আসসালমুআলাইকুম,
শায়েখ আমার একটা রোগ আছে , বিয়ের আগে আমার রোগ সম্পর্কে স্ত্রী জানতো। হটাৎ করে রোগের ওষধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম । দিয়ে রোগ টা বেড়ে জাই। আর এর জন্য আমি স্ত্রী কে বিরক্ত করতে থাকি কি হবে না হবে এই সব ভাবনা নিয়ে সারাক্ষণ চিন্তায় থাকি!
এই সব এর জন্য স্ত্রী ফোন করেছিলো, দিয়ে বলছিলো আর কতদিন এই রকম করবো , স্ত্রী বলছে তার জীবনে শান্তি নাই , ইত্যাদি কথা হচ্ছিলো।
এই রোগ সম্পর্কে স্ত্রী ভালোভাবেই জানতো। কিন্তু তার বাড়ি লোক কিছুটা জানতো।
""ফোনে যখন স্ত্রীর সাতে কথা হচ্ছিলো, স্ত্রী বলছে আমি এই ভাবে চলতে পারবনা। আর তোমার যা প্রবলেম তুমি আমাকে কি ভাবে ভালো রাখবে। আমি তো তোমাকে ভালো রাখতে পারছিনা। তাই তুমি যে ভাবে ভালো থাকবা সেই টা করতে হবে।
দিয়ে স্ত্রী বলছে আর লুকিয়ে লাভ নেই তোমার আমার বাড়ির লোক কে জানানো হৌক । তারা যা সিদ্ধান্ত নিবে তাই করবো। "'""
আমি কান্না করছিলাম, আমি বলছিলাম এ সব কি বলছো, শেষে আমি বললাম তুমি যখন বাড়িতে বলতে বলছ তাই বলবো। তারা যা বলবে তাই করতে হবে। ( এই ঝামেলার সময় আমার বিশ্বাস আমি কোনো কেনিয়া বাক্য উচ্চরণ করিনি , করলেও মনে নেই)
১. হুজুর এই ঘটনার ৩ ঘণ্টা পর স্ত্রীর কাছে গিয়ে সমস্ত ঝামেলা ঠিক করে নিয়েছি। এবং আমি রোগের ওষধ ও খাচ্ছি। স্ত্রীর বাবার মাথার প্রবলেম তাই চিন্তা করবে। তাই কিছুই বলনি। আমরা নিজেদের মধ্যে ঠিক করে নিয়েছি।
ওপরে র বর্ণনা অনুযা়ী কি কোনো তালাক হবে?
২. যেহেতু আমরা নিজেরাই সব ঠিক করে নিয়েছি তাহলে নতুন করে আর মজলিস করার দরকার নেই তো?
পরবর্তী তে স্ত্রী কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এই সব কথা কেনো বললে স্ত্রী বললো তোমার আব্বু আমার বাড়ির লোক আলোচনা করে ভালো ডাক্তার দেখানোর জন্য, বলেছিলাম।