হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,
فَصَلُّوا أَيُّهَا النَّاسُ فِي بُيُوتِكُمْ فَإِنَّ أَفْضَلَ الصَّلاَةِ صَلاَةُ الْمَرْءِ فِي بَيْتِهِ إِلاَّ الْمَكْتُوبَة
অর্থ: ‘হে লোকসকল! তোমরা বাড়িতে নামাজ আদায় কর, কেননা ফরজ নামাজ বাদে সকল নামাজ নিজ বাড়িতে পড়া সর্বোত্তম।’
[সহিহ বুখারি, হাদিস: ৭৩১]
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নামাজের কিছু অংশ তোমরা তোমাদের ঘরসমূহে আদায় করো আর ঘরগুলোকে কবরস্থানে পরিণত করো না।
(সহিহ বুখারি: ৪২২, সহিহ মুসলিম: ৭৭৭)
অন্য এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহা বিষয়টিকে আরও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তাকে হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নফল নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বর্ণনা দিলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে যুহরের পূর্বে ৪ রাকাআত পড়ে মসজিদে রওয়ানা করতেন আর মসজিদে গিয়ে মুসল্লিদের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায় করে আবার ঘরে ফিরে এসে দুই রাকাআত পড়তেন।
তিনি মানুষের সঙ্গে মাগরিবের নামাজ আদায় করতেন অতঃপর ঘরে ফিরে দু’রাকাআত পড়তেন। মানুষের সঙ্গে ইশার নামাজ আদায় করে ঘরে ফিরে দুই রাকাআত পড়তেন।
(সহিহ মুসলিম: ৭৩০)
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا قَضَى أَحَدُكُمُ الصَّلاَةَ فِي مَسْجِدِهِ فَلْيَجْعَلْ لِبَيْتِهِ نَصِيبًا مِنْ صَلاَتِهِ فَإِنَّ اللَّهَ جَاعِلٌ فِي بَيْتِهِ مِنْ صَلاَتِهِ خَيْرًا ” .
আল্লাহর ইবাদত-আনুগত্য যেখানে করা হয়, সেখানে রহমতের ফেরেশতারা আসা যাওয়া করেন। এতে সেখানে কল্যাণ নেমে আসে। হযরত জাবির রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ নামাজ আদায় করলে ঘরে আদায়ের জন্য একটি অংশও যেন সে রেখে দেয়। কারণ, আল্লাহ তায়ালা নামাজের ফলে তার ঘরে কল্যাণ দান করবেন।
(সহিহ মুসলিম: ৭৭৮)
সুতরাং আপনি যদি এইটাকে সুন্নাত ভেবে সর্বদা সুন্নাত নামাজ বাসায় আদায় করি তাহলে সওয়াব পাবেন,ইনশাআল্লাহ
উল্লেখ্য যে যদি কাহারো ক্ষেত্রে বিষয় এমন হয় যে ঘরে সুন্নাত আদায়ের নিয়তে মসজিদ থেকে চলে আসলে আর সে সুন্নাতই আদায় করবেনা,বা অন্য কাজে লিপ্ত হয়ে যাবে,সেক্ষেত্রে তার জন্য মসজিদে সুন্মাত আদায় উত্তম হবে।