বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মানুষের জন্য মানুষের দুধ খাওয়া হারাম।শুধুমাত্র বিশেষ প্রয়োজনে শিশুর জন্য মায়ের দুধকে হালাল রাখা হয়েছে।
সুতরাং শালদুধ খায় যেসব বাচ্চারা তাদের মুখের লালায় দুধ লেগে থাকা স্বাভাবিক।তাই বাচ্চারা যেই খাবারে মুখ দেয় সেই খাবারের উক্ত মুখ লাগানো অংশে না খাওয়াই উচিৎ। বাচ্চার লালায় লেগে থাকা দুধ লালার মাধ্যমে সেই খাবারে লেগে যাবে সেই খাবারকে যে ফেলে দিতে হবে,বিষয়টা আসলে এমন নয়। হ্যা এটা অবশ্যই ঠিক যে, যেই খাবারে শিশুরা মুখ লাগাবে,সেই খাবারের ঐ মুখ লাগানো অংশে পেলে দিয়ে অবশিষ্ট অংশকে খাওয়া যাবে। এতে কোনো বিধিনিষেধ নাই।
দুধ পানের মুদ্দত বা সর্বোচ্ছ সময়সীমা দুই বৎসর।দুই বৎসর পর সন্তানকে দুধ পান করানো হারাম।
দুই বৎসর পর যদি কোনো শিশু কোনো মহিলার দুধ পান করে নেয়,তাহলে এদ্বারা দুধ সম্পর্ক প্রমাণিত হবে না।
আলাউদ্দিন হাসক্বাফী রাহ লিখেন,
هُوَ (حَوْلَانِ وَنِصْفٌ عِنْدَهُ وَحَوْلَانِ) فَقَطْ (عِنْدَهُمَا وَهُوَ الْأَصَحُّ) فَتْحٌ وَبِهِ يُفْتَى كَمَا فِي تَصْحِيحِ الْقُدُورِيِّ عَنْ الْعَوْنِ
শিশুর জন্য মায়ের দুধ পানের সর্বোচ্ছ সময়সীমা-ইমাম আবু-হানিফা রাহ এর মতে আড়াই বৎসর।আর সাহেবাইনের মাযহাব মতে দুই বৎসর।এই দ্বিতীয় মতটাই বিশুদ্ধতম মত।এবং এর উপরই ফাতাওয়া।
আরো বর্ণিত রয়েছে-আহসানুল ফাতাওয়া-৫/১২৮
এ সময়সীমা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই শুরু হবে।
বাচ্ছা দুধ ছাড়তে না চাইলেও তাকে দুধ খাওয়ানো যাবে না।বরং বাচ্ছাকে দুধের প্রতি অনাগ্রহ সৃষ্টি করে খাদ্যর প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।
قوله تعالى- وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلاَدَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَن يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ (سورة البقرة-233
وفى رد المحتار-( ولم يبح الإرضاع بعد مدته ) لأنه جزء آدمي والانتفاع به لغير ضرورة حرام على الصحيح (الدر المختار مع رد المحتار-كتاب النكاح، باب الرضاع-4/397
والله اعلم بالصواب