ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
একজনের টাকা এবং অপরজনের শ্রম, এরকম ব্যবসাকে শরীয়তে মুদারাবাহ ব্যবসা বলা হয়। মুদারবাহ ব্যবসা বৈধ। তবে শর্ত হল, পার্সেন্টিস হিসেবে চুক্তি হতে হবে।
পার্সেন্টিছ হিসেবে উভয় চুক্তিকারী নিজ নিজ হিসসায় যতটুকুর জন্য সম্মত হবে, তারা ততটুকুই মুনাফা পাবে। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বা বস্তুকে নির্দিষ্ট করা জায়েয হবে না।
قال صاحب الهداية: (وَمِنْ شَرْطِهَا أَنْ يَكُونَ الرِّبْحُ بَيْنَهُمَا مُشَاعًا لَا يَسْتَحِقُّ أَحَدُهُمَا دَرَاهِمَ مُسَمَّاةً) مِنْ الرِّبْحِ لِأَنَّ شَرْطَ ذَلِكَ يَقْطَعُ الشَّرِكَةَ بَيْنَهُمَا وَلَا بُدَّ مِنْهَا كَمَا فِي عَقْدِ الشَّرِكَةِ.(الهداية-3/226)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১+২)
মুদারাবা ব্যবসায় উভয়জন লাভলোকসানে শরীক থাকেন।কেউ কারো বোঝাকে গ্রহণ করবে না এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। সুতরাং ব্যবসায় যদি বাস্তবেই লস হয়ে থাকে, এবং ঐ ব্যক্তিও আপনার বাবার সাথে ব্যবসায় শরীক হয়ে থাকে, তাহলে এখন ঐ ব্যক্তি আর কোনো ধাবী দাওয়া করতে পারবে না। হ্যা, আপনারা যদি দিতে চান, তাহলে ঐ ব্যক্তির প্রদত্ব টাকাকে ফিরত দিতে পারবেন।যদি সেই ব্যক্তি বা তার ওয়ারিছরা সেই গ্রহণ করতে রাজি না হয়, তাহলে দেওয়াটা জরুরী নয়।
(৩)
প্রশ্নের বিবরণমতে ঐ নারীর বাস্তব হাজত থাকলে, তাকে যাকাত দেয়া যাবে।