আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আমার ৩১শে জুলাই ২০১৯ 1st stage ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে.. বর্তমানে আমার বয়স ২১ বছর.. এখন আমি অনেকটাই সুস্থ আলহামদুলিল্লাহ.. স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছি আলহামদুলিল্লাহ..তবে ড বলেছে আমার একটা ঔষধ সারাজীবন খেয়ে যেতে হবে..এটা খাওয়া গ্যাপ দিলে পুনরায় ক্যান্সার আরো ভয়ংকর হয়ে ফিরে আসতে পারে...

আমার ঔষধ টার জন্য মাসে ২৫০০-৩০০০ টাকা লাগে বর্তমানে..

আমার বিয়ের জন্য কয়েকটা প্রস্তাব আসে আগে কিন্তু আমার মা বাবা ছেলে পক্ষকে ক্যান্সারের কথা জানাতে চান না..তাও আমি একটা প্রস্তাবে জানিয়েছিলাম ছেলেকে..ক্যান্সারের কথা শুনে উনি বিয়ে ক্যান্সেল করে দিয়েছেন.. আমার মনে হয় ক্যান্সারের কথা না জানালে কাউকে ঠকানো হবে.. আমার যদি পরবর্তীতে ক্যান্সার বেড়ে যায় তাহলে অপরাধ বোধে ভুগব..আর এইদিকে সব প্রস্তাব ক্যান্সেল করে দেওয়াতে আমার মা বাবা আমার উপর অসন্তুষ্ট..তারা বলেন জেনে বুঝে কেউ ক্যান্সার রোগীকে বিয়ে করবে না..

এমতাবস্থায় আমার কি করণীয়??

একদিকে মা বাবা অসন্তুষ্ট হয়ে আছে ক্যান্সারের কথা জানিয়ে দেওয়াতে আরেকদিকে আমার অপরাধ বোধ হচ্ছে যদি না জানিয়ে বিয়ে করি তাহলে ছেলে কে ঠকানো হবে..

(এমনিতেই আলহামদুলিল্লাহ আমি এখন সুস্থ আছি,জাস্ট ঔষধ টা কন্টিনিউ করতে হবে)

এমতাবস্থায় আমার কি করণীয়?!

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

বিবাহের পূর্ব পাত্র পাত্রীর এমন রোগ যাহা তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে একে অপরের হক আদায়ে ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,বা যার চিকিৎসা খুবই কঠিন। তাহলে এক্ষেত্রে উক্ত রোগ গোপন করা যাবেনা। এক্ষেত্রে রোগটি গোপন করলে এটি ধোকা দেওয়া হবে, যেটি জায়েজ নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন !

যদি রোগটি হালকা হয়, সেক্ষেত্রে রোগ গোপন করা যাবে। প্রশ্নে উল্লেখিত রোগটি যেহেতু গুরুত্বর যদিও নিয়মিত চিকিৎসাও চলছে, এক্ষেত্রে আপনার যদি প্রবল ধারনা হয় যে এই রোগের কারনে স্বামীর হক আদায়ে কোনো ত্রুটি হবে না, সেক্ষেত্রে রোগটি গোপন করতে পারবেন। তবে পাত্র পক্ষ যদি স্পষ্ট আকারে রোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে, সেক্ষেত্রে সত্য উত্তর দিতে হবে। সর্বপরি রোগের কথা জানিয়ে দেওয়াটাই শ্রেয়। কারণ, সাধারণত এসকল বিষয় গোপন রাখার কারণে পরবর্তিতে ফেতনা হয় অনেকের ভুল বুঝাবুঝির কারণে ডিভোর্সও হয়ে যায়। এজন্য উত্তম হবে, রোগের কথা পাত্রকে জানানো। আপনি দোয়া করতে থাকুন আল্লাহ চোহে তো উত্তম কোন জীবন সঙ্গী আপনার জন্য আল্লাহ তায়ালা ফায়সালা করবেন যদিও এক্ষেত্রে বিলম্ব হতে পারে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...