জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ব্যক্তি জীবিত এবং সুস্থ্য থাকা অবস্থায় তার মালিকানাধীন সম্পদ যাকে ইচ্ছে দান করতে পারে। যেখানে ইচ্ছে খরচ করতে পারে। এতে তার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
ব্যক্তি জীবিত থাকা অবস্থায় তার অর্জিত সম্পদের একক মালিকানা তার হাতেই থাকে। তাতে যাচ্ছেতাই হস্তক্ষেপের অধিকার তার রয়েছে। এতে কেউ হক দাবী করার অধিকার রাখে না। হ্যা, মৃত্যুর পরের কথা ভিন্ন। তখন শরয়ী নীতিমালা অনুপাতে সম্পদ বন্টন করতে হয়।
তবে মুস্তাহাব পদ্ধতি একটু ভিন্নঃ
ইসলামের উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী যদিও ছেলে-মেয়ের প্রাপ্ত সম্পদে বৈষম্যের বিষয়টি স্বীকৃত এবং এই বিধান মহান রব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকেই প্রদত্ত, কিন্তু হেবাসূত্রে সম্পদ বণ্টনের মাসআলা এর থেকে ভিন্ন। এখানে বৈষম্যের সুযোগ নেই। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি যদি তার জীবদ্দশায় নিজ সন্তানদের মাঝে সম্পদ বণ্টন করে তাহলে তার জন্য সব ছেলে-মেয়ের মাঝে সমানহারে সম্পদ বণ্টন করা মুস্তাহাব।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত টাকার উপর অন্যান্য ভাইবোনদের কোনো হক নেই।
তার পিতা চাইলে তো এটি গরিব দের মাঝে ছদকাহও করে দিতে পারতো।
,
সুতরাং এক্ষেত্রে অন্যান্য ভাইবোন কিছুই করতে পারবেনা।
★""পিতা তার জীবদ্দশায় তার সম্পত্তি থেকে কোন সন্তানকে কিছু দিতে চাইলে সব সন্তানকেই সমানভাবে বন্টন করতে হবে, শুধু একজনকে দেয়া যাবে না""
বিষয়টি এমন নয়।
বরং এটি একটি মুস্তাহাব কাজ ।
পিতা চাইলে এমনটি মেনে সকলকে সমানও দিতে পারেন,কম বেশিও দিতে পারেন।
এতে তার কোণ গুনাহ হবেনা।
,
হ্যাঁ যদি পিতা এতে অন্যকে বঞ্চিত করার লক্ষ্যে এমনটি করে থাকে,তাহলে গুনাহগার হবে।
তবে এক্ষেত্রে যাকে যা দেয়, সেখানে অন্য কাহারো কোনো অধিকার নেই।
(০২)
পরিবারের জন্য খরচ করা,মা বাবার ভরনপোণের জন্য খরচ করা উত্তম কাজ।
মা বাবা নিজেদের ভরনপোষণের ক্ষেত্রে অসমর্থ হলে সন্তানদের জন্য তাদের ভরনপোষণের খরচ দেওয়া শুধু শরীয়তেই নয় এটা মানবতার দিক লক্ষ্য করেও জরুরি।
হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মানুষের সর্বোত্তম মুদ্রা সেটি, যা সে তার পরিবারের খরচে ব্যয় করে।’ (মুসলিম : হাদিস ৯৯৪)
অন্য একটি হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোনো ব্যক্তি তার পরিবারে যে খরচ করে তা-ও সদকাস্বরূপ, অর্থাৎ এতেও সে সদকার সওয়াব পাবে।’ (বুখারি : হাদিস ৪০০৬)
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মেয়ে তার মাকে খরচ দেওয়া জরুরি হওয়ার জন্য ২ টি শর্ত রয়েছেঃ
(০১) এক্ষেত্রে মা বাবা যদি এমন দরিদ্র হতে হবে যে তাঁরা নিজের মালিকানার সম্পদে চলতে অক্ষম।
(০২) এবং সন্তান-সন্ততি সামর্থ্যবান ও উপার্জনে সক্ষম হতে হবে। এবং তাদের
স্বাভাবিক ভরণ-পোষণের পর অতিরিক্ত সম্পদ থাকতে হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ