আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
260 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাল্যবন্ধু তার চাকরির সুবাদে ধন্যবাদ জ্ঞাপন এর উদ্দেশ্যে উপহার দিতে চাচ্ছে। এটা গ্রহনে আপত্তি জানালে মনমালিন্য হবার ভয় অনুভব করছি। এক্ষেত্রে কি করা উচিত?

1 Answer

0 votes
by (574,320 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো কোন অমুসলিমের দাওয়াত  যাতে  গোস্ত জাতীয় বস্তু তথা হাসঁ, মুরগী না থাকে তাহলে তা খাওয়া জায়েজ আছে। তবে একে অভ্যাসে পরিণত করা ভাল নয়। খুবই গর্হিত কাজ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) অমুসলিমদের দাওয়াত গ্রহণ করেছেন। তাদের রান্নাকৃত খাবার খেয়েছেন।
তাদের দেওয়া উপহারও গ্রহণ করেছেন। (বুখারি, হাদিস: ২৬১৫)

অনুরুপভাবে তাদের যবেহ করা পশুর গোশত খাওয়া যাবে না। (সূরা বাক্বারাহ ১৭৩)

فى الفتوى الهندية-ولا بأس بطعام المجوس كله الا الذبيحة الخ (الفتوى الهندية-5/347، كتاب الكراهية، الباب الرابع عشر فى اهل الذمة، البحر الرائع، كتاب الكراهية، فصل الأكل والشرب-8/184، المحيط البرهانى-8/69

যার সারমর্ম হলো মূর্তিপুজকদের খাবার খাক্যা জায়েজ আছে,তবে তাদের জবাইকৃত পশু ব্যাতিত

ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ বলেন,

ﻭﺃﻣﺎ ﻗﺒﻮﻟﻪ ﺍﻟﻬﺪﻳﺔ ﻣﻨﻬﻢ ﻳﻮﻡ ﻋﻴﺪﻫﻢ، ﻓﻘﺪ ﻗﺪﻣﻨﺎ ﻋﻦ ﻋﻠﻲ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻃﺎﻟﺐ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ - ﺃﻧﻪ ﺃﺗﻲ ﺑﻬﺪﻳﺔ " ﻳﻮﻡ ﻧﻴﺮﻭﺯ " ﻓﻘﺒﻠﻬﺎ .ﻭﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ - ﺃﻧﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : " ﺃﻣﺎ ﻣﺎ ﺫﺑﺢ ﻟﺬﻟﻚ ﺍﻟﻴﻮﻡ، ﻓﻼ ﺗﺄﻛﻠﻮﺍ، ﻭﻟﻜﻦ ﻛﻠﻮﺍ ﻣﻦ ﺃﺷﺠﺎﺭﻫﻢ ."ﻭﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺑﺮﺯﺓ ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﻬﺪﻱ ﺇﻟﻴﻪ ﻣﺠﻮﺱ ﻓﻲ " ﻧﻴﺮﻭﺯﻫﻢ " ﻓﻴﻘﻮﻝ ﻷﻫﻠﻪ : ﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﻣﻦ ﻓﺎﻛﻬﺔ ﻓﻜﻠﻮﻩ، ﻭﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻓﺮﺩﻭﻩ "ﻓﻬﺬﺍ ﻛﻠﻪ ﻳﺪﻝ ﻋﻠﻰ ﺃﻧﻪ ﻻ ﺗﺄﺛﻴﺮ ﻟﻠﻌﻴﺪ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻨﻊ ﻣﻦ ﻗﺒﻮﻝ ﻫﺪﻳﺘﻬﻢ، ﺑﻞ ﺣﻜﻤﻬﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﻴﺪ ﻭﻏﻴﺮﻩ ﺳﻮﺍﺀ؛ ﻷﻧﻪ ﻟﻴﺲ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﺇﻋﺎﻧﺔ ﻋﻠﻰ ﺷﻌﺎﺋﺮ ﻛﻔﺮﻫﻢ،

কাফিরদের কাছ থেকে তাদের উৎসব উপলক্ষ্যে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্বে হযরত আলি রাযি.এর হাদিস বর্ণনা করেছি যে, উনার কাছে নাইরুয দিনে হাদিয়া আসলে তিনি তা কবুল করে নেন।এবং হযরত আয়েশা রাযি থেকেও বর্ণিত রয়েছে,তিনি বলেনঃযে জন্তু সেই উৎসবের নামে যবেহ করা হয়েছে তা তোমরা খেয়ো না।তবে তাদের ফলমূলাদি খেতে পারো।হযরত আবু বারযাহ রাযি. থেকে বর্ণিত রয়েছে যে,নাইরুয দিনে কোনো এক অগ্নিপূজক তাকে কিছু হাদিয়া দিয়েছিলো, তখন তিনি তার পরিবারবর্গকে বলেছিলেন,হাদিয়া যদি ফলমূলাদি থেকে হয় তাহলে তোমরা খেতে পারো।আর যদি তা অন্যকিছু হয় তাহলে তা তোমরা ফিরিয়ে দাও।এ সমস্ত রেওয়াত প্রমাণ করে যে,কাফিরদের কাছ থেকে হাদিয়া গ্রহণ তাদের উৎসব সমূহ বাধা প্রদাণ করবে না।বরং যেকোনো সময় তাদের কাছ থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে।
কেননা তখন তা কাফিরদের ধর্মীয় কোনো বিষয়ে সাহায্য করা হচ্ছে না।(আল-মানহাজুল কাওয়ীম ফি ইখতেছারে ইক্বতেযায়িস সিরাতিল মুস্তাক্বিম-১/১২৮)

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে   হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাল্যবন্ধুর দেওয়া উপহার গ্রহন করা জায়েজ। তবে সেটি কোনোভাবেই হারাম না হতে হবে।

পাশাপাশি সেটি খাদ্য জাতীয় হলে তাতে হারাম কোনো কিছুর সংমিশ্রণ না থাকতে হবে। 

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...