জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنِي عُمَارَةُ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، قَالَ سَأَلْنَا خَبَّابًا أَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ قَالَ نَعَمْ. قُلْنَا بِأَىِّ شَىْءٍ كُنْتُمْ تَعْرِفُونَ قَالَ بِاضْطِرَابِ لِحْيَتِهِ.
আবূ মা‘মার (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা খাববাব (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি যুহর ও ‘আসরের সালাতে কিরাআত পড়তেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমরা প্রশ্ন করলাম, আপনারা কী করে তা বুঝতেন? তিনি বললেন, তাঁর দাড়ির নড়াচড়ায়। (বুখারী শরীফ ৭৪৬, (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭২৪)
,
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: "তিনি প্রত্যেক নামাযে তেলাওয়াত করতেন। তিনি যে নামাযগুলোতে আমাদেরকে শুনিয়ে তেলাওয়াত করতেন সে সব নামাযে আমরাও তোমাদেরকে শুনিয়ে তেলাওয়াত করি। আর তিনি যে সব নামাযে আমাদেরকে না শুনিয়ে তেলাওয়াত করতেন সে সব নামাযে আমরাও তোমাদেরকে না শুনিয়ে তেলাওয়াত করি।"[সহিহ বুখারী (৭৩৮) ও সহিহ মুসলিম (৩৯৬)]
,
وَذَهَبَ الْحَنَفِيَّةُ إِلَى أَنَّ الْمُنْفَرِدَ يُخَيَّرُ بَيْنَ الْجَهْرِ وَالإِْخْفَاءِ؛ لأَِنَّ النَّوَافِل تَبَعٌ لِلْفَرَائِضِ لِكَوْنِهَا مُكَمِّلاَتٍ لَهَا فَيُخَيَّرُ فِيهَا الْمُنْفَرِدُ كَمَا يُخَيَّرُ فِي الْفَرَائِضِ.
وَإِنْ كَانَ إِمَامًا جَهَرَ لِمَا ذُكِرَ مِنْ أَنَّهَا اتِّبَاعُ الْفَرَائِضِ، وَلِهَذَا يُخْفِي فِي نَوَافِل النَّهَارِ وَلَوْ كَانَ إِمَامًا
হানাফি মাযহাব মতে মুনফারিদ তথা একাকি নামাযরত ব্যক্তি ইচ্ছাধীন, সে চাইলে উচ্ছস্বরেও পড়তে পারবে। আবার সে চাইলে নিম্নস্বরেও পড়তে পারবে। কেননা নফল নামায ফরয নামাযের অনুগামী। কেননা নফল হল, ফরয নামাযের পরিপূরক। সুতরাং নফল নামায ফরয নামাযের মতই ইচ্ছাধীন বিষয়।
আর যদি সে ইমাম হয়, তাহলে নফল নামাযে সে উচ্ছস্বরে কেরাত পড়বে। এজন্য সে দিনের নফল নামাযে নিম্নস্বরে পড়বে,এমনকি ইমাম হলেও নিম্নস্বরে পড়বে।(আল মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-১৬/১৮৯)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠ করা যাবে।
(০২)
এক্ষেত্রে ৫ম নং রাকাত তো ইমামের ফরজ ছিলোনা,তাহা নফল হয়েছে,আর নফল আদায় কারীর পিছনে ফরজ আদায় কারীর ইক্তেদা হয়না, সুতরাং এক্ষেত্রে উক্ত মাসবুক ঐ রাকাত বাদ দিয়ে আরো এক রাকাত আদায় করবে।
★উল্লেখ্য, প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইমাম সাহেব যদি ৪র্থ রাকাতে বৈঠক না করে থাকেন,সেক্ষেত্রে ইমাম,মুক্তাদী মাসবুক কাহারো নামাজই হবেনা।
পুনরায় পুরো নামাজ সকলকে আদায় করতে হবে।
(০৩)
হ্যাঁ, পড়া যাবে।
তবে মাগরিব,ঈশা,ফজর নামাজ ছাড়া অন্য নামাজে কিরাআত কোনোভাবেই জোড়ে পাঠ করা যাবেনা।