بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/35162/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছ যে,
হারাম টাকার
বিধান হল,
তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া। নতুবা সওয়াবের
নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك
خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট
কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার
মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে। (মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
সুদ হারাম হওয়ার
ব্যাপারে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন -
واحل الله
البيع و حرم الربوا.
" আল্লাহ
ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন৷" (সূরা বাকারা, আয়াত:২৭৫)
সুদ কতখানি
জঘন্য তা হাদীস শরীফে এসেছে-
عن أبي
هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : "الربا سبعون حوبا،أيسرها أن
ينكح الرجل أمه."
حكم الحديث:
صحيح
"হযরত
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত৷ তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- "সুদের ৭০ টি স্তর রয়েছে৷
সবচেয়ে নিম্নটি হল নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা৷" (ইবনে মাজাহ: অধ্যায়: ব্যবসা-সুদ:২২৭৪)
কেউ যদি হারাম
টাকা দ্বারা হালাল ব্যবসা করে তাহলে এ সম্পর্কে উলামাদের মতবেদ রয়েছে। কেউ কেউ সমস্ত
মালকে সদকাহ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আবার কেউ কেউ শুধুমাত্র আসল তথা মূলধন যা হারাম
ছিল,
সেই মালকে মূল মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কিংবা সদকাহ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত বাড়ীতে
বসবাস করা আপনাদের জন্য জায়েজ হবে। তবে উক্ত বাড়ী নির্মাণ করার সময় যেই পরিমাণ সুদের অর্থ
ব্যয় হয়েছে সেই পরিমাণ অর্থ গরীবদেরকে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া এখন থেকে সম্ভব হলে অল্প অল্প
করে সদকাহ করে দিবেন। কত টাকা সুদের থাকতে
পারে তা অনুমান করে বের করবেন।
বি:দ্র: কোনো হালাল জায়গার উপর সুদি লোন দ্বারা বাড়ি করলে, যদি ঐ লোনের টাকা হালাল কোনো মাল দ্বারা পরিশোধ করা হয়ে যায়, তাহলে ঐ বাড়ি হালাল হয়ে যাবে। কিন্তু যদি লোনের টাকাকে হারাম
মাল দ্বারা পরিশোধ করা হয়, তাহলে বাড়িটি হারামই
থাকবে।