ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নামাযর ওয়াক্ত সম্পর্কে ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত তাহাবী শরীফের একটি হাদীস উল্লেখযোগ্য যাকে পরিভাষায় "হাদীসে ইমামতে জিব্রাইল বলা হয়,যাতে সমস্ত ফরয নামাযের শুরু এবং শেষ ওয়াক্ত সুস্পষ্টরূপে বর্ণিত হয়েছে.......
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,আমাকে জিব্রাইল আঃদুই বার ক্বাবা ঘরের সামনে ইমামতি করে নামায পড়ান,
(প্রথম দিন)সূর্য ঢলার পর সাথে সাথেই আমাকে সাথে নিয়ে জোহরের নামায পড়ান,এবং প্রত্যেক বস্তুর ছায়া(আসল ছায়া ব্যতীত) যখন এক মিছিল হয় তখন আমাকে নিয়ে আসর পড়েন,এবং যখন রোজাদার ইফতার করে তখন আমাকে নিয়ে মাগরিব পড়েন,এবং যখন পশ্চিম আকাশে( শফকে আবয়ায)দূর হয়ে যায় তখন আমাকে নিয়ে এ'শার নামায পড়েন,
(দ্বিতীয় দিন)যখন প্রতিটা বস্তুত ছায়া(আসল ছায়া ব্যতীত)এক মিছল হয়,তখন আমাকে নিয়ে জহরের নামায আদায় করেন,এবং দুই মিছলের পর আমাকে নিয়ে আসরের নামায পড়েন,এবং (প্রথম দিনের মত) রোজাদার যখন ইফতার করেন তখন আমাকে নিয়ে মাগরিবের নামায পড়েন,এবং রাতের এক তৃতীয়াংশ চলে যাওয়ার পর আমাকে নিয়ে এ'শার নামায পড়েন,এবং ভোরের আলো পরিস্কার হওয়ার পর আমাকে নিয়ে ফজরের সালাত পড়লেন।অতঃপর আমার দিকে মনোনিবে করে বললেন,হে মুহাম্মাদ সাঃ নামাযের ওয়াক্ত এ দুই সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে।এবং এটাই আপনার পূর্বের নাবী রাসূলদের নামাযের ওয়াক্ত ছিলো।(তাহাবী-৮৯৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/16944
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণের আলোকে আমরা বলবো,
এশার ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সাথে সাথে এশার নামায পড়ে ঘুমিয়ে যেতে হবে।খানাপিনা নামাযের পূর্বেই সেরে নিতে হবে। এক্ষেত্রে জামাতে না পড়ে বরং বাসায় আদায় করলেও কোনো গোনাহ হবে না। তারপর ফজরের নামায পড়ে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করে নিলেই হবে। ফজরের নামায জামাতে পরিবর্তে ঘরে একাকি পড়ার রুখসত থাকবে। যদি তারপরও সমস্যা সমাধান না হয়, তাহলে উনাকে এমন কোনো এলাকায় হিজরত করে চলে যেতে হবে, যেখানে রাত অনেক লম্বাটে হয়। যদি উপরোক্ত কোনোকিছুই কাজ না করে, তাহলে উনার যতদিন অসুস্থতা থকবে, ততদিন তিনি ফজরের নামায কা'যা করে আদায় করতে পারবেন। কেননা ঘুম পূর্ণ না হলে তিনি তো পাগল বা অজ্ঞান হয়ে যান। নামায কা'যা না হওয়া যাবতীয় চেষ্টা প্রথমে উনাকে করতে হবে।