আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in সালাত(Prayer) by (14 points)
ইংল্যান্ডে একজনের ছেলে অনেক অসুস্থ। ছেলের বয়স ১২ বছর। ছেলে ঠিকমত না ঘুমালে  কাপতে কাপতে
একদম অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডাক্তার মেইন চিকিৎসা দিয়েছে ঠিকমতো ঘুমাতে হবে।
ইংল্যান্ডের টাইম অনুযায়ী কখনো সাড়ে এগারোটার ঈশার নামাজ আবার সাড়ে তিনটায় ফজরের নামাজ হয়। ইশার নামাজ পড়ে ফজরে উঠতে গেলে তার ঘুম পরিপূর্ণ না হওয়ার অসুস্থ হয়ে পড়ে, অনেক সময় দাত মুখ এটে অজ্ঞান হয়ে যায়।

সেক্ষেত্রে সে কি ফজরের নামাজ পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজা পড়তে পারবে?
না হলে তার কি করা উচিৎ?
উল্লেখ্য তার এ অসুস্থতা কয়েক বছর ধরে বিদ্যমান।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নামাযর ওয়াক্ত সম্পর্কে ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত তাহাবী শরীফের একটি হাদীস উল্লেখযোগ্য যাকে পরিভাষায় "হাদীসে ইমামতে জিব্রাইল বলা হয়,যাতে সমস্ত ফরয নামাযের শুরু এবং শেষ ওয়াক্ত সুস্পষ্টরূপে বর্ণিত হয়েছে.......
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,আমাকে জিব্রাইল আঃদুই বার ক্বাবা ঘরের সামনে ইমামতি করে নামায পড়ান,
(প্রথম দিন)সূর্য ঢলার পর সাথে সাথেই আমাকে সাথে নিয়ে জোহরের নামায পড়ান,এবং প্রত্যেক বস্তুর ছায়া(আসল ছায়া ব্যতীত) যখন এক মিছিল হয় তখন আমাকে নিয়ে আসর পড়েন,এবং যখন রোজাদার ইফতার করে তখন আমাকে নিয়ে মাগরিব পড়েন,এবং যখন পশ্চিম আকাশে( শফকে আবয়ায)দূর হয়ে যায় তখন আমাকে নিয়ে এ'শার নামায পড়েন,
(দ্বিতীয় দিন)যখন প্রতিটা বস্তুত ছায়া(আসল ছায়া ব্যতীত)এক মিছল হয়,তখন আমাকে নিয়ে জহরের নামায আদায় করেন,এবং দুই মিছলের পর আমাকে নিয়ে আসরের নামায পড়েন,এবং (প্রথম দিনের মত) রোজাদার যখন ইফতার করেন তখন আমাকে নিয়ে মাগরিবের নামায পড়েন,এবং রাতের এক তৃতীয়াংশ চলে যাওয়ার পর আমাকে নিয়ে এ'শার নামায পড়েন,এবং ভোরের আলো পরিস্কার হওয়ার পর আমাকে নিয়ে ফজরের সালাত পড়লেন।অতঃপর আমার দিকে মনোনিবে করে বললেন,হে মুহাম্মাদ সাঃ নামাযের ওয়াক্ত এ দুই সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে।এবং এটাই আপনার পূর্বের নাবী রাসূলদের নামাযের ওয়াক্ত ছিলো।(তাহাবী-৮৯৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/16944


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণের আলোকে আমরা বলবো,
এশার ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সাথে সাথে এশার নামায পড়ে ঘুমিয়ে যেতে হবে।খানাপিনা নামাযের পূর্বেই সেরে নিতে হবে। এক্ষেত্রে জামাতে না পড়ে বরং বাসায় আদায় করলেও কোনো গোনাহ হবে না। তারপর ফজরের নামায পড়ে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করে নিলেই হবে। ফজরের নামায জামাতে পরিবর্তে ঘরে একাকি পড়ার রুখসত থাকবে। যদি তারপরও সমস্যা সমাধান না হয়, তাহলে উনাকে এমন কোনো এলাকায় হিজরত করে চলে যেতে হবে, যেখানে রাত অনেক লম্বাটে হয়। যদি উপরোক্ত কোনোকিছুই কাজ না করে, তাহলে উনার যতদিন অসুস্থতা থকবে, ততদিন তিনি ফজরের নামায কা'যা করে আদায় করতে পারবেন। কেননা ঘুম পূর্ণ না হলে তিনি তো পাগল বা অজ্ঞান হয়ে যান। নামায কা'যা না হওয়া যাবতীয় চেষ্টা প্রথমে উনাকে করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 172 views
...