জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ، عَنْ بُهَيَّةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ امْرَأَةً تَسْأَلُ عَائِشَةَ عَنِ امْرَأَةٍ فَسَدَ حَيْضُهَا وَأُهْرِيقَتْ دَمًا، فَأَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ آمُرَهَافَلْتَنْظُرْ قَدْرَ مَا كَانَتْ تَحِيضُ فِي كُلِّ شَهْرٍ وَحَيْضُهَا مُسْتَقِيمٌ، فَلْتَعْتَدَّ بِقَدْرِ ذَلِكَ مِنَ الْأَيَّامِ، ثُمَّ لِتَدَعِ الصَّلَاةَ فِيهِنَّ أَوْ بِقَدْرِهِنَّ، ثُمَّ لِتَغْتَسِلْ، ثُمَّ لِتَسْتَثْفِرْ بِثَوْبٍ، ثُمَّ لِتُصَلِّ -
বুহায়্যাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনলাম, জনৈক মহিলা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে এমন মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে যার হায়িযের গোলমাল হয়েছে, রক্তস্রাব অনবরত জারী রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে (‘আয়িশাহ্’কে) নির্দেশ দিলেন আমি যেন তাকে বলি, ইতিপূর্বে প্রতিমাসে যে ক’দিন তার হায়িয হত তা গণনা করে রাখবে, আর ঐ দিনগুলো পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এবং ঐ দিনগুলোতে সলাত ছেড়ে দিবে। অতঃপর গোসল করে (লজ্জাস্থানে) পট্টি বেঁধে সলাত আদায় করবে।
( আবু দাউদ ২৮৪)
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم، أَنَّ امْرَأَةً كَانَتْ تُهَرَاقُ الدِّمَاءَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم، فَاسْتَفْتَتْ لَهَا أُمُّ سَلَمَةَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ:لِتَنْظُرْ عِدَّةَ اللَّيَالِي وَالْأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُهُنَّ مِنَ الشَّهْرِ قَبْلَ أَنْ يُصِيبَهَا الَّذِي أَصَابَهَا، فَلْتَتْرُكِ الصَّلَاةَ قَدْرَ ذَلِكَ مِنَ الشَّهْرِ، فَإِذَا خَلَّفَتْ ذَلِكَ فَلْتَغْتَسِلْ، ثُمَّ لِتَسْتَثْفِرْ بِثَوْبٍ، ثُمَّ لِتُصَلِّ فِيهِ
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে এক মহিলার (হায়িয-নিফাসের নির্দ্দিষ্ট সময় অতিক্রমের পরও) রক্তস্রাব হতো। উম্মু সালামাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ঐ মহিলার জন্য কি বিধান তা জিজ্ঞেস করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে যেন ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হবার আগে মাসের যে ক’দিন তার হায়িয হত তা খেয়াল করে গুনে রাখে এবং প্রতিমাসে সেই ক’দিন সে সলাত ছেড়ে দেয়। ঐ ক’দিন অতিবাহিত হয়ে গেলে সে যেন গোসল করে নেয়, অতঃপর (লজ্জাস্থানে) পট্টি বেঁধে সলাত আদায় করে।
(নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ হায়িয শেষে গোসল করা, হাঃ ২০৮), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ ঋতুবতী নারীর হায়িযের সময়সীমা পূর্ণ হওয়ার পর রক্ত নির্গত হওয়া প্রসঙ্গে, হাঃ ৬২৩), আবু দাউদ ২৭৪. আহমাদ (৬/২৯৩, ৩২০, ৩২২), মালিক (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যেহেতু আপনার সাধারণত হায়েজ ৭-৮ দিন থাকে,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ১১ তম দিন থেকে নয়, ৯ম দিন থেকেই নামাজ শুরু করতে হবে।
এভাবে এভাবে রক্ত ২-৩ মাস চলমান থাকলে আপনি আপনার বিগত মাস গুলোর হায়েজ আসার তারিখ খেয়াল করবেন,প্রত্যেক মাসের ঐ নির্দিষ্ট তারিখ হতে ৭-৮ দিন হায়েজ ধরবেন।
বাকি দিন গুলো পবিত্রতা ধরে সালাত আদায় করবেন।