ওয়া আলাইকুমুস
সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/52659/ নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ
يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ
الْفَجْرِ ۖ [٢:١٨٧]
আর পানাহার কর যতক্ষণ
না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। [সূরা বাকারা-১৮৭]
□ যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়
১. রোজার কথা স্মরণ
থাকা অবস্থায় কুলি করার সময় অনিচ্ছায় গলার ভেতর পানি প্রবেশ করলে।
২. প্রস্রাব-পায়খানার
রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্যকিছু শরীরে প্রবেশ করালে।
৩. রোজাদারকে জোর
করে কেউ কিছু খাওয়ালে।
৪. রাত অবশিষ্ট আছে
মনে করে সুবেহ সাদেকের পর পানাহার করলে।
৫. ইফতারের সময় হয়েছে
ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে।
৬. ইচ্ছাকৃত ভাবে
মুখ ভরে বমি করলে।
৭. জোরপূর্বক সহবাস
করলে। এক্ষেত্রে স্ত্রীর শুধু কাজা করতে হবে এবং স্বামীর কাজা-কাফফারা দু’টোই করতে
হবে।
৮. ভুলবশত কোনো কিছু
খেয়ে, রোজা ভেঙে গেছে ভেবে ইচ্ছা
করে আরও কিছু খেলে।
৯. বৃষ্টির পানি মুখে
পড়ার পর তা খেয়ে ফেললে।
১০. কান বা নাক দিয়ে
ওষুধ প্রবেশ করালে।
১১. জিহ্বা দিয়ে দাঁতের
ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খেয়ে ফেললে।
১২. অল্প বমি মুখে
আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে তা গিলে ফেললে।
কথা বন্ধ রাখার মাসয়ালা
স্পষ্ট করছিঃ
শরীয়তের বিধান হলো
কাহারো সাথে শরয়ী ওযর ব্যাতিত তিন দিনের বেশি
কথাবার্তা বন্ধ রাখা, সম্পর্ক ছিন্ন করা
জায়েজ নেই। (কিতাবুল ফাতওয়া ৬/২১৭)
এটা যদি তাদের সামনা
সামনি না হওয়ার কারনে হয়,যে সামনা সামনি, দেখা সাক্ষাৎ
যেহেতু আমাদের হচ্ছেনা, তাই কথা বলার সুযোগও হচ্ছেনা। তাহলে তো কোনো সমস্যা
নেই। তবে দেখা সাক্ষাৎ হওয়ার পরেও বিনা কারনে
কাহারো সাথে কথা বার্তা বলা বন্ধ করে দেওয়া,সম্পর্ক ছিন্ন করা
জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছে
عن أبي أیوب رضي اللّٰہ عنہ أن رسول
اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: لا یحل لمسلم أن یہجر أخاہ فوق ثلاث لیال یلتقیان
فیعرض ہذا و یعرض خذت وخیرہما الذي یبدأ بالسلام۔ (رواہ مالک في الموطا ۲؍۹۰۷، صحیح البخاري رقم: ۶۲۳۷، الترغیب و الترہیب رقم: ۴۱۸۹)
যার সারমর্ম হলো কোনো
মুসলমানের জন্য অপর মুসলমানের সাথে ৩ দিনের বেশি কথা বন্ধ রাখা,সম্পর্ক ছিন্ন রাখা জায়েজ নেই।
★বিদ্বেষ পোষন না করে এমনিতেই দেখা সাক্ষাৎ না হওয়ার
কারনে কথা না হলে কোনো সমস্যা নেই।
তবে মাঝে মাঝে ফোন
দিয়ে খোজ খবর নেওয়া জরুরি।
আত্মীয়তা সম্পর্ক
ছিন্ন করা নিয়ে যে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে,তা হলোঃ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ
أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَدْخُلُ
الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ " . - صحيح
জুবাইর ইবনু মুত্বঈম
(রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক
ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (বুখারী ৫৯৮৪)
এখান থেকে স্পষ্ট
হয় যে সম্পর্ক ছিন্ন করাই হলো মূল দোষ। সম্পর্ক ছিন্ন না করে এমনিতেই যদি দেখা সাক্ষাৎ
না হওয়ার কারনে কথা না হয়, এটা কোনো সমস্যা নয়। আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/4223/
★
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
১.
কী গলা দিয়ে পেটে চলে যায়? অস্পষ্ট থাকার কারণে বিস্তারিত উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যদি বাতাস, থুথু উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে এতে কোনো সমস্যা নেই অর্থাৎ রোজা ভাঙ্গবে না।
২.
উপরের আলোচনার দ্বারা স্পষ্ট হয় যে সম্পর্ক ছিন্ন করাই হলো মূল দোষ। সম্পর্ক
ছিন্ন না করে এমনিতেই যদি দেখা সাক্ষাৎ না হওয়ার কারণে কথা না হয়, এটা কোনো সমস্যা নয়। আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/4223/
৩.
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে একেবারে কথা বলা বন্ধ করবেন না। বরং মাঝে
মধ্যে কথা বলবেন যদিও অল্প হোক। তাই খুবই অল্প হলেও মাঝে মধ্যে কথা বার্তা বলবেন। খোঁজ
খবর নিবেন।
উল্লেখ্য যে, তাদের মাফ করে দিবেন। তাহলে দেখবেন আল্লাহ তায়ালাও আপনাকে মাফ
করে দিবেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন এবং আপনাকে অনেক অনেক সওয়াব দিবেন
ইনশাআল্লাহ। আর তাদেরকে হেকমতের সাথে বুঝাতে থাকবেন।
আরো জানুন- https://ifatwa.info/22770/