জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
কাপড়ে নাপাক লাগলে সেটি পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে।
হযরত আনাস ইবনে মালিক রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أَنَس بْن مَالِكٍ رضي الله عنه قال : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ الْخَلاءَ أَحْمِلُ أَنَا وَغُلامٌ مَعِي نَحْوِي إِدَاوَةً مِنْ مَاءٍ ، فَيَسْتَنْجِي بِالْمَاءِ .
যখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বাথরুমে প্রবেশ করতেন,আমি এবং আমার সাথের একটি ছেলে আমরা পানির পাত্রকে বহন করে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জন্য নিয়ে যেতাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করতেন।(সহীহ মুসলিম-২৭১)
,
যদি ধৌত না করা হয় তাহলে,
শরীয়তের বিধান মতে এক্ষেত্রে যদি উক্ত নাপাকির পরিমান এক দিরহাম পরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ নয়। কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ আছে।
صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}
আরো জানুনঃ
,
সুতরাং নামাজে যেহেতু কাপড় পাক থাকা শর্ত,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এক দিরহাম সমপরিমাণ নাপাকি লাগলে অবশ্যই উক্ত স্থান ধুয়ে তারপর নামাজ পড়তে হবে।
নতুবা সেই কাপড়ে নামাজ আদায় হবেনা।
,
দেখা না গেলে সম্ভাবনা আছে যেই জায়গা নিয়ে সব জায়গা ধুয়ে ফেলতে হবে।
এক্ষেত্রে জাঙ্গিয়া ইত্যাদি পড়া যাতে পারে,নামাজের আগে ওয়াশরুম থেকে সেটি খুলে ধুয়ে ফেলে নামাজ পড়তে পারেন।
এতে আশা করি সমাধান মিলবে।
ইনশাআল্লাহ।