আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
102 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালমুআলাইকুম  ।
আমার account এ ৪ তার বেশি প্রশ্ন হয়েছে । তাই নিউ একাউন্ট খুললাম।
১. আমি একটা ঘর ভাড়া নিয়ে থাকি , এই মাসের ৫ তারিক ঘর চেঞ্জ করেছি । তাই বাড়ির মালিক কে টাকা কম নিতে বলছিলাম সে কোনো রকম শুনছিলেন না।
তখন আমি বলি " একটু রহম করুন চাচা"  তার পর ও তার মন টা একটু দুঃখী ছিল। এর জন্য আমার ঈমান এর সমস্যা হবে??
২. স্ত্রী বলছে আমার শরীর এর গঠন বা অমুক জায়গা তারা এর মত এই রকম কথা বলছে , দিয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করছে।আমি ভয় এ  জিহার হবে বলে চুপ ছিলাম। স্ত্রী বারবার জিজ্ঞাসা করার জন্য অতকিচু না ভেবে বললাম "হুম।" আমি কোনো তুলনা করিনি। এর জন্য কি যিহার হবে??
৩.দুই ব্যাক্তির মধ্যে ঝামেলা হচ্ছে , আমাকে বলছে বলুন তো কার দোষ। আমি কারো দোষ না দিয়ে বললাম ছেড়ে দেন( ঝামেলা করিয়েন না)।
ছেড়ে দেন বলার জন্য মনে খারাপ ভাবনা চলে এসেছিল । দিয়ে আমি আরো একবার বললাম ছেড়ে দেন। এই বিবরণে আমার বৈবাহিক সম্পর্কের কোনো সমস্যা হবে না তো?
৪. শায়েখ স্ত্রীর সঙ্গে একটু মন কষাকষি বা তর্ক বিতর্ক হলে বলি চুপ করো। আর কথা বাড়িয়েও না।
তর্ক বিতর্ক এর মাঝে বা শেষে স্ত্রীর কে অপমান করার জন্য বলতাম , তোমার মুখ দেখতে ইচ্ছা করছে না।  তোমার কাজ দেখে তোমার প্রতি ঘৃনা হচ্ছে। তোমার সাতে কথা বলার mood নেই। বা ইচ্ছা করছে না।  আমিও অনেক ভুল করেছি তাই  দুঃখ করে স্ত্রী কে  বলেছি আমার মুখ কি লজ্জায় দেখাবো? আমার   মুখ দেখাবো না । দুঃখে বলছি পড়ে স্ত্রী কে বলেছি আমাকে ক্ষমা করে দাও
এই সব ইত্যাদি কথার জন্য কি বৈবাহিক সম্পর্কের কোনো সমস্যা হবে??

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...