা পিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।যদি তার ফাসিকও হয়।এটা তখন যখন তাতে মাতাপিতার ফায়দা থাকবে,এবং সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক হবে না।যদি সন্তানের উপর কষ্টদায়ক হয় তবে ক্ষতিকারক না হয়, তাহলে তখন মাতাপিতার আদেশ মান্য করা ওয়াজিব নয়।(আল-ফাতাওয়াল কুবরা-৫/৩৮১)

★মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২)যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩)যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা তাদের সন্তানদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।

সুতরাং যদি সন্তানের কষ্ট লাগবের জন্য তারা আদেশ দিয়ে থাকেন,তাহলে এক্ষেত্রে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1707

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবার সিগারেট আনার আদেশ মানা যাবেনা। 

আপনার বাবা যদি আপনার হাতে সিগারেট আনায়,আপনি যদি অন্য বাজারের সাথে বা শুধু এমনি সিগারেট এনে দেন,এতে আপনার গুনাহের কাজে সহযোগিতার জন্যে গুনাহ হবে।

এক্ষেত্রে হিকমত খাটিয়ে সিগারেট না আনার বিভিন্ন অজুহাত দেখাবেন।

(০৩)
বাচ্চা কাথায় পেশাব করলে সেই কাথা নাপাক হয়ে যাবে। 
এক্ষেত্রে আপনি যদি নিশ্চিত না হোন,সেক্ষেত্রে পেশাবের চিহ্ন বা গন্ধ পেলে সেই কাথাকে নাপাক ধরবেন,নতুবা পাক হিসেবেই গন্য করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 197 views
...