বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শুধু নারীদের জামাত বৈধ নয়। ঘরে বা অন্য কোথাও নারীরা একত্রিত হয়ে কোনো নারীকে ইমাম বানিয়ে নামাজের জামাত করা মাকরূহে তাহরিমি তথা নাজায়েজ। যদিও জামাতে আদায়কৃত ওই নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে, তবে তারা সবাই গোনাহগার হবে। তারপরও যদি নারীরা আলাদা জামাত করে, তাহলে যিনি ইমাম হবেন, তিনি কাতারে সবার সামনে দাঁড়াবেন না; বরং প্রথম কাতারের মাঝখানে দাঁড়াবেন। (তাবঈনুল হাকায়েক : ১/১৩৫, ফাতাওয়া দারুল উলুম : ৩/৪৩)
প্রসঙ্গত রাসুল (সা.)-এর জামানায় তার স্ত্রীগণ একত্রিত হয়ে জামাতে নামাজ আদায় করার কোনো প্রমাণ হাদিস শরিফে পাওয়া যায় না।
আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘কোনো নারী জামাতের ইমামতি করতে পারবে না। ’ অনুরূপ তাবেঈ ইবরাহিম নাখয়ি, ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ, রবিআ ও ইবনে শিহাব জুহরি (রহ.) প্রমুখ থেকে তা বর্ণিত হয়েছে। (আলমুদাওয়ানাতুল কোবরা : ১/১৭৮) প্রখ্যাত হাদিসবিশারদ ও ফিকাবিদ শিব্বির আহমদ উসমানি (রহ.) বলেন, হাদিসটির সূত্র বিশুদ্ধ। (ইলাউস সুনান : ৩/১৩০১) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/15700
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) শুধুমাত্র নারীরা এক কাতার বা একাধিক কাতারে দাড়িয়ে যদি নামায পড়ে, এবং তখন মধ্যের দিকে দাঁড়িয়ে একজন একটু উচুস্বরে তিলাওয়াত করে,এবং বাকীরা তার সাথেই সবাই নামাজ পড়ে৷ এভাবে নামাজ পড়া যাবে না। এভাবে নামায আদায় বিশুদ্ধ হবে না।
(২) একজন মহিলা নামাজ পড়ান। তিনি আলাদা বসে থেকে উচ্চস্বরে নামাজের তিলাওয়াত করেন, যার সাথে সাথে সব মহিলা নামাজ পড়েন। এমতাবস্থায়ও নামাজ পড়া যাবে না।