আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in পবিত্রতা (Purity) by (35 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।উস্তাদ  একটু  তাড়াতাড়ি প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলে ভালো হয়।

১/আমার যখন হায়েজ হয় তখন প্রায়  ১ দিনের মত রক্তস্রাব লজ্জাস্থানের বাইরে বের হয় না।এই অবস্থায় আমি আর নামায পড়তাম না।পরে আমি জানতে পেরেছি রক্তস্রাব লজ্জাস্থানের বাইরে বের হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাকে নামাজ পড়তে হবে।এখন আমিতো সব সময় এমন করতাম।তাহলে কি আমাকে এখন ঐ নামাজগুলো কাজা আদায় করতে হবে? কিন্তু আমিতো জানিনা এভাবে মোট কয় ওয়াক্ত নামায কাযা হয়েছে।তাহলে এখন কি করব?

২/আমার রক্তস্রাব ৩দিন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়।এরপরে আবার প্রায় একদিন রক্তস্রাব লজ্জাস্থানের বাইরে বের হয় না।কিন্তু লজ্জাস্থানের ভিতরে গোলাটে রঙের  স্রাব দেখা যায়।যেহেতু রক্তস্রাব লজ্জাস্থানের বাইরে বের হয়না তাহলে কি আমাকে তখন নামাজ পড়তে হবে?যদি নামাজ পড়তে হয় তাহলে কি এর জন্য  আমাকে ফরজ গোসল করতে হবে?  কারন আমি তো জানি পঞ্চম দিন আমার আবার রক্তস্রাব লজ্জাস্থানের বাইরে বের হবে।

৩/পঞ্চম দিন কয়েক সেকেন্ডের  জন্য রক্তস্রাব বের হয়। এরপর থেকে আরো প্রায় ২-৪ দিন পর্যন্ত কোন রক্তস্রাব বের হয় না। কিন্তুু লজ্জাস্থানের ভিতরে ঠিকি গোলাটে রঙের স্রাব দেখা যায়।যেহেতু কোন রক্তস্রাব বের হয় না তাহলে কি আমাকে উক্ত দিনগুলোর নামাজ পড়তে হবে?
৪/হায়েজের ৪র্থ থেকে ৮ম দিন গুলোর মধ্যে কখনোও রক্তস্রাব বের হয় আবার কখনও বের হয়না এই অবস্থায় নামাজের ব্যাপারে আমার করণীয় কী?

(বি.দ্র) রক্তস্রাব  লজ্জাস্থানের বাইরে বের হোক বা না হোক এভাবে আমার হায়েজ সর্বমোট ৬-৮ দিন থাকে।এর পর আমার স্রাবের রঙ সম্পূর্ণ সাদা হয়।যেহেতু ১০ দিন অতিবাহিত হয় না সেজন্য আমি নিজেকে ইস্তেহাজার রুগি ও বলতে পারছিনা।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

(১) আপনাকে ঐ নামাজগুলো কাজা আদায় করতে হবে।কেননা হায়েযের সূচনাতে লজ্জস্থানের বাহিরে রক্তস্রাব না আসলে, সেটা হায়েয বলে গণ্য হবে না। আপনি ধারণার উপর আ'মল করে নামায কাযা করে নিবেন। 

(২) যেদিন থেকে হায়েযের রক্ত লজ্জাস্থানের বাহিরে আসবে, সেদিন থেকে নিয়ে লাগাতার হায়েয গণ্য হবে, চায় রক্তস্রাব লজ্জাস্থানের বাহিরে আসুক বা না আসুক।

(৩) যেদিন থেকে হায়েযের রক্ত লজ্জাস্থানের বাহিরে আসবে, সেদিন থেকে নিয়ে লাগাতার হায়েয গণ্য হবে, চায় রক্তস্রাব লজ্জাস্থানের বাহিরে আসুক বা না আসুক। রক্তস্রাব পরিপূর্ণ বন্ধ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত হায়েয গণনা করা হবে।

(৪) হায়েজের ৪র্থ থেকে ৮ম দিন গুলোর মধ্যে কখনোও রক্তস্রাব বের হয় আবার কখনও বের হয়না এই অবস্থায় নামাজ পড়া যাবে না।বরং এ সময়কে হায়েয হিসেবে বিবেচনা করা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (35 points)
উস্তাদ আমার হায়েয বেশির ভাগই ৬দিন থাকে। ৮দিন খুব কমই হয়।তাহলে কি ৬দিন হায়েয ধরবো আর বাকি ২দিন ইস্তেহাজা ধরবো।
by (583,410 points)
গত মাসের হিসাব অনুযায়ী হায়েয ধরে নিবেন। যদি গত মাসে ৬ দিন হায়েয হয়ে থাকে, তাহলে ৬ দিন হায়েয ধরে নিয়ে বাকী দিন সমূহ কে  ইস্তেহাযা ধরে নিবেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...