ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/7474
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনাকে ঐ নামাজগুলো কাজা আদায় করতে হবে।কেননা হায়েযের সূচনাতে লজ্জস্থানের বাহিরে রক্তস্রাব না আসলে, সেটা হায়েয বলে গণ্য হবে না। আপনি ধারণার উপর আ'মল করে নামায কাযা করে নিবেন।
(২) যেদিন থেকে হায়েযের রক্ত লজ্জাস্থানের বাহিরে আসবে, সেদিন থেকে নিয়ে লাগাতার হায়েয গণ্য হবে, চায় রক্তস্রাব লজ্জাস্থানের বাহিরে আসুক বা না আসুক।
(৩) যেদিন থেকে হায়েযের রক্ত লজ্জাস্থানের বাহিরে আসবে, সেদিন থেকে নিয়ে লাগাতার হায়েয গণ্য হবে, চায় রক্তস্রাব লজ্জাস্থানের বাহিরে আসুক বা না আসুক। রক্তস্রাব পরিপূর্ণ বন্ধ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত হায়েয গণনা করা হবে।
(৪) হায়েজের ৪র্থ থেকে ৮ম দিন গুলোর মধ্যে কখনোও রক্তস্রাব বের হয় আবার কখনও বের হয়না এই অবস্থায় নামাজ পড়া যাবে না।বরং এ সময়কে হায়েয হিসেবে বিবেচনা করা হবে।