জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
পুরুষের সতর হল নাভির নিচ থেকে নিয়ে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، نَا أَحْمَدُ بْنُ مَنْصُورٍ زَاجٌ ، نَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ ، أَنَا أَبُو حَمْزَةَ الصَّيْرَفِيُّ وَهُوَ سَوَّارُ بْنُ دَاوُدَ ، نَا عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ جَدِّهِ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " مُرُوا صِبْيَانَكُمْ بِالصَّلَاةِ لِسَبْعٍ ، وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا لِعَشْرٍ ، وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ ، وَإِذَا زَوَّجَ أَحَدُكُمْ عَبْدَهُ أَمَتَهُ أَوْ أَجِيرَهُ ، فَلَا يَنْظُرُ إِلَى مَا دُونَ السُّرَّةِ وَفَوْقَ الرُّكْبَةِ ، فَإِنَّ مَا تَحْتَ السُّرَّةِ إِلَى الرُّكْبَةِ مِنَ الْعَوْرَةِ
মুহাম্মাদ ইবনে মাখলাদ (রহঃ) ... আমর ইবনে শুআইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা তোমাদের শিশুদের সাত বছর বয়সে নামাযের (পড়ার) নির্দেশ দাও। তারা দশ বছর বয়সে পদার্পণ করলে নামাযের জন্য (তা না পড়লে) তাদের দৈহিক শাস্তি দাও এবং তাদের বিছানা পথক করে দাও। আর তোমাদের কেউ নিজের দাসকে বা নিজের শ্রমিককে তার দাসীর সঙ্গে বিবাহ দিলে সে যেন তার নাভির নিচ থেকে হাঁটুর উপর পর্যন্ত অঙ্গের প্রতি না তাকায়। কারণ নাভির নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত সতর (অবশ্য আবরণীর অঙ্গ)।
(সুনানে দারা কুতনি ৮৬৩)
হযরত আমর ইবনে শুআইব রাহ. তার পিতা থেকে, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোনো পুরুষ অপর পুরুষের সতরের দিকে তাকাবে না। পুরুষের সতর হল নাভির নিচ থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত।
(সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস : ৩২৩৫; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৪৯৭; সুনানে দারা কুতনী ১/৩২০
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি সতর ঢেকে খেললেও অন্যরা যেহেতু কিছু সতর খোলা রেখেই খেলবে,তাই এক্ষেত্রে খেলতে গিয়ে অন্যের সতরের দিকে আপনার চোখ যাবেই।
চোখ হেফাজত করা এক্ষেত্রে সম্ভবপর হবেনা।
এমতাবস্থায় ফুটবল খেলার অনুমোদন নেই।
হ্যাঁ এক্ষেত্রে সকল প্লেয়ার যদি পূর্ণ সতর ঢেকে খেলে,সেক্ষেত্রে জুয়া না হলে উক্ত ফুটবল খেলা জায়েজ হবে।