আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
১. দোকানে কোনো বাচ্চা বা ছোট মানুষ চকলেট বা লজেন্স নিতে গেলে অনেক সময় দেখা যায়, দোকানিরা ভালোবেসে বা ছোট মানুষ হিসেবে একটা বা দুটো চকলেট বা লজেন্স বেশি দেয়। এটা নেয়া কি জায়েজ?

২. অনেকসময় নিজেদের সুবিধার্থে ঘড়ির সময় আমরা ৫, ১০ মিনিট এগিয়ে রাখি, এই অবস্থায় কেউ যদি ঘড়িতে কত বাজে জিজ্ঞেস করে, তাকে সেই বাড়তি সময় টা বলে দিলে সেটা তো মিথ্যা হয়ে যায়, এমন টা কি বলা ঠিক হবে?...

নাকি ঘড়ির সময় যে সময়টা নির্দিষ্ট সেটাই রাখবো, যেন এমন পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, আর মিথ্যাও বলতে না হয়!?

৩. কারো সম্পর্কে নিজের অজান্তে গীবত করলে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া সম্ভব না হলে, তখন তার জন্য বেশি বেশি দোয়া করে আর তার নামে সাদকাহ করলে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করবেন তো ইন শা আল্লাহ?...

1 Answer

0 votes
by (574,320 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
এক্ষেত্রে দোকানিরা যে ভালোবেসে বা ছোট মানুষ হিসেবে একটা বা দুটো চকলেট বা লজেন্স বেশি দেয়,এটা নেয়া জায়েজ।

এটি সেই ছোট মানুষ এর জন্য উক্ত দোকানির পক্ষ থেকে হাদিয়া ধরা হবে। তাই উক্ত চকলেট বা লজেন্স গ্রহন করতে কোন সমস্যা নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّاسَ، كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ، يَبْتَغُونَ بِهَا ـ أَوْ يَبْتَغُونَ بِذَلِكَ ـ مَرْضَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, লোকেরা তাদের হাদিয়া পাঠাবার জন্য ‘আয়িশা (রাঃ) এর নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। এতে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করত। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৪]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ فَإِنْ قِيلَ صَدَقَةٌ. قَالَ لأَصْحَابِهِ كُلُوا. وَلَمْ يَأْكُلْ، وَإِنْ قِيلَ هَدِيَّةٌ. ضَرَبَ بِيَدِهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ مَعَهُمْ ”

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কোন খাবার আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন, এটা হাদিয়া, না সাদকা? যদি বলা হতো, সাদকা তা হলে সাহাবীদের তিনি বলতেন, তোমরা খাও। কিন্তু তিনি খেতেন না। আর যদি বলা হল হাদিয়া। তাহলে তিনিও হাত বাড়াতেন এবং তাদের সাথে খাওয়ায় শরীক হতেন। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৬]

(০২)
এই অবস্থায় কেউ যদি ঘড়িতে কত বাজে জিজ্ঞেস করে, তাকে সেই বাড়তি সময় টা বলে দিলে সেটা মিথ্যা হয়ে যাবে।

এক্ষেত্রে পরামর্শঃ-
আপনার ঘরিতে আপনি যত মিনিট এগিয়ে রেখেছেন,কেউ জিজ্ঞাসা করলে সে কয় মিনিট add করে জবাব দিবেন।
তাহলে আর সমস্যা হবেনা।

অথবা আপনি প্রশ্নে যেই বিষয় উল্লেখ করেছেন,সেটা করবেন।
অর্থাৎ ঘড়ির সময় যে সময়টা নির্দিষ্ট সেটাই রাখবেন।

(০৩)
যতক্ষন সুযোগ আছে,যতক্ষন দেখা সাক্ষাৎ হয়,যোগাযোগ হয়,যোগাযোগের কোনো সুযোগ থাকে,এক্ষেত্রে তার কাছেই মাফ চাইতে হবে।
প্রয়োজনে যে হক নষ্ট করেছেন,সেটি না বলে এমনিতেই বলবে যে আমার দ্বারা ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে আমাকে ক্ষমা করে দিন।

তবে কোনো ভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব না হলে,তার গুনাহ মাফের দোয়া আল্লাহর কাছে করবেন।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...