وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মোহরানা স্ত্রীর অধিকার।
মোহরানা পরিশোধ করা স্বামীর উপর আবশ্যক।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ [٥:٥]
তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর। [সূরা মায়িদা-৫]
وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ أَن تَنكِحُوهُنَّ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ [٦٠:١٠]
তোমরা, এই নারীদেরকে প্রাপ্য মোহরানা দিয়ে বিবাহ করলে তোমাদের অপরাধ হবে না। [সূরা মুমতাহিনা-১০]
বিয়ের সময় প্রদত্ব সম্পদ আবশ্যকীয় প্রদান করা যেমন প্রয়োজনীয় কাপড় চোপড় ইত্যাদি মোহর হিসেবে গণ্য করতে পারবে না। অতিরিক্ত কাপড় ও বস্তুই কেবল মোহর হিসেবে শামিল করার সুযোগ রয়েছে। {আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল-৬/২৯৪}
আল ফিকহুল ইসলামী ও আদিল্লাতিহি গ্রন্থে আছেঃ-
وفيه ايضا- ويعد من المهر المسمى في العقد: ما يقدمه الزوج عرفاً لزوجته قبل الزفاف أو بعده، كثياب الزفاف أو هدية الدخول أو بعده؛ لأن المعروف بين الناس كالمشروط في العقد لفظاً، ويجب إلحاقه بالعقد، ويلزم الزوج به إلا إذا شرط نفيه وقت العقد.(7/266)
সারমর্মঃ-
বাসরের পূর্বে বা পরে স্বামী যাহা সামাজিক প্রচলন হিসবে প্রদান করে,যেমন বিয়ের শাড়ি,প্রবেশের হাদিয়া,ঘর হতে বের হওয়ার হাদিয়া,এগুলোকে মোহরের অন্তর্ভুক্ত ধরা যাবে।
وذكر فقيه ابو الليث أن القول قوله فى متاع لم يكن واجبا على الزوج كالخف والملاءة ونحوه، وفى متاع كان واجبا عليه كالخمار، والدرع، ومتاع كالخف ليل، فليس له أين يحتسب من المهر، كذا فى المحيط السرخسى (الفتاوى الهندية-1\322، جديد-1\388)
সারমর্মঃ-
যেসব বস্তু দেয়া স্বামীর উপর আবশ্যক নয়,যেমন মোজা এগুলোকে মোহরের অন্তর্ভুক্ত ধরা যাবে, তবে যেসব বস্তু দেয়া স্বামীর উপর আবশ্যক,যেমন খিমার,চাদর,আসবাব পত্র এগুলোকে মোহরের অন্তর্ভুক্ত ধরা যাবেনা।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্বামীর উপর স্ত্রীর ভরণ পোষণ তথা খাবার, কাপড়,ঘর ইত্যাদি বহন করা আবশ্যক। এটিকে ইসলামী ফিক্বহের পরিভাষায় নাফকা বলা হয়। এসব বস্তু স্বামীর উপর মহর ছাড়াই আদায় করা জরুরী।
এসবকে মোহর হিসেবে গণ্য করতে পারবে না। হ্যাঁ, যদি প্রয়োজনীয় নাফকা ছাড়া অতিরিক্ত কাপড় চোপড় ইত্যাদি দেয়, এবং তা মোহর হিসেবে দিচ্ছে বলে স্ত্রীকে জানিয়ে দেয়, তাহলে এসব মূল্যবান সম্পদ হলে এসব মোহর বলে গণ্য হবে যদি মোহর নির্ধারণ করার সময় কোন ধরণের বিষয় দিয়ে মোহর আদায় করবে তা নির্দিষ্ট না করা হয়ে থাকে।
আর যদি বিয়ের সময় এক ধরণের বস্তু দিয়ে মোহর আদায়ের কথাটি নির্দিষ্ট করা হয়ে থাকে, তারপর ভিন্ন ধরণের বস্তু প্রদান করে বলে যে, আমি এর দ্বারা মোহর দিচ্ছি, আর স্ত্রী এতে রাজি না হয়, তাহলে এর দ্বারা মোহর আদায় হবে না। কিন্তু যদি স্ত্রী রাজি থাকে তাহলে মোহর আদায় হবে।