আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
170 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম  উস্তাদ  আমরা যখন দশম শ্রেণিতে পড়ি তখন আমার এক বান্ধবীর বিয়ে হয়। তার দুই, এক বছর পড় তাদের  মধ্যে  নানান কারণে  অশান্তি  হয় এক পর্যায়ে  তাদের ডিভোর্স  হয়ে যায়। তাদের বাড়ি আমাদের  পাশের বাড়ি। আমি উস্তাদ কাউকে  কোনো খারাপ কাজে সাহায্য , সহযোগিতা  খুব কমই করার চেষ্টা  করি।মানুষ ভুলে  উর্দে হয়ে যায় মাঝে মাঝে  আল্লাহ সহায় হন। তো উস্তাদ  তাদের ডিভোর্সের কিছু  মাস পড়  তাদের ঘরে নানা রকম অশান্তি  হয়।সে আবার তার ওই শশুর বাড়ির লোক জন ও স্বামীর সাথে যোগাযোগ  রাখে এবং সে ওখানে যেতে চায়।  এস এস সি এর পর ওর সাথে আর তেমন চলা হতো না। ওদের বাড়িতে  গেলে  মাঝে মধ্যে  হতো।এখন মূল কথা  হচ্ছে  ও একদিন আমাদের  বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছে  আর আমার সাথে  কথা  হয় তখন আমার  বোন ও ছিল। কথা বলতে বলতে এক পর্যন্ত  ও বলে ফেলে ওই স্বামী, ননদ,শাশুড়ির   সাথে  কথা  হয়। তারা তাকে চলে যেতে বলে ও তার কাছেই আবার যাবে।তখন আমি উস্তাদ  এই ব্যাপারটা এত বড় অপরাধ  আর আমার এব্যাপারে কোনো ইসলামি বিধান ও যানা ছিল না। তাই আমিও ও কে বলেছিলা তুই যদি ভালো মনে করিস তোর যদি ভালো হয়  তাহলে চলে যাস। কিন্তু কবে যাবে সেটা বলে নি। কিছু  দিন পড়ে ও সে ওই স্বামীর সাথে পালিয়ে যায় কিন্তু  উস্তাদ  আমি নিশ্চিত  হয়তো মা বাবা ও এব্যাপারটা যানতো ও যে চলে যাবে। সমাজের ভয়ে তার ভাইয়ের ভয়ে না  যানার ভান করে ছিল। আমার ওই বান্ধবী  এখনো ওই স্বামীর কাছেই আছে। এখন কথা হচ্ছে  হাদিসে  নিষেধ  আছে কেউ কোন খারাপ কাজ  করবে না অন্যকে করার উদ্ভূত  ও করবে না আরো তালাক সম্পর্কে  তো জঘন্য। যেহেতু ডিভোর্স  হয়ে  গেলে আর ওই স্বামীর কাছে যাওয়া যায় না। ওই যায়গায় সংসার করলে মৃত্যু  অবধি  ব্যাভিচারিনি ও যত সন্তান  হবে অবৈধ  হবে শুনেছি। ও তো এখনো এই হারাম সমপর্কে আছে।  হ্যা হয়তো আমি না বললেও ও চলে যেত কিন্তু  উস্তাদ  যানতাম এবং আমি বলেছি চলে যেতে। এখন আমার কি শাস্তি  হবে।আমি যখনই মনে পড়ে আল্লাহর কাছে  ক্ষমা চাই কিন্তু  শান্তি  পাই না।আমি কি করবো। আমি কি  আমার বান্ধবীকে যানাবো  ও হারাম কাজে লিপ্ত আছে এবং ওর কাছেও কি ক্ষমা চাইবো।আমার করনিয় কি।উস্তাদ  সঠিকটা যানাবেন।আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন  আমাকে ক্ষমা করেন।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


গুনাহের কাজ যেমন নিজে করা জায়েজ নেই,গুনাহের কাজে সহযোগিতা করাও জায়েজ নেই।
গুনাহের কাজে সহযোগিতা করা গুনাহ করারই নামান্তর। 
বিধায় তাহা জায়েজ নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ دَاعٍ يَدْعُو إِلَى هُدًى إِلَّا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ اتَّبَعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَا مِنْ دَاعٍ يَدْعُو إِلَى ضَلَالَةٍ إِلَّا كَانَ عَلَيْهِ مِثْلُ أَوْزَارِهِمْ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْئًا

মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট খবর পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেনঃ যেকোন আহবানকারী হিদায়াতের দিকে আহবান করিবে তবে তাহাকে তাহার অনুসরণকারীদের সমান পুণ্য দেওয়া হইবে। অনুসরণকারীদের পুণ্য হইতে বিন্দুমাত্র কম করা হইবে না। আর যেকোন আহবানকারী পথভ্রষ্টতার দিকে আহবান করিবে, তবে তাহার উপর অনুসরণকারীদের পাপসমূহের সমান পাপ বৰ্তাইবে। তাহাতে অনুসরণকারীদের পাপসমূহের এতটুকুও কম করা হইবে না।
(মুয়াত্তা মালিক ৪৯৬)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি তাকে পালিয়ে যাওয়ার ব্যপারে প্রকৃত পক্ষে উল্লেখযোগ্য  কোনো সহযোগিতা করেননি।
শুধুমাত্র পরামর্শ দিয়েছিলেন,তাও বিষয়টি এমন ছিলো যে আপনি না বললেও সে এভাবে চলেই যেতো।

সুতরাং এক্ষেত্রে আপনি আল্লাহর কাছে তওবা করে নিবেন। আর কোনোদিন এহেন পরামর্শ কাউকে দিবেননা,এ মর্মে মহান আল্লাহর কাছে ওয়াদা বদ্ধ হবেন।

এবং আপনার উক্ত বান্ধবীর সাথে যোগাযোগ করে তাকে হারাম সম্পর্ক ছেড়ে এসে ইসলামের পথে চলার আহবান জানাবেন।

তাহলে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ক্ষমা করবেন,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...