ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/23187/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
শরীয়তের বিধান হলোঃ নামাজি অসুস্থ হলে এবং দাঁড়াতে অপারগ হলে
তাকে চতুষ্পদ (চারজানু) হয়ে বসে অথবা তাশাহহুদের বৈঠকের ন্যায় বসে নামাজ আদায় করতে
হবে।
যদি বসেও আদায় করতে অক্ষম হয় তবে ডান পার্শ্বের উপর ভর দিয়ে।
তাও যদি কষ্টকর হয় তবে বাম পার্শ্বের উপর ভর দিয়ে নামাজ আদায় করতে হবে।
এ ভাবেও যদি নামাজ পড়তে
সক্ষম না হয়, তবে কিবলার দিকে পা দিয়ে চিত হয়ে শুয়ে মাথা দ্বারা বুকের দিকে
ইশারা করে রুক ও সিজদা আদায় করবে। তবে সিজদার সময় রুকুর চেয়ে একটু বেশি মাথা ঝুকাবে।
সর্বোপরি জ্ঞান থাকা পর্যন্ত কোনো নামাজির নামাজ মাফ হবে না।
অসুস্থ ব্যক্তি তার সুবিধা মতো নামাজ আদায় করবে। হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম অসুস্থ ব্যক্তির নামাজের বিবরণ
দিয়েছেন-
عن
عمران بن حصين رضي الله عنهما قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: ((صلِّ قائمًا،
فإن لم تستطع فقاعدًا، فإن لم تستطع فعلى جنب -رواه البخاري في أبواب تقصير الصلاة، باب إذا لم يُطِقْ قاعدًا
1/ 376
(106
হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার অশ্ব রোগ
ছিল, তাই এ অবস্থায় কিভাবে নামাজ আদায় করবো তা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ‘দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়
কর, যদি না পার তবে বসে কর, তাও যদি না পার তাহলে এক পার্শ্বের উপর আদায় কর।’ (বুখারি ১/৩৭৬)
,
যে ব্যক্তি ইশারায় রুকু-সিজদা করবে, সে রুকু থেকে
সিজদাতে সামান্য বেশি ঝুঁকবে। অন্যথায় নামাজ সহিহ হবে না। (তিরমিজি, হাদিস নং: ৩৭৬)
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/8484/
★
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
১. প্রশ্নোক্ত অবস্থায়
অযু করার ক্ষেত্রে মুখের যতটুকু অংশ ধৌত করা সম্ভব ততটুকু ধৌত করবেন এবং বাকী অংশটা
মাসেহ করবেন। একেবারে সরাসরি চোখের ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করতে সমস্যা হলে তার উপর
প্রয়োজনে একটা পবিত্র কাপড় রেখে উক্ত কাপড়ের উপর মাসেহ করবেন। এ ছাড়া বাকী অঙ্গ অর্থাৎ
মাথা মাসেহ, উভয় হাত ও পা স্বাভাবিক অযুর ন্যায় ধৌত করবেন।
তেমনী ভাবে গোসলের ক্ষেত্রে
শরীরের যতটুকু অংশে পানি পৌছানো সম্ভব তাতে
পানি পৌছালেন। আর বাকী অংশ অর্থাৎ অপারেশনের অংশের উপর মাসেহ করে নিবেন।
২. আপনি যেহেতু দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে সক্ষম। আর রুকু, সেজদা আদায় করতে অক্ষম। তাই আপনি দাঁড়িয়েই
নামাজ আদায় করবেন।
দাঁড়িয়ে কিরাআত পাঠ করে তাকবির বলে বসে গিয়ে সামান্য মাথা ঝুকিয়ে
রুকু করবেন এবং এর থেকে আরেকটু সামান্য ঝুকে গিয়ে (যতটুকু সম্ভব) সেজদা করবেন।