ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ মূসা আল আশ্’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَعَاهَدُوا الْقُرْآنَ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَهْوَ أَشَدُّ تَفَصِّيًا مِنَ الْإِبِلِ فِي عُقُلِهَا»
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সবসময় কুরআনের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। যাঁর হাতে আমার জীবন নিহিত, তাঁর শপথ, নিশ্চয় কুরআন সিনা হতে এত তাড়াতাড়ি বের হয়ে যায় যে, উটও তত তাড়াতাড়ি নিজের রশি ছিঁড়ে বের হয়ে যেতে পারে না। ( সহীহ : বুখারী ৫০৩৩, মুসলিম ৭৯১, ইবনু আবী শায়বাহ্ ৮৫৬৯, শু‘আবূল ঈমান ১৮০৯, সহীহ আত্ তারগীব ১৪৪৭, সহীহ আল জামি‘ ২৯৫৬,মিশকাত-২১৮৭)
স্বরণশক্তি বৃদ্ধির জন্য সর্বপ্রথম গোনাহকে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করতে হবে,
شَكَوتُ إِلى وَكيعٍ سوءَ حِفظي
فَأَرشَدَني إِلى تَركِ المَعاصي
وَأَخبَرَني بِأَنَّ العِلمَ نورٌ
وَنورُ اللَهِ لا يُهدى لِعاصي
ইমাম শাফেয়ী উনার উস্তাদ ওকি এর নিকট নিজের স্বরণশক্তির অভিযোগ করলে, উস্তাদ ওকি গোনাহ পরিত্যাগের পরামর্শ দিলেন, এবং বললেন যে, ইলম হল এক প্রকার নূর।আর আল্লাহর নূর কখনো কোনো গোনাহগারকে দেয়া হয় না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআনকে মুখস্থ করার জন্য সকল প্রকার গোনাহকে পরিত্যাগ করতে হবে। এবং সর্বদা তিলাওয়াত করতে হবে।