এমন অবস্থায় গালি দিলে কি ঈমান চলে যাবে?

Question

Assalamualikum:

এক ব্যাক্তির  স্ত্রীর সাতে  একবার ঝামেলার কারণে ১ তালাক বলেছিল। তার পর স্ত্রী কে ফিরিয়ে নিয়ে সংসার করছে। তার পর থেকে ৩ বছর ধরে প্রিতিদিন তার চিন্তা হয় তালাকের ভাবনা নিয়ে, হয়ত এটা হলো বা ওটা হলো নাকি এই সব বিষয় নিয়ে সারাক্ষণ চিন্তা করে , এবং যখন যখন চিন্তা করে তখনি তার স্ত্রী কে জিজ্ঞাসা করে  কোনো সমস্যা হবে নাকি । প্রতিদিন স্ত্রী কে কোনো না কোনো বিষয় এ জিজ্ঞাসা করে এর জন্য কোনো সমস্যা হবে নাকি , স্ত্রী তার এই রকম ব্যাবহার ৩ বছর ধরে দেখে আসছে এবং তাকে বলে বেশি ধর্মের এই সব বিষয় নিয়ে ঘাটা ঘাটি করো না। কিন্তু স্বামী তার কথা শুনে না কোনো না কোনো চিন্তা বা হাদীস এর কোনো একটা জিনিষ নিয়ে চিন্তা করতে থাকে আর তার স্ত্রী কে সেই নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকে যে কোনো প্রবলেম হবে নাকি। এই রকম করে স্বামীর অবস্থা খুব খারাপ মানসিক ভাবে মেডিসিন চলছে।  এক পর্যায় এ স্ত্রী ও বিরক্ত হয়ে গিয়েছে,  সেও পুরো মানসিক চাপ এ শেষ হয়ে গিয়েছে। দিয়ে স্বামী কে বলে বেশি ধর্মের এই সব বিষয় নিয়ে ঘাটা ঘাটি করোনা, স্বামী এইসব কিছুই  শুনে না। স্ত্রী অনেক বার নিষেধ করেছে , স্বামী কোনো কথা শুনেনা, স্ত্রী মানসিক ভেবে হতাশ হয়ে  প্রচন্ড রাগ  এ ভুল বশত মুখ ফসকে বলে ফেলেছে।   " বালের ধর্ম"।
স্বামী এই কথা শুনে আরো ডিপ্রেসন এ পড়ে জাই । ঈমান চলে যাবে বলে। তার স্ত্রী কে বলে এমন বললে কেনো। স্ত্রী বলেছে আল্লাহ দেখছে আমার অবস্থা ।  আমার ঈমান নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না ।আসলে এতদিন মানসিক চাপের প্রভাবে বিরক্ত জরাজীর্ণ হয়ে  মুখ থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।  সঙ্গে সঙ্গে তওবা করেছে। এবং আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হয়েছে। তার ভুল বশত হয়েছে।  এমন উদ্দেশ্য ছিল না যে ধর্ম কে নিয়ে মন থেকে কুটুক্তি করবে।
*** শায়েখ স্ত্রীর কি ঈমান চলে যাবে??
*  স্বামী স্ত্রী দুজন দুজন কে প্রাণের থেকেও বেশি ভালোবাসে। স্বামীর এই রোগের জন্য পরিবার এ সুখ শান্তি তে সমস্যা হচ্ছে।
স্বামীর বক্তব্য সে যদি কোনো মুফতি সংস্পর্শে থাকে সে হয়ত সুস্থ হয়ে যাবে। ওষধ এর থেকে বেশি প্রভাব পাবে। করনীয় কি একটু জানিয়ে দিবেন শায়েখ।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

(১)কথা শুরুর নিয়তে,বা দৃষ্টি আকর্ষণ করার নিয়তে সালাম দিলেও সওয়াব পাওয়া যাবে। 

(২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপনার স্বামীকে মনোবিজ্ঞানী ডাক্তার দেখান। এবং কোনো মুফতি সাহেবের সংস্পর্শে রাখার চেষ্টা করুন।আল্লাহ আপনার স্বামীকে সুস্থ করে তুলুক।আমীন। স্বামীকে বুঝাবেন যে, আপনাদের পারিবারিক জীবনে কোনো সমস্যা হয়নি।

Comments

সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।