আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
১) আমি অবসর সময়ে মোবাইলে গেম খেলি। এরকম মোবাইলে গেম খেলা কি জায়েজ? এতে আমার নামাজ বা পড়াশোনার কোনো ক্ষতিও হয় না। এতে কি কবিরা গুণাহ হয়?

২) সেমিস্টার ব্রেকে আমি বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা দেখি। এটা কি কবিরা গুনাহ?
৩) কুরআনের হক কি? প্রতি বছর ১ বার কুরআন খতম না হলে কি কুরআনের হক আদায় হবে না?

৪) অবসর সময়ে কি কি হালাল বিনোদন পাওয়া যায় লিস্ট যদি বলতেন।

1 Answer

0 votes
by (560,490 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
https://ifatwa.info/65903 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
ছবি বা মিউজিক সম্ভলিত গেম অবসর সময়ে খেলাও জায়েয হবে না। 
ছবি বা মিউজিক সম্ভলিত গেম না হয়ে অন্য গেম হলে অবসর সময়ে ইবাদতের জন্য মনকে প্রফুল্ল করতে রুখসতযোগ্য থাকবে।

আরো জানুনঃ- 

(০২)
এটি জায়েজ নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
কুরআনের হক সমূহঃ-
★ঈমান আনা।
★বিশুদ্ধভাবে কুরআন পাঠ করা এবং তা শেখা ফরজ।
★বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা কুরআনের অন্যতম হক। এই নির্দেশনা কুরআনে এসেছে এভাবে : ‘তোমার প্রতি যে কিতাব ওহি হিসেবে অবতীর্ণ করা হয়েছে, তা থেকে তিলাওয়াত করো।’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৪৫)
★কুরআনের আরেকটি হক হলো তা অন্যকে শিক্ষা দেওয়া। 
★কুরআন হিফজ করা।
★কুরআনের অর্থ বুঝা ও অনুধাবন করা কুরআনের অন্যতম দাবি। 
★কুরআন অনুযায়ী নিজের জীবন গড়া।
পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কুরআন প্রতিষ্ঠিত করা।
★কুরআনের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، أَخْبَرَنَا قَتَادَةُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّهُ قَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ! فِي كَمْ أَقْرَأُ الْقُرْآنَ؟ قَالَ "فِي شَهْرٍ". قَالَ: إِنِّي أَقْوَى مِنْ ذَلِكَ - يُرَدِّدُ الْكَلَامَ أَبُو مُوسَى - وَتَنَاقَصَهُ حَتَّى قَالَ " اقْرَأْهُ فِي سَبْعٍ". قَالَ : إِنِّي أَقْوَى مِنْ ذَلِكَ . قَالَ "لَا يَفْقَهُ مَنْ قَرَأَهُ فِي أَقَلَّ مِنْ ثَلَاثٍ" 

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুমা সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি কয়দিনে কুরআন খতম করবো? তিনি বললেনঃ এক মাসে। তিনি বললেন, আমি এর চেয়ে অধিক শক্তি রাখি। আবূ মূসার বর্ণনায় রয়েছে অতঃপর আলোচনার মাধ্যমে সময়ের ব্যবধান কমিয়ে অবশেষে বললেন, সাত দিনে খতম করবে। তিনি বললেন, আমি এর চেয়েও বেশি শক্তি রাখি। তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি তিন দিনের কমে কুরআন খতম করে, সে কুরআনকে হৃদয়ঙ্গম করতে পারে না।
(তিরমিযী (অধ্যায় : ক্বিরাআত, হাঃ ২৯৪৯, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ) আবু দাউদ ১৩৯০, ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : সলাত ক্বায়িম, অনুঃ কতদিনে কুরআন খতম করা মুস্তাহাব, হাঃ ১৩৪৭), নাসায়ী ‘সুনানুল কুবরা’ (অধ্যায় : ফাযায়িলি কুরআন, অনুঃ কতদিনে কুরআন পড়বে, হাঃ ৮০৬৭)।

الموسوعة الفقھیة الکویتیة: (59/33، ط: وزارة الاوقاف کویت)
روي عن أبي حنيفة رحمه الله تعالى أنه قال: من قرأ القرآن في السنة مرتين فقد قضى حقه.
সারমর্মঃ-
আবু হানিফা রহঃ থেকে বর্ণিত আছে যে৷ যে ব্যাক্তি বছরে দুইবার কুরআন পড়বে,সে কুরআনের হক আদায় করলো।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রতি বছর ১ বার কুরআন খতম না হলে  কুরআনের হক আদায় হবে না,এটি সর্বসম্মত মত নয়।

তবে কেহ কেহ এমনটি উল্লেখ করেছেন।

(০৪)
এ সংক্রান্ত জানুন-
https://www.ifatwa.info/673


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...