জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ كُنَّا نَرْقِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي ذَلِكَ فَقَالَ " اعْرِضُوا عَلَىَّ رُقَاكُمْ لاَ بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ شِرْكٌ " .
আবূ তাহির (রহঃ) ..... আওফ ইবনু মালিক আশজা'ঈ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা জাহিলী (মূর্খতার) যুগে (বিভিন্ন) মন্ত্র দিয়ে ঝাড়ফুঁক করতাম। এজন্যে আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আবেদন করলাম- হে আল্লাহর রসূল! এক্ষেত্রে আপনার মতামত কি? তিনি বললেন, তোমাদের মন্ত্রগুলো আমার নিকট উপস্থাপন করো, ঝাড়ফুঁকে কোন দোষ নেই- যদি তাতে কোন শিরক (জাতীয় কথা) না থাকে। (মুসলিম ৫৬২৫ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৪৪, ইসলামিক সেন্টার ৫৫৬৯)
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহঃ উল্লেখ করেন-
إنما تكره العوذة إذا كانت بغير لسان العرب ، ولا يدرى ما هو ولعله يدخله سحر أو كفر أو غير ذلك ، وأما ما كان من القرآن أو شيء من الدعوات فلا بأس به
নিশ্চয় নিষিদ্ধ তাবীজ হল যা আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় লিখা হয়, বুঝা যায় না তাতে কি আছে? অথবা যাতে জাদু, কুফরী ইত্যাদি কথা থাকে। আর যেসব তাবীজে কুরআন বা দুআ সম্বলিত হয় তা ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই। {ফাতওয়ায়ে শামী- এইচ এম সায়ীদ ৬/৩৬৩}
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে প্রথমত আপনি জেনে নিবেন যে যে ব্যাক্তি তাবিজ দিচ্ছেন,তিনি কি কওমি মাদ্রাসায় পড়া বিজ্ঞ আলেম কিনা?
তারপর তাবিজ দেয়ার সময় বলে নিবেন যে এখানে যেনো শিরক জাতীয় কথা না থাকে,শরিয়াহ বহির্ভুত কিছু না থাকে।
তিনি এই বিষয়ে রাজি হলে তার দেয়া তাবিজ আপনি আকীদা বিশুদ্ধ রেখে ব্যবহার করতে পারবেন।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০২)
শরীরের জন্য তাহা ক্ষতিকর না হলে এসব ঔষধ সেবনে কোনো বিধিনিষেধ নেই।
(০৩)
তাতে যা পড়ে দিবে,তাহা যদি শিরক জাতীয় কথা না হয়,শরিয়াহ বহির্ভুত কিছু না হয়,তাহলে আকীদা বিশুদ্ধ রেখে ব্যবহার করা যাবে।
তবে কিছু ইসলামী স্কলারগন এটিকে শিরক বলেন।