যদি স্ত্রীকে এমন কথাবার্তা দ্বারা বা এমন কোন পরিস্থিতি দ্বারা স্বামী গৃহে না আসার জন্য প্রভাবিত করা হয় (সরাসরি বাধা না দিয়ে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল), সেক্ষেত্রে কি
১।স্বামীর হক বিনস্ট হবে?
২। আল্লাহর ফয়সালা কিরূপ হতে পারে?
৩।এক্ষেত্রে কি স্বামীর বদদুয়া কাজে লাগবে?
৪। স্বামী কি কাফির হয়ে গেছে? (একটি ঘটনার কারণে স্বামী তার স্ত্রীর পরিবারকে কাফির ও মুনাফিক বলেছে। কারণ, সদাচরণ ও আল্লাহর বিধান জানানোর পরেও তারা স্বামীর সাথে দুর্ব্যবহার করেছে আর আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে নিজেদের চাওয়া প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে কথায় এবং কাজে। এ ঘটনার বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হয়েছে)।
সতর্কতার জন্য:
১। সমস্ত দোষ স্বামীকে দেয়া হোক। তবে স্বামীর ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দাম্পত্য দায়িত্ব পালন না করার এবং অবাধ্যতার অভিযোগ রয়েছে।
২। স্বামী সদ্ভাবে সংসার করতে আগ্রহী।
৩। স্বামী চেস্টা করেও স্ত্রীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেনা। (ফোন ধরেনা)। স্ত্রী বাপের বাড়িতে আছে। স্ত্রী ও যোগাযোগ করতে চায়না (হয়ত অভিমানের কারণে, বা প্রভাবিত হয়ে)
৪। স্বামীর পরিবার থেকে যোগাযোগের সুযোগ আছে। কিন্ত পরিবার নির্দোষ। স্বামী চাচ্ছেনা তার পরিবার কে ছোট করতে। উপরন্তু, আলোচনায় বসতে গেলে নিরাপত্তা ও মানহানির আশংকা রয়েছে।
৫। স্ত্রীর পরিবারকে আল্লাহর বিধান জানানো হয়েছে। যেমন: স্বামীর অনুমতি ব্যতীত স্ত্রী গৃহের বাইরে অবস্থান করতে পারবেনা এবং মুমিনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আল্লাহর বিধান শুনল এবং মেনে নিল কিন্তু নিজের মত প্রদান থেকে বিরত থাকল।
৬। এরপরেও কোন লাভ হয়নি। উলটো তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
৭। সদাচরণ ও আল্লাহর বিধান জানানোর পরেও যখন তারা আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করে ফেলল, তখন স্বামী তাদের কাফির ও মুনাফিক বলে ফেলেছে। যদিও সে বোঝাতে চেয়েছে যে এমন বৈশিষ্ট্য মুমিনের নয় বরং কাফিরদের। মূলত আল্লাহর বিধান জানানোর পরেও তারা নিজের মত প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে কথায় এবং কাজে। যেমন: একবার স্বামী তার স্ত্রী কে বাবার বাড়ি যাবার অনুমতি দেয়নি। তখন আল্লাহর বিধান জানিয়েছিল। কিন্তু স্ত্রীর পিতা এরপরেও স্ত্রীকে নিয়ে যেতে উদ্যত হয়। আরেকবার, স্বামী তার স্ত্রীকে আনার জন্য ফোন দিয়েছিল। স্বামীর চাকরি না থাকায় স্বামী আর তার মা কে আঘাত করে কথা বলা হয় শ্বশুরবাড়ি থেকে। তখন স্বামী আল্লাহর বিধান জানায় যে স্ত্রী স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাইরে যেতে পারবেনা। এরপর শ্বশুর বলে, আমি সব ই জানি কিন্তু তোমার তো চাকরি নাই। এছাড়াও উনু বলেছেন, বউ এর জন্য পাগল কিন্তু চাকরির জন্য পাগল না? অথচ সে সমিয় স্বামীর চাকরি প্রসেসিং এ ছিল। মূলত শ্বশুরবাড়ি আল্লাহর বিধান মানতে চায়না বলে মনে হয় স্বামীর কাছে। সেজন্যই কাফির ও মুনাফিক বকেছে। কারণ, তারা বাইরে নিজেদের দ্বীনঅদার বলে প্রকাশ করে কিন্তু ইসলামের বিধান কেবল নিজেদের সুবিধামত মানে।
৮। উল্লেখ্য, বিয়ের পূর্বে স্বামী যখন বায়োডাটা দিয়েছিল তখন স্বামী নিজের বৈশিষ্ট্য হিসেবে মুমিনদের বৈশিষ্ট্য গুলো উল্লেখ করেছিল। আর এটাও উল্লেখ করেছিল স্ত্রীকেও অনুরূপ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে হবে। এক্ষেত্রে, উপরোক্ত ঘটনাগুলোর জন্য স্বামী নিজেকে প্রতারিত মনে করছে।
৯। উল্লেখ্য, তারা আল্লাহর বিধান অস্বীকার করেনি আবার মেয়েকে আসতেও বাধা দেয়নি। ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করেছে। আর আল্লাহর বিধান বর্ণনা করার পরেও কথায় এবং কাজে নিজেদের প্রবৃত্তিকে অনুসরণ করেছে।
১০। উল্লেখ্য, স্ত্রীর নিরাপত্তা, ভরণপোষণ, পর্দা ও বাসস্থান নিয়ে কোন শংকা নেই। তবে বনিবনায় সমস্যা আর ঝগড়া হয়। তখন স্বামী বেশি বেশি বলে ফেলে। গালিও দেয়।যদিও পরে ভালবাসা দিয়ে শুধরে নেয়। তবে স্বামি স্ত্রীকে অনেক ভালবাসে আর সদ্ভাবেই থাকতে চায়।
১১। স্বামী ওসিডিতে আক্রান্ত। সাইকিয়াট্রিস্ট বুলেছে ওসিডির কারণে স্বামীর আচরণে সমস্যা হচ্ছে। এর জন্য সাইকোথেরাপি প্রয়োজন অবশ্য এ সমস্যা বিয়ের পূর্বেই স্ত্রী ও পরিবার কে জানানো হয়েছিল
এমতাবস্থায়, স্বামীর হক বিনস্ট করা হচ্ছে কি? আর আল্লাহ যেমনটা ফয়সালা করেন বান্দার হক বিনস্টের ব্যাপারে তেমনটাই কি স্বামী আশা করতে পারেন?