বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি কারো সামনে পানি বিদ্যমান থাকে, অন্যদিকে সে অসুস্থ থাকে,তার ভয় হয় যে,যদি পানি ব্যবহার করা হয়, তাহলে তার অসুস্থতা বৃদ্ধি পাবে,অথবা তার সুস্থতায় ধীরগতি চলে আসবে, তাহলে সে তায়াম্মুম করে নিতে পারবে। চায় তার অসুস্থতা বৃদ্ধির আশংকা শরীরে ঢলার কারণে চলে আসুক বা পানি স্পর্শ করার কারণে চলে আসুক। তাছাড়া যদি কেউ এমন কাউকে না পায় যে, তাকে অজু করিয়ে দিতে পারবে এমতাবস্থায় যে, সে নিজে অজু করার উপর সক্ষমও নয়, যদি সে কোনো খাদেম বা বাড়াটে লোক পায়, অথবা তার নিকট এমন কেউ থাকে, যাকে সাহায্যর আবেদন করলে সে অবশ্যই সাহায্য করবে, তাহলে এমতাবস্থায় ঐ ব্যক্তি জন্য তায়াম্মুম করা জায়েয হবে না।কেননা সে তখন পানি ব্যবহারের উপর সামর্থবান হিসেবে বিবেচিত হবে।
অসুস্থতা বৃদ্ধির এই ভয় ও আশংকা হয়তো বিভিন্ন প্রকার আলামত বা অভিজ্ঞতা কিংবা ন্যায়পরায়ণ বিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তারের পরামর্শের উপর ভিত্তি করেই রচিত হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আশাপাশে পানি থাকার পরও পানিকে ব্যবহার করার সক্ষমতা না থাকলে, তখন তায়াম্মুম করা জায়েয হয়ে যায়। সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে যদি শতচেষ্টার পরও পানি ব্যবহারের কোনো সুযোগ না থাকে, তাহলে তায়াম্মুম করে পবিত্রতা অর্জন করে নিতে হবে।এবং নামায পড়তে হবে।