আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
204 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। শালদুধ খায় যেসব বাচ্চারা তাদের মুখের লালায় দুধ লেগে থাকে। তাই মুরুব্বিরা আমাদেরকে নিষেধ করেন বাচ্চা যেই খাবারে মুখ দেয় সেই খাবার যেন কেউ না খায়। বাচ্চার লালায় লেগে থাকা দুধ লালার মাধ্যমে সেই খাবারে লেগে যায়। তাই বাচ্চার মুখ লাগানো খাবার ফেলে দিতে হয়। এটা তো একদিকে অপচয়।  ইসলামি শরীয়তে এইধরনের অপচয় সম্পর্কে বিধান কি?

1 Answer

+1 vote
by (589,260 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মানুষের জন্য মানুষের দুধ খাওয়া হারাম।শুধুমাত্র বিশেষ প্রয়োজনে শিশুর জন্য মায়ের দুধকে হালাল রাখা হয়েছে।

সুতরাং শালদুধ খায় যেসব বাচ্চারা তাদের মুখের লালায় দুধ লেগে থাকা স্বাভাবিক।তাই বাচ্চারা যেই খাবারে মুখ দেয় সেই খাবারের উক্ত মুখ লাগানো অংশে না খাওয়াই উচিৎ। বাচ্চার লালায় লেগে থাকা দুধ লালার মাধ্যমে সেই খাবারে লেগে যাবে সেই খাবারকে যে ফেলে দিতে হবে,বিষয়টা আসলে এমন নয়। হ্যা এটা অবশ্যই ঠিক যে, যেই খাবারে শিশুরা মুখ লাগাবে,সেই খাবারের ঐ মুখ লাগানো অংশে পেলে দিয়ে অবশিষ্ট অংশকে খাওয়া যাবে। এতে কোনো বিধিনিষেধ নাই।


দুধ পানের মুদ্দত বা সর্বোচ্ছ সময়সীমা দুই বৎসর।দুই বৎসর পর সন্তানকে দুধ পান করানো হারাম।

দুই বৎসর পর যদি কোনো শিশু কোনো মহিলার দুধ পান করে নেয়,তাহলে এদ্বারা দুধ সম্পর্ক প্রমাণিত হবে না।

আলাউদ্দিন হাসক্বাফী রাহ লিখেন,

هُوَ (حَوْلَانِ وَنِصْفٌ عِنْدَهُ وَحَوْلَانِ) فَقَطْ (عِنْدَهُمَا وَهُوَ الْأَصَحُّ) فَتْحٌ وَبِهِ يُفْتَى كَمَا فِي تَصْحِيحِ الْقُدُورِيِّ عَنْ الْعَوْنِ

শিশুর জন্য মায়ের দুধ পানের সর্বোচ্ছ সময়সীমা-ইমাম আবু-হানিফা রাহ এর মতে আড়াই বৎসর।আর সাহেবাইনের মাযহাব মতে দুই বৎসর।এই দ্বিতীয় মতটাই বিশুদ্ধতম মত।এবং এর উপরই ফাতাওয়া।

আরো বর্ণিত রয়েছে-আহসানুল ফাতাওয়া-৫/১২৮

এ সময়সীমা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই শুরু হবে।

বাচ্ছা দুধ ছাড়তে না চাইলেও তাকে দুধ খাওয়ানো যাবে না।বরং বাচ্ছাকে দুধের প্রতি অনাগ্রহ সৃষ্টি করে খাদ্যর প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।

قوله تعالى- وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلاَدَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَن يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ (سورة البقرة-233

 وفى رد المحتار-( ولم يبح الإرضاع بعد مدته ) لأنه جزء آدمي والانتفاع به لغير ضرورة حرام على الصحيح (الدر المختار مع رد المحتار-كتاب النكاح،  باب الرضاع-4/397

والله اعلم بالصواب


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...