জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আল্লাহ তাআলা বলেন-
خُذْ مِنْ اَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَ تُزَكِّیْهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَیْهِمْ ؕ اِنَّ صَلٰوتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْ ؕ وَ اللّٰهُ سَمِیْعٌ عَلِیْمٌ۱۰۳
‘তাদের সম্পদ থেকে সদকা গ্রহণ করুন, যার দ্বারা আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং পরিশোধিত করবেন এবং আপনি তাদের জন্য দুআ করবেন। আপনার দুআ তো তাদের জন্য চিত্ত স্বস্তিকর। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’-সূরা তাওবা : ১০৩
بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع (ج:2، ص:41، و 53، ط:دار الكتب العلمية):
’’و لو تصدق عن غيره بغير أمره فإن تصدق بمال نفسه جازت الصدقة عن نفسه و لاتجوز عن غيره
সারমর্মঃ-
কেহ যদি অন্যের পক্ষ থেকে তার অনুমতি ছাড়াই সদকাহ করে,এক্ষেত্রে সে যদি নিজের সম্পদ হতে সদকাহ করে,সেক্ষেত্রে তাহা নিজের পক্ষ থেকে সদকাহ আদায় হবে।
অন্যের পক্ষ থেকে আদায় হবেনা।
অন্যের পক্ষ থেকে যাকাত আদায় করতে হলে তার অনুমতি নিতে হবে। অন্যথায় সে ব্যক্তির পক্ষ থেকে যাকাত আদায় হবে না।
(রদ্দুল মুহতার ২/২৬৯)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার বাবা যদি আপনার মায়ের থেকে অনুমতি নিয়ে আপনার মায়ের পক্ষ থেকে যাকাত আদায় করে,তাহলে আপনার মায়ের পক্ষ থেকে যাকাত আদায় হবে,অন্যথায় আপনার মায়ের পক্ষ থেকে যাকাত আদায় হবেনা।
(০২)
না,জরুরি নয়।
বরং এটিও আগের বছরের সম্পদের সাথে যোগ করে পুরো সম্পদের যাকাত দিতে হবে।
(০৩)
এগুলো যেহেতু তারা এখনো আপনাদের নিকট হস্তান্তর করেননি,তাই এগুলোর মালিক তারাই।
যার টাকায় সেই অলংকার তৈরী করা হয়েছে,সেই এখন পর্যন্ত মালিক রয়েছে।
তাই তাকেই প্রতি বছর এই অলংকার গুলোর যাকাত দিতে হবে।
(০৪)
পরবর্তীতে এই অলংকার গুলো আপনাদের নিকট হস্তান্তর হলে এবং নিসাব পরিমাণ সম্পদ হলে এক বছর পর আপনাদের যাকাত আদায় করতে হবে।
(০৫)
এক্ষেত্রে আপনার মায়ের জন্য আলাদা ভাগ নিতে হবে।
এবং আপনার মায়ের অনুমতি সাপেক্ষে এ কাজ গুলি করতে হবে।
তাহলে আপনার মায়ের পক্ষ থেকে কুরবানী আদায় হবে।
(০৬)
পুরুষদের চুলে মেহেদি দেয়া জায়েজ আছে।
তবে চুল কালো থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র ফ্যাশনের জন্য মেহেদী দেয়া যাবেনা।
(০৭)
এ বিষয়টি অপচয়ের মধ্যে পরেনা।