আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম। দয়া করে উত্তর দিবেন। হবু বরকে মাসালা জানতে নিষেধ করেছি কারন তালাক কত ভাবেই হয়ে  যায়। যেহেতু মেয়েরা বললে কিছু হয় না তাই আমি প্রশ্ন করছি। মাফ করে দিবেন। উত্তর গুলো পয়েন্ট আকারে দিয়েন দয়া করে।

আমার হবু বর কে আমি একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম যে বিয়ের আগে এমন অনেক কথা আছে যেগুলো বললে বিয়ের পরে তালাক হয়। সে এগুলো কোনো সময়ে বলেছিল কিনা। তখন সে আমাকে রাগ করে বললো যে,
১) আমি কোনোদিন এমন বলি নি। আমি যখন জোরা জোরি করলাম তখন সে বললো যে, "বিয়ের পরে প্রব্লেম হলে আমার হবে, তোমার কিছু হবে না"

এখন বিয়ের পরে প্রব্লেম হলে আমার হবে, এই কথা বলার কারনে কি বিয়ের পরে কোনো সমস্যা হবে?

২) আর একদিন তালাকের কথা বলতে গিয়ে সে আমাকে বলল যে- "আচ্ছা যাও আমিও তোমাকে তালাক দিয়ে দিবো,  তুমি যদি পরে  চাও"।---- আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম এটা কি বললা তুমি? তখন সে আমাকে বললো যে, ----- " বললাম যে লাগলে দিবো। সত্তি সত্তি দিছি নাকি।  এই কথা বলার কারনে কি বিয়ের পরে কোনো তালাক হবে?
৩) এর পরে আমি আবার জানতে চাইলাম তখন বললো যে- " যদি  আমাদের বিয়ে হয়, আর কোনো সময় আমার সাথে থাকতে না চাও, তাহলে নতুন বিয়ে করতে তো তোমার ওটা ( তালাক) লাগবে। তখন তোমার শান্তির জন্য আমি বলবো সমস্যা নাই।"

এটা বলার কারনে কি বিয়ের পরে কোনো তালাক হবে?

৪) একদিন সে আমাকে ম্যাসেজ এ বলেছিল যে----" কোনো মেয়ে বিয়ের আগে কিছু করেছে কিনা, যদি আমাকে এসব না জানায়, আমার কাছে লুকায়, আর বিয়ের পরে আমি অন্য কিছুর মাধ্যমে জানতে  পারলে তাহলে আমি তাকে  সাথে সাথে তালাক দিয়ে দিবো, যাকেই বিয়ে করি না কেন"। এমন করে বলার কারনে কি বিয়ের  পরে সমস্যা,  তালাক হবে  কোনো?
তখন আমি তাকে ম্যাসেজ এই  বললাম যে, এমন করে অনেক কথা আছে - কেউ যদি বিয়ের আগে বলে  তাহলে, তার বউ নাকি তালাক হইতেই থাকে। তখন আমাকে রিপ্লাই  তে বলল যে- তোমাকে বলি নাই। যদি কাউকে বিয়ে করি, সে যদি আমার সাথে লুকায় তাকে বলছি। এখানে এই ম্যাসেজ এ  বলার সময়   সে কোনো তালাক উচ্চারণ করে নি। কথা গুলো এভাবেই বলেছিলো।

 এখন এমন করে বলার কারনে কি বিয়ের পরে কোনো তালাক হবে?
৪) সে যদি মুখে উচ্চারণ করে করে টাইপ করে। যেমন- "বিয়ের পরে অন্য কিছুর মাধ্যমে জানতে পারলে সাথে সাথে তালাক" এমন যদি মুখে বলে আর টাইপ করার সময়  যদি সে লিখে- "সাথে সাথে তালাক দিয়ে দিবো"  সে মুখে উচ্চারণ করেছিল কিনা সে মনে করতে পারছে না। ম্যাসেজ এর কথা টাই তার শুধু মনে আছে।  এখন তাহলে কোনটা ধরা হবে?  এসব কথার জন্য কি  বিয়ের পরে কোনো তালাক হবে?

দয়া করে আমাকে মাফ করে দিবেন। আর উত্তর গুলো দিবেন। আমাকে দয়া করুন।

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

বিবাহের পূর্বে সাধারণত তালাক পতিত হয়না। 
হ্যাঁ বিবাহের দিকে ঈঙ্গিত করে শর্তযুক্ত তালাক দিলে তালাক হবে। 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ عَنْ جُوَيْبِرٍ عَنْ الضَّحَّاكِ عَنْ النَّزَّالِ بْنِ سَبْرَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ قَبْلَ النِّكَاحِ

‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বিবাহের পূর্বে তালাক নাই।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৪৯)

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَنْبَأَنَا عَامِرٌ الْأَحْوَلُ ح و حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ جَمِيعًا عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ فِيمَا لَا تَمْلِكُ

‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তালাক দেয়ার অধিকার জন্মানোর আগে প্রদত্ত তালাক কার্যকর হয় না।

তিরমিযী ১১৮১, আবূ দাউদ ২১৯০, সহীহ, ইরওয়াহ ১৭৫১, ২০৬৯, সহীহ আবী দাউদ ১৯০০, ইবনে মাজাহ ২০৪৭ রাওদুন নাদীর ৫৭১, আত-তা'লীকু আলাত তানকীল ২/৬২।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এই কথা বলার কারনে বিয়ের পরে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০২)
এই কথা বলার কারনে বিয়ের পরে কোনো তালাক হবেনা।

(০৩)
এটা বলার কারনে বিয়ের পরে কোনো তালাক হবেনা।

(০৪)
এমন করে বলার কারনে বিয়ের পরে কোনো তালাক হবেনা।

(০৫)
এসব কথার জন্য বিয়ের পরে কোনো তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...