ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
করব এর মধ্যে জুতা পায়ে দিয়ে যাওয়া আদবের খেলাফ। বিশেষ করে নাপাকি পায়ে নিয়ে কবরস্থান যাওয়া সম্পূর্ণই অনুজিৎ।
والمشي فی المقابر بنعلین لا یکرہ عندنا کذا فی السراج الوہاج اھ (الفتاوی الہندیة: ۱/۱۶۷) ۔
(২)
সলা ঝাড়ু দিয়ে কবরের মধ্যে ঝাড়ু দেওয়া যাবে।
(৩)
কবরের পাশে বৃক্ষরোপণ করা যদিও জায়েয,তথাপি নবী কারীম সাঃ এর নিয়মিত আমল এরকম না থাকার ধরুন বৃক্ষরোপণ না করাই শ্রেয় ও উত্তম।যেখানে বৃক্ষরোপণ না করাই উত্তম,সেখানে কবরের উপর পাকা করে ঘর বানানো কি করে বৈধ হতে পারে?তবে বিশেষ প্রয়োজনে বাউন্ডারি করা যেতে পারে,যদি নিজস্ব জায়গা হয়।শরয়ী প্রয়োজন ব্যতিত বাউন্ডারি করা সম্পূর্ণ নিষেধ(দেখুনঃমুফতী তাকী উসমানী রচিত দরসে তিরমিযি-১/২৮৫)
ঠিক তদ্রূপ বিশেষ প্রয়োজনে নাম লিখাটা অত্যাবশ্যকীয় হলে লিখার অনুমিত রয়েছে।না লিখাই উত্তম।
عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «نَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُجَصَّصَ القُبُورُ، وَأَنْ يُكْتَبَ عَلَيْهَا، وَأَنْ يُبْنَى عَلَيْهَا، وَأَنْ تُوطَأَ»:(ترمذى ج ص359رقم الحديث1052)
তরজমা- নবী কারীম সাঃ নিষেধ করেছন, কবরকে চুনা দ্বারা সাদা করতে, এবং তার উপর লিখতে ও তার তার উপর কোনো কিছু নির্মাণ করতে এবং বিনা প্রয়োজনে তাকে পায়ের নিচে রেখে অতিক্রম করতে।
সুতরাং উক্ত হাদিসের উপর দৃষ্টি দিয়ে ফুকাহায়ে কেরামগন বলে থাকেন.........
কবরের উপর নাম লেখা মাকরুহ। এবং বাউন্ডারি ও মাকরুহ।বিশেষ প্রয়োজনে বিশেষ বিবেচনা হিসেবে ফুকাহায়ে কেরামগন বলেন,বিশেষ প্রয়োজনে নাম লেখা জায়েয আছে। (ইমদাদুল আহকাম১/১৮৮)
(৪) কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে কবরকে সালাম দিতে হয়।
"আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর মিনাল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাত। আনতুম লানা সালাফুন ওয়া নাহনু লাকুম তাবায়ুন, ওয়া ইন্না ইনশা'আল্লাহু বিকুম লাহিকুন।"