আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
reopened by

 এক প্রশ্নোত্তরে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন , একজন পর্দাশীল মহিলা ফেতনা থেকে বাচার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা জুরুরি, যা যা তার জন্য করা দরকার।

ফেতনার এই যোগে,,আত্মসম্মানবোধ নারী,যার বিতর আত্মসম্মানবোধ আছেন,তিনি অবশ্যই পর্দার বিধান গুলো মেনে চলবেন।

অর্থাৎ,বাহিরে কাপর চোপর রোদ দেওয়ার ফলে,কন্ঠ স্বর শুনার ফলেও ফেতনা সৃষ্টি হতে পারে  ইত্যাদি।

এখন আমার প্রশ্ন হলো, 

১: কেউ যদি ফেতনার আশংকা গুলো বেশি গুরুত্ব না দেন,তাহলে কি তিনি গুনাহগার হবেন?

২:মহিলাদের কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো সচরাচর ফেতনার আশংকা থাকেনা তবে হতে পারে,এমন অবস্থায় যদি ঐ মহিলা ঐদিকটাকে গুরুত্ব না দেয়,তাহলে ঐমহিলা গুনাহগার হবেন?

৩:একজন মহিলা যদি বোরকা পরিহিত অবস্থায় হাটার সময় প্রয়োজনে বোরকা উপরে তুলে হাটেন তখন বোরকার বিতর গোরালির উপরে পা মৌজা এবং ছেলোয়ার দেখা যায়।আর এতে যদি ফেতনার আশংকা থাকে,তাহলেকি ঐ মহিলার গুনাহ হবে? 

৪ঃবোরকা পড়ে ছেলোয়ার দেখানো জায়েজ আছে? বা এতে ফেতনার আশংকা থাকলে ঐ মহিলার গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (560,400 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/63796/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩১}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ فَإِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ "

ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমণী মাত্রই আবরণীয় (বিষয়), যখন সে বের হয় তখন শায়ত্বন তাকে সুশোভিত করে তোলে (বা শায়ত্বন হাত আড় করে তার প্রতি তাকায়।)

(সহীহ : তিরমিযী ১১৭৩, ইরওয়া ২৭৩, সহীহ আল জামি‘ ৬৬৯০।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মহিলাদের কিছু পোষাক তো এমন আছে,যেগুলোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
এগুলো যেনো পুরুষ এর দৃষ্টিতে না পড়ে,সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
এই পোশাক গুলি উপর পুরুষ এর নজর পড়ে,এমন স্থানে নাড়িয়ে দেয়া কবিরাহ গুনাহ।
কেননা এক্ষেত্রে পরপুরুষ এর লেলুপ দৃষ্টি সেগুলোর দিকে পড়ে,আর তারা যৌন আকাঙখা করে,বা তাদের মাথায় কুচিন্তা বাসা বাধে।

আর তাদের কিছু কাপড় এমন আছে,যাহা স্বাভাবিক,যাহার দিকে পুরুষ এর সাধারণত সেভাবে কুদৃষ্টি পড়বেনা,সেই কাপড় গুলো যদিও বাহিরে নেড়ে দিলে গুনাহ হবেনা,তবে বর্তমান ফিতনার যামানা হিসেবে সেই কাপড় গুলোও পরপুরুষ এর চোখে পড়েনা,এমন স্থানে নাড়িয়ে দেয়া তাকওয়ার পরিচায়ক। 
(আহকামুল কুরআন ৩/৪২৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
বর্তমান যামানা যেহেতু ফিতনার যামানা,তাই এই যামানায় ফিতনার থাকা সত্ত্বেও সেটিকে গুরুত্ব না দিয়ে চললে সেক্ষেত্রে তার গুনাহ হবে।

(০২)
"ফিতনার আশংকা থাকেনা,কিন্তু হতে পারে"

এটিকেও ফিতনার আশংকারই অন্তর্ভুক্ত হবে। 
তারপরেও এটিকে যদি শরীয়ত ও সমাজ ফিতনার আশংকার অন্তর্ভুক্ত মনে না করে,সেক্ষেত্রে কোনো মহিলা সেদিককে গুরুত্ব না দিলে তার গুনাহ হবেনা।

(০৩)


★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
এক্ষেত্রে বিশেষ প্রয়োজনে হলে গুনাহ হবেনা।
অপ্রয়োজনে হলে গুনাহ হবে।

তবুও ১ম ছুরতে ইস্তেগফার পাঠ করাই হলো সতর্কতা।

(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم :«صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا : قَومٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ البَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ، وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلاَتٌ مَائِلاَتٌ، رُؤُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ البُخْتِ المائِلَةِ لاَ يَدْخُلْنَ الجَنَّةَ، وَلاَ يَجِدْنَ رِيحَهَا، وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكذَا». رواه مسلم

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘দুই প্রকার জাহান্নামী লোক আমি [এখন পর্যন্ত] প্রত্যক্ষ করিনি [অর্থাৎ পরে তাদের আবির্ভাব ঘটবে]:  এমন এক সম্প্রদায় যাদের কাছে গরুর লেজের মত চাবুক থাকবে, যা দিয়ে তারা জনগণকে প্রহার করবে।  এমন এক শ্রেণীর মহিলা, যারা [এমন নগ্ন] পোশাক পরবে যে, [বাস্তবে] উলঙ্গ থাকবে, [পর পুরুষকে] নিজেদের প্রতি আকর্ষণ করবে ও নিজেরাও [পর পুরুষের প্রতি] আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথা হবে উটের হেলে যাওয়া কুজের মত। এ ধরনের মহিলারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং তার সুগন্ধও পাবে না। অথচ জান্নাতের সুগন্ধ এত এত দূরত্বের পথ থেকে পাওয়া যাবে।’’
(মুসলিম ২১২৮, সহীহাহ্ ১৩২৬, সহীহ আল জামি‘ ৩৭৯৯, সহীহ আত্ তারগীব ২০৪৪।)

★এক্ষেত্রে সালোয়ার আঁটো সাটো হলে তো কোনো ভাবেই জায়েজ নেই।

ঢিলেঢালা ও আকর্ষনীয় না হলে গুনাহ হবেনা। তবে ফিতনার আশংকা থাকলে গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
জাজাকাল্লাহ খাইরান।
আল্লাহ আপনাকে অধিক জ্ঞান দান করুক।আমিন

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...