ম্যাসেজ ডিলিট করা প্রসঙ্গে!!!

Question

Assalamualaikum  rahmatullahi wa Barkat,
হুজুর দুঃখিত দ্বিতীয় বার  বিরক্ত করবার জন্য, https://ifatwa.info/84127/  প্রশ্নের লিঙ্কে ৩ নম্বর প্রশ্নে বলা হয়েছে ম্যাসেজ ডিলেট করে দেওয়া যাবে।
৩ নম্বর প্রশ্ন  কে কেন্দ্র করে বলছি, আমার ক্লিয়ার মনে নেই তবে  মনে হয়, যখন আমাদের প্রেম ছিল ৩ বছর আগের কথা,  তখন বলতাম এক্ষনি এইটা করো না হলে ব্রেকআপ, সম্পর্ক শেষ। ম্যাসেজ এর রিপ্লাই দাও না হলে সম্পর্ক শেষ এই সব কথা হয়ত হয়েছে তখন জানতাম ই না সর্ত তালাক কি।  ( এই সময় বিয়ে বিয়ে কে নিসবত করা হয়েছে কিনা মনে নেই, যত সম্ভব হয়নি)
অনেক দিন আগে ,  বিয়ের পূর্বে স্ত্রী কে ফোন কল এ বলেছিলাম , বিয়ের পর  এমন করলে ডিভোর্স দিবো।  তাছাড়া ম্যাসাজ এ সেইরকম কোনো কথা হয়েছে কিনা মনে পড়েনা। শায়েখ আমি মনে করতে ও চাইনা।
ম্যাসেজ এ রেগে হয়ত বিয়ের আগে বা পরে অনেক কথা হয়েছে যা সম্পূর্ণ ভাবে মনে নেই ১ বছর হয়ে গেল , কিন্তু বিয়ে কে উদ্দেশ্য করে তালাক বা শর্ত তালাক এর বাক্য স্ত্রী কে ম্যাসেজ এ  বলেছি কি না মনে পড়েনা। আমার  সত্যিই মনে হয়না ম্যাসেজ এ আমি কোনো তালাক বা শর্ত তালাক এর বাক্য বলেছি।  সত্যিই মনে নেই, সন্দেহ হয়, আল্লাহ কসম মনে নেই ।আমি কনফ্রম না। শুধুমাত্র সন্দেহ হয়।  যদি কোনো দিন কিছু বলে থাকি ভুলে গিয়েছি সব । যা আমার মনে নেই। শায়েখ সব কিছুই ভুলে গিয়েছি। আর আমার যা মনে হয়   ম্যাসেজ এ আমি কোনো তালাক সংক্রান্ত বাক্য বলিনি, আমার ভয় এ যান শেষ শেষ হয়ে যাচ্ছে
শায়েখ আমি কি মোবাইল এর সব ম্যাসেজ না দেখে  ডিলিট করে দিতে পারি?? আপনি আমাকে আর একটি বার বলুন আমি কি ম্যাসেজ ডিলিট করে দিবো??

পরবর্তী তে যদি অটোমেটিক ম্যাসেজ সামনে চলে আসে সেক্ষেত্রেও ডিলিট করতে পারি??আমার স্ত্রী কে ছাড়া আমার জীবন শেষ হয়ে যাবে, আমি আমার স্ত্রী কে খুব ভালোবাসি।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।

যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে,

আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,

اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ

ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ

ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 

ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।

হাদীসটি এই,

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

যেহেতু পূর্ণ ইয়াকিন ও বিশ্বাসের সাথে আপনার মনে কিছু নাই, তাই আপনার পারিবারিক জীবনে কোনো সমস্যা হবে না। 

Comments

সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

---

শুকরিয়া শায়েখ , আমি তাহলে  ডিলিট করে দিয়েছি।

---

জাযাকাল্লাহ।