বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জবাবঃ-
সিলাহ রেহমির স্থর
دَرَجَاتُ الصِّلَةِ:
ذَهَبَ فُقَهَاءُ الْحَنَفِيَّةِ وَالشَّافِعِيَّةِ إِلَى أَنَّ دَرَجَاتِ الصِّلَةِ تَتَفَاوَتُ بِالنِّسْبَةِ لِلأَْقَارِبِ، فَهِيَ فِي الْوَالِدَيْنِ أَشَدُّ مِنَ الْمَحَارِمِ، وَفِيهِمْ أَشَدُّ مِنْ غَيْرِهِمْ . وَلَيْسَ الْمُرَادُ بِالصِّلَةِ أَنْ تَصِلَهُمْ إِنْ وَصَلُوكَ؛ لأَِنَّ هَذَا مُكَافَأَةٌ، بَل أَنْ تَصِلَهُمْ وَإِنْ قَطَعُوكَ . فَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ وَغَيْرُهُ لَيْسَ الْوَاصِل بِالْمُكَافِئِ وَلَكِنَّ الْوَاصِل الَّذِي إِذَا قُطِعَتْ رَحِمُهُ وَصَلَهَا
হানাফি ফুকাহায়ে কেরাম,এবং শাফেয়ী ফুকাহায়ে কেরাম মনে করেন,সিলাহ রেহমি আত্মীয়তার স্থরভেদে প্রযোজ্য হবে।মাহরামের তুলনায় মাতা-পিতার জন্য উচ্ছস্থরের সিলাহ রেহমি প্রযোজ্য হবে।আর গায়রে মাহরামের তুলনায় মাহরামের জন্য উচ্ছস্থরের সিলাহ রেহমি প্রযোজ্য হবে।
সিলাহ রেহমির অর্থ এটা নয় যে,কেউ আপনার সাথে ভালো ও উত্তম ব্যবহার করল,আর বিনিময়ে আপনিও তার সাথে ভালো ব্যবহার করলেন।কেননা এটার নাম তখন সিলাহ রেহমি না হয়ে মুকাফা'।
বরং আত্মীয় কেউ আপনার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ককে ছিন্ন করার পরও আপনি তার দিকে উত্তম ব্যবহার নিয়ে অগ্রসর হবেন এটাই হলো মূলত সিলাহ রেহমি।যেমন সহীহ বুখারী সহ বিভিন্ন রেওয়াতে এসেছে,
সিলাহ রেহমি এটা নয় যে,আত্মীয় কারো ভালো ব্যবহারের বিনিময়ে আপনিও তার সাথে ভালো ব্যবহার করলেন,বরং সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার পরও তার সাথে ভালো ব্যবহার করার নামই হলো সিলাহ রেহমি।(৩/৮৪)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাহরাম গায়রে মাহরাম সকল প্রকার আত্মীয়ই সেলাহ রেহমির হক্বদার। যদিও তাদের স্থরে তারতম্য রয়েছে।
কোনো আত্মীয় যদি অন্য আত্মীয়র প্রতি সদাসর্বদা জুলুম-নির্যাতন করে থাকে,তাহলে মজলুম আত্মীয়র উচিৎ জালিম আত্মীয়র প্রতি উত্তম আচরণ করা।যদি উত্তম আচরণ করার পরও জালিম আত্মীয় ক্ষান্ত না হয়,তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।সামাজিকভাবে এবং রাষ্ট্রীয় আইনের আশ্রয় নেয়া অবশ্যই জায়েয রয়েছে।তবে সর্বোপরি
এমন জালিম আত্মীয়কে ক্ষমা করে দেয়া বা তার সাথে উত্তম আচরণ করা অবশ্যই উত্তম বলে বিবেচিত হবে।
উকবাহ ইবনে আমির রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عقبة بن عامر قال لقيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال لي يا عقبة بن عامر صل من قطعك وأعط من حرمك واعف عمن ظلمك
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি বলেন,হে উকবাহ ইবনে আমের!যে সম্পর্ককে ছিন্ন করতে চায়,তার সাথে তুমি সম্পর্ক স্থাপন করো।যে তোমাকে মাহরুম করেছে,তাকে তুমি দান করো।যে তোমার উপর জুলুম-নির্যাতন করেছে,তাকে ক্ষমা করে দাও।(মুসনাদে আহমাদ-১৬৯৯৯)
হ্যা যদি ক্ষমা প্রদর্শনের কারণে বা উত্তম আচরণের কারণে সে ঔদ্যত হতেই থাকে,বা অহংকারী হয়ে জুলুম-নির্যাতনের দিকে আরো বেগবান হয়,তাহলে এমন ব্যক্তিকে জুলুম-নির্যাতন থেকে বিরত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/5267