আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
233 views
in পবিত্রতা (Purity) by (47 points)
আসসালামু আলাইকুম, আমার পায়ে সবসময় পানিতে খেয়ে যায়, এটা এক ধরনের চর্মরোগ। ইদানীং হাতেও হয়। আর এগুলো হলে সহজে সারে না, যেহেতু পানির কাজই বেশি থাকে তাই সেরে উঠতে বেশ সময় লাগে আল্লাহর ইচ্ছায়।
তো হাত পায়ের পানি লাগা জায়গাগুলোতে চুলকায়, আর আঠালো হয়ে থাকে সম্ভবত কষানী।এখন এগুলোতো বেয়ে পড়েনা, কিন্তু আঙ্গুলের মাঝখানে, পাতার উপরের দিকগুলোতে চুলকাতে চুলকাতে আঠালো হয়ে থাকে। দুই আঙ্গুল চাপ দিলে এটে ধরে।

এখন, পা থেকে সেই আঠালো জায়গাগুলো ফ্লোরে লাগলে, ঘরে পড়া স্যান্ডেলে লাগলে, জায়নামাজে লাগলে কি নাপাক হয়ে যাবে শাইখ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
و في حاشية ابن عابدين تحت قوله (ولم يخرج)
وفي السراج عن الينابيع: الدم السائل على الجراحة إذا لم يتجاوز. قال بعضهم: هو طاهر حتى لو صلى رجل بجنبه وأصابه منه أكثر من قدر الدرهم جازت صلاته وبهذا أخذ الكرخي وهو الأظهر. وقال بعضهم: نجس، وهو قول محمد اهـ ومقتضاه أنه غير ناقض لأنه بقي طاهرا بعد الإصابة، وإن المعتبر خروجه إلى محل يلحقه حكم التطهير من بدن صاحبه فليتأمل
ইবনে আবেদীন রাহ, আরেকটু পরিস্কার করে লিখেন,যখমে প্রবাহিত রক্ত যখন সেটা তার স্বস্থানকে ত্যাগ করবে না,তখন অজু ভঙ্গ হবে না।কেউ কেউ এই রক্তকে পবিত্র রক্ত বলে থাকেন।এমনকি যদি এমন রক্ত যখমে থাকাবস্থায় উক্ত ব্যক্তির পাশে কেউ নামায পড়ে নেয়,এবং পাশের ব্যক্তির শরীর বা কাপড়ে এক দিরহাম থেকে বেশী উক্ত রক্ত লেগে যায়,তাহলেও উক্ত ব্যক্তির নামায হবে।এটাই ইমাম কারখী রাহ এর মত।এটাই বিশুদ্ধতম অভিমত।তবে কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম বলেন,এই রক্ত অপবিত্র।এটা ইমাম মুহাম্মদের মত।

উপরের আলোচনার সারমর্ম হল, উক্ত রক্ত বের হলে অজু ভঙ্গ হবে না। বের হওয়ার পর স্বস্থান ত্যাগ করে অন্যত্র গড়িয়ে গেলে অজু ভঙ্গ হবে।(শেষ)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2142

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ক্ষত স্থান থেকে এই পরিমাণ পানি বা রক্ত বের হলে যা গড়িয়ে পড়ার উপক্রম, এমন হলে অবশ্যই অজু নষ্ট হয়ে যাবে। এবং উক্ত ঐ পানি বা রক্তও নাপাক বলে বিবেচিত হবে। তবে ঐ পরিমাণ বের হলে যা গড়িয়ে  পড়বে না বরং স্ব স্থানে বহাল থাকবে। এমন হলে অজুও ভঙ্গ হবে না, এবং সেই পানিকে নাপাকও বলা যাবে না।

সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে
হাত পায়ের পানি লাগা জায়গাগুলোতে চুলকানোর দরুণ আঠালো হয়ে থাকলে অজু ভঙ্গ হবে না। তবে পা থেকে সেই আঠালো পানি ফ্লোরে বা কোনো কিছুতে  লাগলে, এবং তা এক দিরহাম থেকে বেশী হলে, তা নাপাক হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যেহেতু ঐ পানি নিজে নিজে গড়িয়ে পড়ছে না, তাই অজু ভঙ্গ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।
by (47 points)
জাঝাকুমুল্লাহ শাইখ, 

আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম বিনিময় দান করুন, দুনিয়া এবং আখিরাতের সকল বালা মুসিবত বিপদাপদ থেকে কল্যানকর হেফাজত দান করুন, আমীন।
by (47 points)
শাইখ, বলছি যে, এরকম ভাবে কোথাও কাটা স্থান হলে তখন  রক্তের ক্ষেত্রেও কি অনুরূপ মাসায়িল হবে শাইখ?
by (47 points)
reshown by
শাইখ এটা একটু দেখুন শাইখ ইনশা আল্লাহ। 

বলছি যে, এরকম ভাবে যেকোন কাটা স্থান হলে তখন  রক্তের বা পুঁজের ক্ষেত্রেও কি অনুরূপ মাসায়িল হবে শাইখ?
by (597,330 points)
জ্বী, অনুরূপ মাসাঈল হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 122 views
...